alt

মতামত » সম্পাদকীয়

শিক্ষার্থী উপস্থিতির প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন

: সোমবার, ০৪ অক্টোবর ২০২১

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার আশঙ্কাজনক হারে কম। স্কুল খোলার দ্ইু সপ্তাহ পর উপস্থিতির হার ৫ শতাংশ কমেছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টম্বর পর্যন্ত উপস্থিতির হার ছিল ৬০ দশমিক ২৭ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা কমে হয়েছে ৫৫ শতাংশ। এছাড়াও মাউশির নিয়মিত ‘অ্যাসাইনমেন্ট’র আওতার বাইরে রয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গড়ে উপস্থিতির হার ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। যা গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক জানিয়েছেন, অনেক অভিভাবকই ভাবছেন- করোনা সংক্রমণ একেবারে নির্মূল হয়নি। এ জন্য তারা সন্তানকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। টানা দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী আগাম সিলেবাস সম্পন্ন করেছে। তাছাড়া সিলেবাস ছোট করা, অ্যাসাইনমেন্ট বাসায় শেষ করা, বাল্যবিয়ে, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সিলেবাস শেষ হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

মহামারী করোনার সময় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, বিদ্যালয় খুললে অনেক শিক্ষার্থীই হয়তো আর ফিরবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরে সেই আশঙ্কা যেন সত্যে পরিণত হচ্ছে। স্কুল-কলেজ খোলার শুরুর তুলনায় এখন উপস্থিতি আরও কমেছে। ভবিষ্যতে উপস্থিতির এই হার আরও কমে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ হিসেবে মাউশি যা বলেছে তাতে মূল সমস্যাটা উঠে আসছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। মাউশির পরিচালক বলেছেন, করোনা সংক্রমণ নির্মূল না হওয়ার কারণে উপস্থিতির হার কমেছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবাই উন্মুখ ছিল। সংক্রমণ কমার আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি উঠেছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের আগেই খুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে করোনা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। এখন করোনার সংক্রমণ নিয়ে ভীতি আরও কমার কথা। করনোর সংক্রমণ কমলে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। বাস্তবে এর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে।

বিদ্যালয়ে উপস্থিতির প্রকৃত কারণ কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েছে কি না বা এড়িয়ে যাচ্ছে কি না সেই প্রশ্ন উঠেছে। বিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অনেক অভিভাবক সন্তানদের ভর্তি করেননি বলে জানা যাচ্ছে। তাছাড়া ‘লকডাউনে’ আয়রোজগার কমে যাওয়ায় বা বন্ধ হওয়ায় অনেক অভিভাবক সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছে না। আবার পরিবারে আয়রোজগারের আশায় অনেক শিক্ষার্থীই ইতিপূর্বে কাজে যোগ দিয়েছে। তাছাড়া করোনার মধ্যে যে বাল্যবিয়ে বেড়েছে তা সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকেই জানা যায়। এসব সমস্যাকেও আমলে নিতে হবে। প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করা না গেলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার কমতেই থাকবে। উপস্থিতি কমার প্রকৃত কারণগুলো চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

শিক্ষার্থী উপস্থিতির প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন

সোমবার, ০৪ অক্টোবর ২০২১

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার আশঙ্কাজনক হারে কম। স্কুল খোলার দ্ইু সপ্তাহ পর উপস্থিতির হার ৫ শতাংশ কমেছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টম্বর পর্যন্ত উপস্থিতির হার ছিল ৬০ দশমিক ২৭ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা কমে হয়েছে ৫৫ শতাংশ। এছাড়াও মাউশির নিয়মিত ‘অ্যাসাইনমেন্ট’র আওতার বাইরে রয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গড়ে উপস্থিতির হার ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। যা গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক জানিয়েছেন, অনেক অভিভাবকই ভাবছেন- করোনা সংক্রমণ একেবারে নির্মূল হয়নি। এ জন্য তারা সন্তানকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। টানা দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী আগাম সিলেবাস সম্পন্ন করেছে। তাছাড়া সিলেবাস ছোট করা, অ্যাসাইনমেন্ট বাসায় শেষ করা, বাল্যবিয়ে, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সিলেবাস শেষ হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

মহামারী করোনার সময় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, বিদ্যালয় খুললে অনেক শিক্ষার্থীই হয়তো আর ফিরবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরে সেই আশঙ্কা যেন সত্যে পরিণত হচ্ছে। স্কুল-কলেজ খোলার শুরুর তুলনায় এখন উপস্থিতি আরও কমেছে। ভবিষ্যতে উপস্থিতির এই হার আরও কমে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ হিসেবে মাউশি যা বলেছে তাতে মূল সমস্যাটা উঠে আসছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। মাউশির পরিচালক বলেছেন, করোনা সংক্রমণ নির্মূল না হওয়ার কারণে উপস্থিতির হার কমেছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেরার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবাই উন্মুখ ছিল। সংক্রমণ কমার আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি উঠেছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের আগেই খুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে করোনা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। এখন করোনার সংক্রমণ নিয়ে ভীতি আরও কমার কথা। করনোর সংক্রমণ কমলে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। বাস্তবে এর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে।

বিদ্যালয়ে উপস্থিতির প্রকৃত কারণ কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েছে কি না বা এড়িয়ে যাচ্ছে কি না সেই প্রশ্ন উঠেছে। বিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অনেক অভিভাবক সন্তানদের ভর্তি করেননি বলে জানা যাচ্ছে। তাছাড়া ‘লকডাউনে’ আয়রোজগার কমে যাওয়ায় বা বন্ধ হওয়ায় অনেক অভিভাবক সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছে না। আবার পরিবারে আয়রোজগারের আশায় অনেক শিক্ষার্থীই ইতিপূর্বে কাজে যোগ দিয়েছে। তাছাড়া করোনার মধ্যে যে বাল্যবিয়ে বেড়েছে তা সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকেই জানা যায়। এসব সমস্যাকেও আমলে নিতে হবে। প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করা না গেলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার কমতেই থাকবে। উপস্থিতি কমার প্রকৃত কারণগুলো চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top