alt

মতামত » সম্পাদকীয়

দক্ষতা ও মেধাভিত্তিক শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে হবে

: শুক্রবার, ০৮ অক্টোবর ২০২১

বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বিদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হচ্ছে গত চার বছর ধরে। বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে বিদেশের শ্রমবাজার ছোট হতে থাকে আরও দ্রুত। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বিদেশে গেছেন প্রায় ২ লাখ ৭৬ হাজার জন। অথচ ২০১৭ সালে বিদেশে গিয়েছিলেন ১০ লাখের বেশি কর্মী।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। আর ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুয়ার। যদিও গত বছর বাংলাদেশিদের জন্য আমিরাত আবার সীমিত আকারে দ্বার খুলেছে। আগের মতো সৌদি আরবই এখনো বাংলাদেশি শ্রমিকদের মূল গন্তব্যস্থল। বিএমইটির হিসাব মোতাবেক, ১৯৭৫ সাল থেকে যত কর্মী বিদেশ গেছেন তার মধ্যে ৩৩ শতাংশই গেছেন সৌদি আরব। আর চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বিদেশে যাওয়া কর্মীদের মধ্যে ৭৮ ভাগই গেছেন সৌদিতে। পুরোনো শ্রমবাজারে মন্দা, একই গন্ডিতে ঘুরপাক খাওয়া এবং কাক্সিক্ষত হারে নতুন শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে না পারার কারণে বাংলাদেশি কর্মীদের বিদেশে কাজ করার সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় উৎস প্রবাসী শ্রমিক। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করে বলেছিলেন, মহামারীর সময় প্রবাসী আয় কমবে। কিন্তু তাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে প্রবাসীরা দেশে রেকর্ড পরিমাণ টাকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু প্রবাসী আয়ে ভাটা পড়তে শুরু করেছে। টানা তিন মাস ধরে কমছে প্রবাসী আয়। মহামারীর কারণে অনেক প্রবাসী বাধ্য হয়ে দেশে ফিরে আসছেন। অনেকে বলছেন, রেমিটেন্সের জাদু এখন আর নেই। বিষয়টি সরকারকে এখনই গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।

শ্রমবাজার প্রসারিত করতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। বন্ধ হওয়া মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবার খুলবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে বিদ্যমান শ্রমবাজারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকলে চলবে না। নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজতে হবে। এ লক্ষ্যে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশি যেসব শ্রমিক কাজ নিয়ে বিদেশে যান তাদের বেশিরভাগই অদক্ষ। নির্মাণ খাতে, রেস্তোরাঁ, দোকানপাট আর গৃহকর্মই তাদের মূল ভরসা। সমস্যা হচ্ছে, অদক্ষ জনশক্তির চাহিদা বিশ্ববাজারে দিন দিন কমছে। দক্ষতা ও মেধাভিত্তিক শ্রমবাজারে প্রবেশ করার লক্ষ্য নিয়ে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। এজন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরির বিকল্প নেই। আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের প্রয়োজনকে বিবেচনায় রেখে সে অনুযায়ী প্রশিক্ষত জনবল গড়ে তোলা জরুরি। এজন্য দরকার মানসম্মত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও যোগ্য প্রশিক্ষক।

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

দক্ষতা ও মেধাভিত্তিক শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে হবে

শুক্রবার, ০৮ অক্টোবর ২০২১

বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বিদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হচ্ছে গত চার বছর ধরে। বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে বিদেশের শ্রমবাজার ছোট হতে থাকে আরও দ্রুত। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বিদেশে গেছেন প্রায় ২ লাখ ৭৬ হাজার জন। অথচ ২০১৭ সালে বিদেশে গিয়েছিলেন ১০ লাখের বেশি কর্মী।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। আর ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুয়ার। যদিও গত বছর বাংলাদেশিদের জন্য আমিরাত আবার সীমিত আকারে দ্বার খুলেছে। আগের মতো সৌদি আরবই এখনো বাংলাদেশি শ্রমিকদের মূল গন্তব্যস্থল। বিএমইটির হিসাব মোতাবেক, ১৯৭৫ সাল থেকে যত কর্মী বিদেশ গেছেন তার মধ্যে ৩৩ শতাংশই গেছেন সৌদি আরব। আর চলতি বছরের প্রথম আট মাসে বিদেশে যাওয়া কর্মীদের মধ্যে ৭৮ ভাগই গেছেন সৌদিতে। পুরোনো শ্রমবাজারে মন্দা, একই গন্ডিতে ঘুরপাক খাওয়া এবং কাক্সিক্ষত হারে নতুন শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে না পারার কারণে বাংলাদেশি কর্মীদের বিদেশে কাজ করার সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় উৎস প্রবাসী শ্রমিক। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করে বলেছিলেন, মহামারীর সময় প্রবাসী আয় কমবে। কিন্তু তাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে প্রবাসীরা দেশে রেকর্ড পরিমাণ টাকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু প্রবাসী আয়ে ভাটা পড়তে শুরু করেছে। টানা তিন মাস ধরে কমছে প্রবাসী আয়। মহামারীর কারণে অনেক প্রবাসী বাধ্য হয়ে দেশে ফিরে আসছেন। অনেকে বলছেন, রেমিটেন্সের জাদু এখন আর নেই। বিষয়টি সরকারকে এখনই গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।

শ্রমবাজার প্রসারিত করতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। বন্ধ হওয়া মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবার খুলবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে বিদ্যমান শ্রমবাজারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকলে চলবে না। নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজতে হবে। এ লক্ষ্যে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশি যেসব শ্রমিক কাজ নিয়ে বিদেশে যান তাদের বেশিরভাগই অদক্ষ। নির্মাণ খাতে, রেস্তোরাঁ, দোকানপাট আর গৃহকর্মই তাদের মূল ভরসা। সমস্যা হচ্ছে, অদক্ষ জনশক্তির চাহিদা বিশ্ববাজারে দিন দিন কমছে। দক্ষতা ও মেধাভিত্তিক শ্রমবাজারে প্রবেশ করার লক্ষ্য নিয়ে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। এজন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরির বিকল্প নেই। আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের প্রয়োজনকে বিবেচনায় রেখে সে অনুযায়ী প্রশিক্ষত জনবল গড়ে তোলা জরুরি। এজন্য দরকার মানসম্মত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও যোগ্য প্রশিক্ষক।

back to top