রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্যবসা করতে চাওয়া গোষ্ঠীর নাম প্রকাশ করুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, (বাংলাদেশে) রিফিউজি থাকলে কিছু লোকের লাভই হয়। রিফিউজি পালতে পারলেই কোন কোন সংস্থার জন্য ব্যবসা। এরা না থাকলে তাদের চাকরি থাকবে না। দেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বসতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে দেয়ার অনেক প্রস্তাবও সরকারের কাছে আসে বলে তিনি জানান। সোমবার (৪ অক্টোবর) গণভবন থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

একটি চক্র চায়, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা স্থায়ী রূপ পাক- অতীতেও এমন অভিযোগ উঠেছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এই অভিযোগ ভিত্তি পেল। রোহিঙ্গাদের সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। তবে সাহায্য-সহযোগিতার আড়ালে কেউ এই সংকট নিয়ে ফায়দা লুটবে সেটা হতে পারে না। এখানে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে যারা হীন স্বার্থে ‘ব্যবসা’ করার পাঁয়তারা করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। শুধু তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাই যথেষ্ট নয়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনবিরোধী যে কোন অপতৎপরতা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। যারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্যবসা করতে চায় তাদের নাম জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে।

রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান করতে হলে তাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফিরতে হবে। মায়ানমার এই সংকট তৈরি করেছে, তাদেরই এর সমাধান করতে হবে। কিন্তু চার বছরেরও বেশি সময় পার হলেও দেশটি একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি। প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্ব শক্তিগুলোর ভূমিকাও হতাশজনক। এ নিয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক কূটনীতি ব্যর্থ হচ্ছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। বাংলাদেশের কোন আহ্বানেই কাক্সিক্ষত সাড়া মিলছে না। এমনকি বন্ধু হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলের দুই শক্তি চীন ও ভারতকেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। চীন এই ইস্যুতে এ পর্যন্ত যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেটাকে যথেষ্ট বলা যাবে না।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মায়ানমার যেন বাধ্য হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। দেশটি যে শুধু মুখের কথায় এই সমস্যার সমাধান করবে না সেটা অনেক আগেই স্পষ্ট হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে চীন ও ভারতকে আক্ষরিক অর্থে পাশে পাওয়া জরুরি। পাশাপাশি আসিয়ানকেও কাজে লাগাতে হবে।

‘সম্পাদকীয়’ : আরও খবর

» তফসিল ঘোষণা: সুষ্ঠু নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ সবার

» বাসাইলের স্বাস্থ্যব্যবস্থার করুণ চিত্র

» অবৈধ ইটভাটা: আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন

» সেচযন্ত্র চুরি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

» শীতজনিত রোগ: চাই সমন্বিত পদক্ষেপ

» সারের কৃত্রিম সংকট: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

» প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

» দুস্থ নারীদের অধিকার নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য কাম্য নয়

» দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

» চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

» এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

সম্প্রতি