alt

মতামত » সম্পাদকীয়

মাথাপিছু আয়

: শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্যানুযায়ী ২০২১ সালে চলতি মূল্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে দুই হাজার ১৩৮ দশমিক ৭৯৪ ডলার, যা গত বছর ছিল এক হাজার ৯৬১ দশমিক ৬১৪ ডলার। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় সংস্থাটি।

এক দশক আগেও ২০১০-১১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ৮২৫ ডলার। নিসন্দেহে অনেক এগিয়েছে। বিশেষজ্ঞদে মতে, বাস্তবতার সঙ্গে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির কোন মিল নেই। কারা এই টাকার মালিক হচ্ছে? সাধারণ মানুষের আয় কি বাড়লো? মাথাপিছু জিডিপি বাড়লেই যে সার্বিক অর্থনীতি এগিয়ে, তা বলা যাবে না। কারণ, মাথাপিছু জিডিপির মধ্যে জীবনযাত্রার মানের অনেক সূচক অন্তর্ভুক্ত থাকে না। ক্রয়ক্ষমতার সমতা বা পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি (পিপিপি) সূচকে অনেক পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তবে মাথাপিছু জিডিপি বেশি হওয়াও অর্থনীতি এগিয়ে যাওয়ার একটি পূর্ব লক্ষণ।

প্রশ্ন হচ্ছে, মাথাপিছু আয় বাড়ার পরেও কি দেশের মানুষ সুবিধা পাচ্ছে? গত বছরের জুন মাসে প্রকাশিত ব্র্যাকের জরিপে দেখা যায়, সোয়া পাঁচ কোটি মানুষের দৈনিক আয় দুই ডলারের নিচে নেমে এসেছে। বছরের শুরুতে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) জরিপ মতে, করোনার প্রভাবে দেশে সার্বিক দারিদ্র্যের হার (আপার পোভার্টি রেট) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ শতাংশ।

অক্টোবরে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ বলছে, করোনায় সারাদেশের মানুষের আয় কমেছে ২০ শতাংশ। গত এপ্রিলে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) জরিপে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাবে দেশে নতুন করে দুই কোটি ৪৫ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নতুন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যা আগের বছরের জুন পর্যন্ত ছিল ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ।

গত মে মাসে প্রকাশিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) তথ্যমতে, করোনা মহামারীর কারণে গত এক বছরে ৬২ শতাংশ মানুষ তাদের কাজ হারিয়েছেন। আর করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাবে গত এক বছরেরও বেশি সময়ে বিদেশ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ প্রবাসী কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছে। গত জুলাই মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া গত বছর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশে বেকারত্বের হার ২২ শতাংশের ওপরে চলে যায়।

মুদ্রাস্ফীতি দেখে মনে হয় না এই মাথাপিছু প্রবৃদ্ধির হার ঠিক আছে। বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কেবল পেটের দায় মেটানোর জন্যই সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, মাথাপিছু আয় বাড়লে দেশে দারিদ্র্য বাড়ছে কেন, পেটের দায় মেটাতে গিয়ে তাদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন, তাহলে এ মাথাপিছু আয় বাড়ার সুফল কারা ভোগ করছে?

অর্থনীতিবিদদের মতে, প্রবৃদ্ধির হিসাবে দেশ অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু, এই প্রবৃদ্ধির ফলে গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া সব মানুষ লাভবান হয়নি। বৈষম্য এমনভাবে বাড়ছে যে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির সুফল একটা ক্ষুদ্র ধনাঢ্য গোষ্ঠীর কাছে গিয়ে জমছে। আর এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ সম্প্রতি দেশে কোটিপতি বৃদ্ধির হিসাব। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, ছয় মাসে দেশে কোটিপতি হিসাব বেড়েছে ছয় হাজার ২৮টি, যা ১৯৭২ সালে ছিল মাত্র পাঁচটি। আর চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এই হিসাব লাখ ছুঁইছুঁই করছে (৯৯ হাজার ৯১৮টি)। ফলে ধনী আরও ধনী হয়েছে, গরিব হয়ছে আরও গরিব।

মাথাপিছু আয় বা প্রবৃদ্ধি বাড়া দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার একটা সূচক। আয় বাড়লেই যে অবস্থার পরিবর্তন হয়ে যাবে- বিষয়টি তা নয়। উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেয়ার জন্য সম্পদের সুষম বণ্টন জরুরি। অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশের মাথাপিছু আয় বাড়লে বা উন্নয়ন হলেও বৈষম্য বাড়ে। বৈষম্য থাকলে প্রবৃদ্ধি ৯-১০ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব নয়। গত কয়েক বছরে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বেশ গতি আছে। অবশ্য বৈষম্য আগের চেয়ে বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকৃতপক্ষে পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র বা অন্য কোন মতবাদ এলেই আয়বৈষম্য দূর করতে পারবে, সেটা জোর দিয়ে বলা যায় না। আবার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমদের দেশের আয়বৈষম্য পুরোপুরি দূর করা অসম্ভব নয়। আর এই আয়বৈষম্য কমানোর একটি উপায় হচ্ছে, সঠিকভাবে কর আদায়।

কিন্তু, অভিযোগ আছে সুষম আয় বণ্টনের কাজটি ঠিকমতো হচ্ছে না। মানুষের আয় যত বেশি হবে, তার করও তত বেশি দেয়ার কথা। কিন্তু, দেশে ধনবান মানুষরা কর ফাঁকি দেন। যে কারণে দেশে একদিকে ধনীর সংখাও বাড়ছে, অন্যদিকে দারিদ্র্যের সংখ্যাও বাড়ছে। আশা করব, সরকার সম্পদের সুষম বণ্টনের কাজে মনোযোগী হবে।

