alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ড্যাপের খসড়া : অংশীজনদের যৌক্তিক মত গ্রহণ করা জরুরি

: সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

ঢাকা মহানগরী গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে চাচ্ছে সরকার। রাজধানীকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলা। ড্যাপ বাস্তবায়নে সরকারের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ অবস্থাতেই আবার নতুন ড্যাপের খসড়া করা হয়েছে।

খসড়া ড্যাপ (২০১৬-২০৩৫) চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে গত শনিবার রাজধানীতে সেমিনারের আয়োজন করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। খসড়ায় নতুন করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার কিছু অংশ সংযোজন করা হয়েছে।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপদ আবাসস্থলের জন্য নগর পরিকল্পনার দৃষ্টিকোণ থেকে ও বাস্তবতার নিরিখে ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, ড্যাপের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট ভূমি ব্যবহারসহ সামাজিক চাহিদার জন্য প্রয়োজনীয় স্থানসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার নিজস্ব বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।

রাজউকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান (১৯৯৫-২০১৫) এর আওতায় সমগ্র রাজউক এলাকার জন্য ২০০৪ সালে ড্যাপ (২০১০-২০১৫) প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। এই ড্যাপ অনুযায়ী রাজউক বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম করেছিল। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও সমন্বয়হীতার অভাবে নগরবাসী এর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

নতুন ড্যাপ প্রণয়ন করার কথা ছিল আরো পাঁচ বছর আগে। অথচ এখনও এর খসড়াই চূড়ান্ত করা যায়নি। তাহলে এর বাস্তবায়ন শুরু হবে কবে আর এর সুফলই মিলবে কবে থেকে। পরিকল্পনা হতে হয় সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত। তাহলে সেটা বাস্তবায়ন করা সহজ হয়। দেশে পরিকল্পনা করা হয় বহু। কিন্তু তার বাস্তবায়নের হার নগন্য।

খসড়ায় বলা হয়েছে-পূর্বের ড্যাপের ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন এবং স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে একটি জনবান্ধব, বাস্তবসম্মত ড্যাপ প্রণয়ন করা হবে। নিশ্চয়ই খসড়াও এ লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু খসড়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনীতিবিদ, নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবাদীসহ নানান অংশীজনরা। অভিযোগ উঠেছে যে, খসড়ায় প্লাবন ভূমির অযাচিত শ্রেণী বিন্যাস রাখা হয়েছে।

খসড়ায় মিশ্র এলাকা ও নদীর চারপাশে ভারি ও মাঝারি ধরনের শিল্প কল-কারখানা করতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর মাধ্যমে অনেক দখলদারদের বৈধতা দেওয়ার যাত্রা শুরু হচ্ছে বলে মতপ্রকাশ করেছেন অনেকে। আমরা বলতে চাই, দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো না গেলে রাজধানীর পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। ড্যাপ চূড়ান্ত করার আগে এসব বিষয় আমলে নেয়া হবে বলে আমরা আশা করি। সংশ্লিষ্টদের ডেকে শুধু মতামত নিলেই হবে না। যৌক্তিক মত গ্রহণ করা জরুরি। ড্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অতীতের মতো কারও কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না।

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ড্যাপের খসড়া : অংশীজনদের যৌক্তিক মত গ্রহণ করা জরুরি

সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

ঢাকা মহানগরী গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে চাচ্ছে সরকার। রাজধানীকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলা। ড্যাপ বাস্তবায়নে সরকারের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ অবস্থাতেই আবার নতুন ড্যাপের খসড়া করা হয়েছে।

খসড়া ড্যাপ (২০১৬-২০৩৫) চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে গত শনিবার রাজধানীতে সেমিনারের আয়োজন করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। খসড়ায় নতুন করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার কিছু অংশ সংযোজন করা হয়েছে।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপদ আবাসস্থলের জন্য নগর পরিকল্পনার দৃষ্টিকোণ থেকে ও বাস্তবতার নিরিখে ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, ড্যাপের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট ভূমি ব্যবহারসহ সামাজিক চাহিদার জন্য প্রয়োজনীয় স্থানসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার নিজস্ব বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।

রাজউকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান (১৯৯৫-২০১৫) এর আওতায় সমগ্র রাজউক এলাকার জন্য ২০০৪ সালে ড্যাপ (২০১০-২০১৫) প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। এই ড্যাপ অনুযায়ী রাজউক বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম করেছিল। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও সমন্বয়হীতার অভাবে নগরবাসী এর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

নতুন ড্যাপ প্রণয়ন করার কথা ছিল আরো পাঁচ বছর আগে। অথচ এখনও এর খসড়াই চূড়ান্ত করা যায়নি। তাহলে এর বাস্তবায়ন শুরু হবে কবে আর এর সুফলই মিলবে কবে থেকে। পরিকল্পনা হতে হয় সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত। তাহলে সেটা বাস্তবায়ন করা সহজ হয়। দেশে পরিকল্পনা করা হয় বহু। কিন্তু তার বাস্তবায়নের হার নগন্য।

খসড়ায় বলা হয়েছে-পূর্বের ড্যাপের ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন এবং স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে একটি জনবান্ধব, বাস্তবসম্মত ড্যাপ প্রণয়ন করা হবে। নিশ্চয়ই খসড়াও এ লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু খসড়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনীতিবিদ, নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবাদীসহ নানান অংশীজনরা। অভিযোগ উঠেছে যে, খসড়ায় প্লাবন ভূমির অযাচিত শ্রেণী বিন্যাস রাখা হয়েছে।

খসড়ায় মিশ্র এলাকা ও নদীর চারপাশে ভারি ও মাঝারি ধরনের শিল্প কল-কারখানা করতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর মাধ্যমে অনেক দখলদারদের বৈধতা দেওয়ার যাত্রা শুরু হচ্ছে বলে মতপ্রকাশ করেছেন অনেকে। আমরা বলতে চাই, দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো না গেলে রাজধানীর পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। ড্যাপ চূড়ান্ত করার আগে এসব বিষয় আমলে নেয়া হবে বলে আমরা আশা করি। সংশ্লিষ্টদের ডেকে শুধু মতামত নিলেই হবে না। যৌক্তিক মত গ্রহণ করা জরুরি। ড্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অতীতের মতো কারও কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না।

back to top