alt

মতামত » সম্পাদকীয়

হত্যাকান্ডগুলো ‘আত্মহত্যা’য় পরিণত হলো কীভাবে

: সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১

পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল আত্মহত্যা। কিন্তু পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অধিকতর তদন্তে জানা গেল ‘আত্মহত্যাগুলো’ আদতে একেকটি হত্যাকান্ড। অন্তত ১৩টি হত্যাকান্ডের মূলরহস্য উদঘাটন হয়েছে পিবিআইয়ের তদন্তে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের অনেকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। এসব হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার ও জব্দ করেছে পিবিআই। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করায় আমরা পিবিআইকে সাধুবাদ জানাই। এখন ভিকটিমের স্বজনদের ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সুগম হবে। যেকোনো অপরাধের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার পেতে হলে এর প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা জরুরি। কারণ উদঘাটনের কাজে গলদ থাকলে ন্যায় বিচারের পথ যেমন রুদ্ধ হয় তেমনি অনেক নিরপরাধ ব্যক্তির জীবনেও দুর্ভোগ নেমে আসতে পারে।

প্রশ্ন হচ্ছে, আদতে যেগুলো হত্যাকান্ড ছিল সেগুলো কেন আত্মহত্যার ঘটনায় পরিণত হলো। এই প্রশ্নের উত্তর কী পিবাআইর অধিকতর তদন্তে বের হয়ে এসেছে? এতগুলো হত্যাকান্ড কাদের গাফিলতিতে আত্মহত্যায় পরিণত হয়েছে? ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও বলা হয়েছে আত্মহত্যা। কোন কোন মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় পুলিশ ‘আত্মহত্যা’ হিসেবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।

পিবিআইয়ের ডিআইজি জানিয়েছেন, সঠিক ময়নাতদন্ত না হওয়ার ক্ষেত্রে একটি প্রধান কারণ হলো, ফরেনসিকের ওপর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকা। তাছাড়া আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবও এজন্য দায়ী। তদন্তের ক্ষেত্রে সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আর পিবিআইয়ের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন, বাদী-বিবাদীসহ সবার সঙ্গে কথা বলে মামলার ক্লু উদঘাটন করেছে।

একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বলছেন, পূর্বে ময়নাতদন্ত ছাড়াও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ সব কিছু বিবেচনা করে প্রতিবেদন দিত। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। তাছাড়া দেশে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের অভাবও রয়েছে। কলেজগুলোতে বিশেষজ্ঞ থাকলেও জেলা হাসপাতালে নেই।

তবে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকতাদের ভূমিকা সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। সুষ্ঠু ও যথাযথ তদন্ত করলে পুলিশের পক্ষেই হয়তো হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হতো। অনেক অপরাধের তদন্তই সুষ্ঠু হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের তদন্তে বাদীপক্ষের নারাজি দেয়া বা আদালতের সন্তষ্ট না হওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। অনেক মামলাতেই দেখা গেছে পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে আদালত পিবিআই, র‌্যাব বা অন্য কোন সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। পুলিশের তদন্ত সুষ্ঠু না হলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজ কঠিন হয়ে যায়। আমরা বলতে চাই, উল্লিখিত মামালাগুলোর তদন্তকাজে পুলিশের কী ভূমিকা ছিল সেটাও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

হত্যাকান্ডগুলো ‘আত্মহত্যা’য় পরিণত হলো কীভাবে

সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১

পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল আত্মহত্যা। কিন্তু পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অধিকতর তদন্তে জানা গেল ‘আত্মহত্যাগুলো’ আদতে একেকটি হত্যাকান্ড। অন্তত ১৩টি হত্যাকান্ডের মূলরহস্য উদঘাটন হয়েছে পিবিআইয়ের তদন্তে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের অনেকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। এসব হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার ও জব্দ করেছে পিবিআই। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করায় আমরা পিবিআইকে সাধুবাদ জানাই। এখন ভিকটিমের স্বজনদের ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সুগম হবে। যেকোনো অপরাধের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার পেতে হলে এর প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা জরুরি। কারণ উদঘাটনের কাজে গলদ থাকলে ন্যায় বিচারের পথ যেমন রুদ্ধ হয় তেমনি অনেক নিরপরাধ ব্যক্তির জীবনেও দুর্ভোগ নেমে আসতে পারে।

প্রশ্ন হচ্ছে, আদতে যেগুলো হত্যাকান্ড ছিল সেগুলো কেন আত্মহত্যার ঘটনায় পরিণত হলো। এই প্রশ্নের উত্তর কী পিবাআইর অধিকতর তদন্তে বের হয়ে এসেছে? এতগুলো হত্যাকান্ড কাদের গাফিলতিতে আত্মহত্যায় পরিণত হয়েছে? ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও বলা হয়েছে আত্মহত্যা। কোন কোন মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় পুলিশ ‘আত্মহত্যা’ হিসেবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।

পিবিআইয়ের ডিআইজি জানিয়েছেন, সঠিক ময়নাতদন্ত না হওয়ার ক্ষেত্রে একটি প্রধান কারণ হলো, ফরেনসিকের ওপর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকা। তাছাড়া আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবও এজন্য দায়ী। তদন্তের ক্ষেত্রে সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আর পিবিআইয়ের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন, বাদী-বিবাদীসহ সবার সঙ্গে কথা বলে মামলার ক্লু উদঘাটন করেছে।

একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বলছেন, পূর্বে ময়নাতদন্ত ছাড়াও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ সব কিছু বিবেচনা করে প্রতিবেদন দিত। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। তাছাড়া দেশে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের অভাবও রয়েছে। কলেজগুলোতে বিশেষজ্ঞ থাকলেও জেলা হাসপাতালে নেই।

তবে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকতাদের ভূমিকা সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। সুষ্ঠু ও যথাযথ তদন্ত করলে পুলিশের পক্ষেই হয়তো হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হতো। অনেক অপরাধের তদন্তই সুষ্ঠু হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের তদন্তে বাদীপক্ষের নারাজি দেয়া বা আদালতের সন্তষ্ট না হওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। অনেক মামলাতেই দেখা গেছে পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে আদালত পিবিআই, র‌্যাব বা অন্য কোন সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। পুলিশের তদন্ত সুষ্ঠু না হলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজ কঠিন হয়ে যায়। আমরা বলতে চাই, উল্লিখিত মামালাগুলোর তদন্তকাজে পুলিশের কী ভূমিকা ছিল সেটাও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top