alt

opinion » editorial

ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিন

: বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১

জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার বিসিএস প্রশাসন একাডেমির আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি এই আহ্বান জানান। তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আপনারা নিবেদিত থাকবেন, জনগণের পাশে থাকবেন। মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করবেন। বিচারের বাণী যেন নিভৃতে না কাঁদে।

মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। ন্যায়বিচারপ্রত্যাশী প্রতিটি মানুষের মনের কথাটি তিনি উচ্চারণ করেছেন। বিচার চেয়ে তা না পেয়ে নিভৃতে কাঁদছেন যেসব মানুষ তারা প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে নতুন করে আশাবাদী হতে পারেন। ন্যায়বিচার না পাওয়ার যন্ত্রণা যে কত তীব্র ও বেদানাদায়ক সেটা প্রধানমন্ত্রী জানেন। কারণ, তিনিও একজন ভুক্তভোগী। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে তার বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়েছিল। মামলা করা বা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকারটুকুও ছিল না।

যথাসময়ে বিচার না হওয়ায় শুধু বঙ্গবন্ধুর পরিবারই দীর্ঘকাল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়নি, বাংলাদেশের মানুষকেও অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। ’৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও তারা করেছে। এটা এখনও চলমান।

ন্যায়বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় আছে সোহাগী জাহান তনুর স্বজনরা। বিচার চেয়ে তা না পেয়ে নিভৃতে কাঁদছে ত্বকী, সাগর-রুনি, কক্সবাজারের একরামের পরিবার। রাষ্ট্রের কাছে স্বজন হত্যার বিচার বা নিখোঁজ স্বজনের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে বা রাজপথে প্রকাশ্যেও কাঁদছে বহু পরিবার। নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনরা এটাও জানেন না যে, তাদের প্রিয়জন আদৌ বেঁচে আছে কিনা। বিচার চেয়েও সেটা কেন মিলছে না তার কোন উত্তর নেই। স্বজন হত্যার বিচার পাওয়ার পথে দেশে নেই কোন কালো আইন। অথচ তারা এখনও বিচার পাননি।

আমরা মনে করি, জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার যে আহ্বান প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন সেটা সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের জন্যই প্রযোজ্য। রাষ্ট্র কাঠামোর বিভিন্ন স্তরে বিচারপ্রার্থীকে ন্যায়বিচার দেয়ার দায়িত্বে যারা নিয়োজিত আছেন তারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মর্মার্থ অনুধাবন করবেন সেটা আমাদের আশা। তারা প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিলে বিচারপ্রার্থী মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটবে, বিচারের বাণী নিভৃতে আর কাঁদবে না। সরকারপ্রধানের বক্তব্যের পর বিচার নিশ্চিত করার কাজে নিয়োজিতদের আর কালক্ষেপণ করা কাম্য নয়।

আমরা আশা করব, সর্বক্ষেত্রে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটবে। ন্যায়বিচার দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ সবসময় জনগণের পাশে থাকবে। তাহলেই মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিন

বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১

জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার বিসিএস প্রশাসন একাডেমির আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি এই আহ্বান জানান। তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আপনারা নিবেদিত থাকবেন, জনগণের পাশে থাকবেন। মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করবেন। বিচারের বাণী যেন নিভৃতে না কাঁদে।

মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। ন্যায়বিচারপ্রত্যাশী প্রতিটি মানুষের মনের কথাটি তিনি উচ্চারণ করেছেন। বিচার চেয়ে তা না পেয়ে নিভৃতে কাঁদছেন যেসব মানুষ তারা প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে নতুন করে আশাবাদী হতে পারেন। ন্যায়বিচার না পাওয়ার যন্ত্রণা যে কত তীব্র ও বেদানাদায়ক সেটা প্রধানমন্ত্রী জানেন। কারণ, তিনিও একজন ভুক্তভোগী। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে তার বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়েছিল। মামলা করা বা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকারটুকুও ছিল না।

যথাসময়ে বিচার না হওয়ায় শুধু বঙ্গবন্ধুর পরিবারই দীর্ঘকাল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়নি, বাংলাদেশের মানুষকেও অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। ’৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও তারা করেছে। এটা এখনও চলমান।

ন্যায়বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় আছে সোহাগী জাহান তনুর স্বজনরা। বিচার চেয়ে তা না পেয়ে নিভৃতে কাঁদছে ত্বকী, সাগর-রুনি, কক্সবাজারের একরামের পরিবার। রাষ্ট্রের কাছে স্বজন হত্যার বিচার বা নিখোঁজ স্বজনের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে বা রাজপথে প্রকাশ্যেও কাঁদছে বহু পরিবার। নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনরা এটাও জানেন না যে, তাদের প্রিয়জন আদৌ বেঁচে আছে কিনা। বিচার চেয়েও সেটা কেন মিলছে না তার কোন উত্তর নেই। স্বজন হত্যার বিচার পাওয়ার পথে দেশে নেই কোন কালো আইন। অথচ তারা এখনও বিচার পাননি।

আমরা মনে করি, জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার যে আহ্বান প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন সেটা সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের জন্যই প্রযোজ্য। রাষ্ট্র কাঠামোর বিভিন্ন স্তরে বিচারপ্রার্থীকে ন্যায়বিচার দেয়ার দায়িত্বে যারা নিয়োজিত আছেন তারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মর্মার্থ অনুধাবন করবেন সেটা আমাদের আশা। তারা প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিলে বিচারপ্রার্থী মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটবে, বিচারের বাণী নিভৃতে আর কাঁদবে না। সরকারপ্রধানের বক্তব্যের পর বিচার নিশ্চিত করার কাজে নিয়োজিতদের আর কালক্ষেপণ করা কাম্য নয়।

আমরা আশা করব, সর্বক্ষেত্রে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটবে। ন্যায়বিচার দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ সবসময় জনগণের পাশে থাকবে। তাহলেই মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

back to top