alt

opinion » editorial

আফগানিস্তানে শান্তির দেখা মিলবে কবে

: শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় মারা গেছেন অন্তত ৫০ জন এবং আহত হয়েছেন শতাধিক। স্থানীয় শিয়া সম্প্রদায় উক্ত মসজিদে নামাজ পড়ত। মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার পর এটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশটির আঞ্চলিক জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আইএস-কে’ এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এ জঙ্গিগোষ্ঠী সম্প্রতি কাবুল বিমানবন্দরসহ দেশটির পূর্বাঞ্চলে বেশ কিছু বোমা হামলা চালিয়েছে। অতীতে তারা সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের ওপরও হামলা চালিয়েছে।

বোমা হামলার ঘটনায় আবারও এই প্রশ্ন উঠেছে যে, আফগানিস্তানে শান্তির দেখা মিলবে কবে। মার্কিন বাহিনীর হাতে তালেবানদের পতনের পর সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা পায়নি। মার্কিন বাহিনী বিদায় নেয়ার পরও শান্তির দেখা মিলছে না। তালেবান শাসন নিয়ে দেশটির ভেতরে-বাইরে নানা প্রশ্ন রয়েছে। তবে তারা কোন বহির্শক্তি নয়। বাস্তবতা হচ্ছে আগেও তারা দেশ শাসন করেছে, এখন তারা আবার ক্ষমতায় এসেছে। একটি অভ্যন্তরীণ শক্তি শাসন ক্ষমতায় থাকলে আফগানিস্তান অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল হতে পারে বলে অনেকে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু শান্তির দেখা মিলছে না। বরং সেখানে নতুন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির নানা লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশটিতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মাদক বাণিজ্য ছড়িয়ে পড়েছে।

সংঘাত-সংঘর্ষের অবসান ঘটানো না গেলে আফগানিস্তানে বড় ধরনের মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে। এই অঞ্চল তো বটেই গোটা বিশ্বেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। দেশটির সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অপতৎপরতা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তির জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে। শরণার্থী সংকটের কথাও ভাবতে হবে।

আমরা দেখতে চাই যে, আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব শক্তিগুলোকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে বলে আমরা মনে করি। রক্তপাতের অবসান ঘটিয়ে দেশটির জনগণের দুর্দশা লাঘবে অভ্যন্তরীণ শক্তির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শক্তিকেও কাজ করতে হবে। কারণ আফগানিস্তানকে ঘিরে একাধিক পরাশক্তির নানা স্বার্থ কাজ করছে। কাজেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছাড়া দেশটির মানুষের পক্ষে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হবে।

আফগানিস্তানের মানুষ শান্তিপূর্ণ জীবন ফিরে পাক, দেশটির পরিবেশ নিরাপদ ও স্থিতিশীল হোক সেটাই আমাদের কামনা। তবে মানুষ হত্যা করে এর কোনটাই পূরণ করা যাবে না। সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবার আগে দেশটির বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়কে আত্মঘাতী ও ভ্রাতৃঘাতী হামলা বন্ধ করতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

আফগানিস্তানে শান্তির দেখা মিলবে কবে

শনিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২১

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় মারা গেছেন অন্তত ৫০ জন এবং আহত হয়েছেন শতাধিক। স্থানীয় শিয়া সম্প্রদায় উক্ত মসজিদে নামাজ পড়ত। মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার পর এটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশটির আঞ্চলিক জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আইএস-কে’ এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এ জঙ্গিগোষ্ঠী সম্প্রতি কাবুল বিমানবন্দরসহ দেশটির পূর্বাঞ্চলে বেশ কিছু বোমা হামলা চালিয়েছে। অতীতে তারা সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের ওপরও হামলা চালিয়েছে।

বোমা হামলার ঘটনায় আবারও এই প্রশ্ন উঠেছে যে, আফগানিস্তানে শান্তির দেখা মিলবে কবে। মার্কিন বাহিনীর হাতে তালেবানদের পতনের পর সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা পায়নি। মার্কিন বাহিনী বিদায় নেয়ার পরও শান্তির দেখা মিলছে না। তালেবান শাসন নিয়ে দেশটির ভেতরে-বাইরে নানা প্রশ্ন রয়েছে। তবে তারা কোন বহির্শক্তি নয়। বাস্তবতা হচ্ছে আগেও তারা দেশ শাসন করেছে, এখন তারা আবার ক্ষমতায় এসেছে। একটি অভ্যন্তরীণ শক্তি শাসন ক্ষমতায় থাকলে আফগানিস্তান অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল হতে পারে বলে অনেকে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু শান্তির দেখা মিলছে না। বরং সেখানে নতুন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির নানা লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশটিতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মাদক বাণিজ্য ছড়িয়ে পড়েছে।

সংঘাত-সংঘর্ষের অবসান ঘটানো না গেলে আফগানিস্তানে বড় ধরনের মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে। এই অঞ্চল তো বটেই গোটা বিশ্বেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। দেশটির সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর অপতৎপরতা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তির জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে। শরণার্থী সংকটের কথাও ভাবতে হবে।

আমরা দেখতে চাই যে, আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব শক্তিগুলোকে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে বলে আমরা মনে করি। রক্তপাতের অবসান ঘটিয়ে দেশটির জনগণের দুর্দশা লাঘবে অভ্যন্তরীণ শক্তির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শক্তিকেও কাজ করতে হবে। কারণ আফগানিস্তানকে ঘিরে একাধিক পরাশক্তির নানা স্বার্থ কাজ করছে। কাজেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছাড়া দেশটির মানুষের পক্ষে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হবে।

আফগানিস্তানের মানুষ শান্তিপূর্ণ জীবন ফিরে পাক, দেশটির পরিবেশ নিরাপদ ও স্থিতিশীল হোক সেটাই আমাদের কামনা। তবে মানুষ হত্যা করে এর কোনটাই পূরণ করা যাবে না। সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবার আগে দেশটির বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়কে আত্মঘাতী ও ভ্রাতৃঘাতী হামলা বন্ধ করতে হবে।

back to top