alt

opinion » editorial

উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর সমস্যা দূর করুন

: রোববার, ০৩ অক্টোবর ২০২১

গাজীপুর জেলার ১৭টি উপস্বাস্থ্য ১৫টিতেই কোন চিকিৎসক নেই। এর মধ্যে একটি কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা (স্যাকমো) দিয়ে কোনমতে চলছে কার্যক্রম। প্রতিটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা কর্মকর্তা, স্যাকমো, ফার্মাসিস্ট, মিডওয়াইফ এবং এমএলএসএসের পাঁচটি পদ রয়েছে। এরমধ্যে শুধু চিকিৎসা কর্মকর্তাই নয়, ফাঁকা রয়েছে অন্যান্য পদও। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এমন সমস্যা শুধু গাজীপুরেই নয়, সারা দেশেই কমবেশি দেখা যায়। প্রায়ই এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এরপরও কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙে না, সমস্যার ত্বরিত সমাধান করতে খুব একটা দেখা যায় না। গাজীপুরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর সমস্যা শুধু একটা নয়। প্রায় সব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই রয়েছে অবকাঠামোগত সমস্যা। কার্যক্রম চলছে পুরনো ও জারাজীর্ণ ভবনে। এগুলোর কোনটির ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে, আবার কোনটির পলেস্তারা খসে পড়ছে। এমনকি বসার জায়গাও নেই কিছু কেন্দ্রের। তাছাড়া অবৈধভাবে দখলদারদের কব্জায়ও রয়েছে কিছু কিছু উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। শ্রীপুর সদর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জায়গায় এখন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, এত সমস্যা নিয়ে এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো চলে কীভাবে। আর রোগীরা সেখানে কী সেবাই বা পাবেন। এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক রোগের চিকিৎসা পাওয়াই দুষ্কর। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো করা হয়েছে সহজে এবং সুলভে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য। এগুলো যদি আকণ্ঠ সমস্যায় নিমজ্জিত থাকে তাহলে এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মাঠে মারা যাওয়ার কথা, হচ্ছেও তাই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা পেতে সেই চিরাচরিত ভোগান্তি থেকেই যাচ্ছে।

আমরা বলতে চাই, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহজে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার এ কার্যক্রমকে গতিশীল করা হোক। গাজীপুরসহ দেশের অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে আছে কিন্তু কাজে যাচ্ছে না এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেখানে লোকবল নেই সেখানে লোকবলের ব্যবস্থা করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েও যারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে তাদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

পাশাপাশি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধান করতে হবে। যেসব জায়গা অবৈধ দখলদারদের কব্জায় আছে সেগুলো উদ্ধার করতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, সে যেই হোক না কেন।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর সমস্যা দূর করুন

রোববার, ০৩ অক্টোবর ২০২১

গাজীপুর জেলার ১৭টি উপস্বাস্থ্য ১৫টিতেই কোন চিকিৎসক নেই। এর মধ্যে একটি কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা (স্যাকমো) দিয়ে কোনমতে চলছে কার্যক্রম। প্রতিটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা কর্মকর্তা, স্যাকমো, ফার্মাসিস্ট, মিডওয়াইফ এবং এমএলএসএসের পাঁচটি পদ রয়েছে। এরমধ্যে শুধু চিকিৎসা কর্মকর্তাই নয়, ফাঁকা রয়েছে অন্যান্য পদও। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এমন সমস্যা শুধু গাজীপুরেই নয়, সারা দেশেই কমবেশি দেখা যায়। প্রায়ই এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এরপরও কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙে না, সমস্যার ত্বরিত সমাধান করতে খুব একটা দেখা যায় না। গাজীপুরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর সমস্যা শুধু একটা নয়। প্রায় সব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই রয়েছে অবকাঠামোগত সমস্যা। কার্যক্রম চলছে পুরনো ও জারাজীর্ণ ভবনে। এগুলোর কোনটির ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে, আবার কোনটির পলেস্তারা খসে পড়ছে। এমনকি বসার জায়গাও নেই কিছু কেন্দ্রের। তাছাড়া অবৈধভাবে দখলদারদের কব্জায়ও রয়েছে কিছু কিছু উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। শ্রীপুর সদর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জায়গায় এখন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, এত সমস্যা নিয়ে এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো চলে কীভাবে। আর রোগীরা সেখানে কী সেবাই বা পাবেন। এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক রোগের চিকিৎসা পাওয়াই দুষ্কর। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো করা হয়েছে সহজে এবং সুলভে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য। এগুলো যদি আকণ্ঠ সমস্যায় নিমজ্জিত থাকে তাহলে এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মাঠে মারা যাওয়ার কথা, হচ্ছেও তাই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা পেতে সেই চিরাচরিত ভোগান্তি থেকেই যাচ্ছে।

আমরা বলতে চাই, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহজে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার এ কার্যক্রমকে গতিশীল করা হোক। গাজীপুরসহ দেশের অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে আছে কিন্তু কাজে যাচ্ছে না এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেখানে লোকবল নেই সেখানে লোকবলের ব্যবস্থা করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েও যারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে তাদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

পাশাপাশি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধান করতে হবে। যেসব জায়গা অবৈধ দখলদারদের কব্জায় আছে সেগুলো উদ্ধার করতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, সে যেই হোক না কেন।

back to top