alt

মতামত » সম্পাদকীয়

তাপমাত্রা ও রাজধানীবাসীর কর্মক্ষমতা

: বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১

বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বাড়ার প্রভাবে বিশ্বের যেসব শহরের মানুষের কর্মক্ষমতা কমছে সেগুলোর মধ্যে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের যৌথ গবেষণা থেকে জানা গেছে এ তথ্য। দেশটির বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস-এ গত সোমবার উক্ত গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এদিকে ঢাকার দাবদাহ নিয়ে সম্প্রতি ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি অন হিট ওয়েভ ইন ঢাকা’ শীর্ষক একটি যৌথ গবেষণা করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জার্মান রেডক্রস এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের গবেষণায় গরমের সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রভাবে ঢাকায় তাপপ্রবাহের ফলে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ২৫টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। গবেষকরা এসব এলাকাকে বলছেন ‘হিট আইল্যান্ড’।

কোন স্থানে তাপমাত্রা বাড়লে তার নেতিবাচক প্রভাব সেখানকার বাসিন্দাদের ওপর পড়ে। বিশেষ করে কায়িক শ্রম দেন যেসব মানুষ নানা শারীরিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। গরমের মৌসুমে অনেকে হিটস্ট্রোকেও আক্রান্ত হন। হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়। গরমজনিত নানা অসুখেও ভোগেন অনেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির আর্থ ইনস্টিটিউটের গবেষক ক্যাসকেড টুহলস্কির মতে, চরম উষ্ণতার প্রভাবে অসুস্থতা ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। মানুষের কর্মক্ষমতার ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তীব্র গরমের মতো প্রতিকূল আবহাওয়ায় স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচলনা করা দুরূহ হয়ে পড়ে। গরমের প্রভাবে ঢাকার মানুষের কর্মক্ষমতা কমার কারণে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে সেটা জানা জরুরি।

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা বাড়ার কারণগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের দায় ৩৭ শতাংশ। বাকি দায় অভ্যন্তরীণ। বৃক্ষনিধন, নদ-নদী দখল, অপরিকল্পিত নগরায়ন, ইটভাটা, কলকারখানা ও পরিবহনের দূষিত বায়ু প্রভৃতি কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় বিভিন্ন সময় সরকার যেসব অঙ্গীকার করেছে সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি।

তাপমাত্রা যেমন বাড়ছে, রাজধানীর জনসংখ্যাও তেমন বাড়ছে। ১৯৮৩ সালে ঢাকার জনসংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। ২০১৬ সালে সেটা হয়েছে প্রায় দুই কোটি। ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা বাড়ছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ হারে। গবেষকরা বলছেন, বিশ্বের মধ্যে ঢাকার জনসংখ্যা সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে। নানা প্রয়োজনে প্রতিদিনই লাখো মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে আসে। রাজধানীতে মানুষের এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এজন্য বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই।

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

তাপমাত্রা ও রাজধানীবাসীর কর্মক্ষমতা

বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১

বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বাড়ার প্রভাবে বিশ্বের যেসব শহরের মানুষের কর্মক্ষমতা কমছে সেগুলোর মধ্যে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের যৌথ গবেষণা থেকে জানা গেছে এ তথ্য। দেশটির বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস-এ গত সোমবার উক্ত গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এদিকে ঢাকার দাবদাহ নিয়ে সম্প্রতি ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি অন হিট ওয়েভ ইন ঢাকা’ শীর্ষক একটি যৌথ গবেষণা করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জার্মান রেডক্রস এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের গবেষণায় গরমের সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রভাবে ঢাকায় তাপপ্রবাহের ফলে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ২৫টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। গবেষকরা এসব এলাকাকে বলছেন ‘হিট আইল্যান্ড’।

কোন স্থানে তাপমাত্রা বাড়লে তার নেতিবাচক প্রভাব সেখানকার বাসিন্দাদের ওপর পড়ে। বিশেষ করে কায়িক শ্রম দেন যেসব মানুষ নানা শারীরিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। গরমের মৌসুমে অনেকে হিটস্ট্রোকেও আক্রান্ত হন। হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়। গরমজনিত নানা অসুখেও ভোগেন অনেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির আর্থ ইনস্টিটিউটের গবেষক ক্যাসকেড টুহলস্কির মতে, চরম উষ্ণতার প্রভাবে অসুস্থতা ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। মানুষের কর্মক্ষমতার ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তীব্র গরমের মতো প্রতিকূল আবহাওয়ায় স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচলনা করা দুরূহ হয়ে পড়ে। গরমের প্রভাবে ঢাকার মানুষের কর্মক্ষমতা কমার কারণে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে সেটা জানা জরুরি।

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা বাড়ার কারণগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের দায় ৩৭ শতাংশ। বাকি দায় অভ্যন্তরীণ। বৃক্ষনিধন, নদ-নদী দখল, অপরিকল্পিত নগরায়ন, ইটভাটা, কলকারখানা ও পরিবহনের দূষিত বায়ু প্রভৃতি কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় বিভিন্ন সময় সরকার যেসব অঙ্গীকার করেছে সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি।

তাপমাত্রা যেমন বাড়ছে, রাজধানীর জনসংখ্যাও তেমন বাড়ছে। ১৯৮৩ সালে ঢাকার জনসংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। ২০১৬ সালে সেটা হয়েছে প্রায় দুই কোটি। ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা বাড়ছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ হারে। গবেষকরা বলছেন, বিশ্বের মধ্যে ঢাকার জনসংখ্যা সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে। নানা প্রয়োজনে প্রতিদিনই লাখো মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে আসে। রাজধানীতে মানুষের এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এজন্য বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই।

back to top