ছবি

সম্পাদক পরিষদের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

মাথাপিছু আয়

শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্যানুযায়ী ২০২১ সালে চলতি মূল্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে দুই হাজার ১৩৮ দশমিক ৭৯৪ ডলার, যা গত বছর ছিল এক হাজার ৯৬১ দশমিক ৬১৪ ডলার। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় সংস্থাটি।

এক দশক আগেও ২০১০-১১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ৮২৫ ডলার। নিসন্দেহে অনেক এগিয়েছে। বিশেষজ্ঞদে মতে, বাস্তবতার সঙ্গে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির কোন মিল নেই। কারা এই টাকার মালিক হচ্ছে? সাধারণ মানুষের আয় কি বাড়লো? মাথাপিছু জিডিপি বাড়লেই যে সার্বিক অর্থনীতি এগিয়ে, তা বলা যাবে না। কারণ, মাথাপিছু জিডিপির মধ্যে জীবনযাত্রার মানের অনেক সূচক অন্তর্ভুক্ত থাকে না। ক্রয়ক্ষমতার সমতা বা পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি (পিপিপি) সূচকে অনেক পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তবে মাথাপিছু জিডিপি বেশি হওয়াও অর্থনীতি এগিয়ে যাওয়ার একটি পূর্ব লক্ষণ।

প্রশ্ন হচ্ছে, মাথাপিছু আয় বাড়ার পরেও কি দেশের মানুষ সুবিধা পাচ্ছে? গত বছরের জুন মাসে প্রকাশিত ব্র্যাকের জরিপে দেখা যায়, সোয়া পাঁচ কোটি মানুষের দৈনিক আয় দুই ডলারের নিচে নেমে এসেছে। বছরের শুরুতে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) জরিপ মতে, করোনার প্রভাবে দেশে সার্বিক দারিদ্র্যের হার (আপার পোভার্টি রেট) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ শতাংশ।

অক্টোবরে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ বলছে, করোনায় সারাদেশের মানুষের আয় কমেছে ২০ শতাংশ। গত এপ্রিলে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) জরিপে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাবে দেশে নতুন করে দুই কোটি ৪৫ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নতুন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যা আগের বছরের জুন পর্যন্ত ছিল ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ।

গত মে মাসে প্রকাশিত বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) তথ্যমতে, করোনা মহামারীর কারণে গত এক বছরে ৬২ শতাংশ মানুষ তাদের কাজ হারিয়েছেন। আর করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাবে গত এক বছরেরও বেশি সময়ে বিদেশ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ প্রবাসী কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছে। গত জুলাই মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া গত বছর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশে বেকারত্বের হার ২২ শতাংশের ওপরে চলে যায়।

মুদ্রাস্ফীতি দেখে মনে হয় না এই মাথাপিছু প্রবৃদ্ধির হার ঠিক আছে। বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কেবল পেটের দায় মেটানোর জন্যই সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, মাথাপিছু আয় বাড়লে দেশে দারিদ্র্য বাড়ছে কেন, পেটের দায় মেটাতে গিয়ে তাদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন, তাহলে এ মাথাপিছু আয় বাড়ার সুফল কারা ভোগ করছে?

অর্থনীতিবিদদের মতে, প্রবৃদ্ধির হিসাবে দেশ অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু, এই প্রবৃদ্ধির ফলে গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া সব মানুষ লাভবান হয়নি। বৈষম্য এমনভাবে বাড়ছে যে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির সুফল একটা ক্ষুদ্র ধনাঢ্য গোষ্ঠীর কাছে গিয়ে জমছে। আর এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ সম্প্রতি দেশে কোটিপতি বৃদ্ধির হিসাব। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, ছয় মাসে দেশে কোটিপতি হিসাব বেড়েছে ছয় হাজার ২৮টি, যা ১৯৭২ সালে ছিল মাত্র পাঁচটি। আর চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এই হিসাব লাখ ছুঁইছুঁই করছে (৯৯ হাজার ৯১৮টি)। ফলে ধনী আরও ধনী হয়েছে, গরিব হয়ছে আরও গরিব।

মাথাপিছু আয় বা প্রবৃদ্ধি বাড়া দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার একটা সূচক। আয় বাড়লেই যে অবস্থার পরিবর্তন হয়ে যাবে- বিষয়টি তা নয়। উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেয়ার জন্য সম্পদের সুষম বণ্টন জরুরি। অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশের মাথাপিছু আয় বাড়লে বা উন্নয়ন হলেও বৈষম্য বাড়ে। বৈষম্য থাকলে প্রবৃদ্ধি ৯-১০ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব নয়। গত কয়েক বছরে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বেশ গতি আছে। অবশ্য বৈষম্য আগের চেয়ে বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকৃতপক্ষে পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র বা অন্য কোন মতবাদ এলেই আয়বৈষম্য দূর করতে পারবে, সেটা জোর দিয়ে বলা যায় না। আবার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমদের দেশের আয়বৈষম্য পুরোপুরি দূর করা অসম্ভব নয়। আর এই আয়বৈষম্য কমানোর একটি উপায় হচ্ছে, সঠিকভাবে কর আদায়।

কিন্তু, অভিযোগ আছে সুষম আয় বণ্টনের কাজটি ঠিকমতো হচ্ছে না। মানুষের আয় যত বেশি হবে, তার করও তত বেশি দেয়ার কথা। কিন্তু, দেশে ধনবান মানুষরা কর ফাঁকি দেন। যে কারণে দেশে একদিকে ধনীর সংখাও বাড়ছে, অন্যদিকে দারিদ্র্যের সংখ্যাও বাড়ছে। আশা করব, সরকার সম্পদের সুষম বণ্টনের কাজে মনোযোগী হবে।

back to top