alt

মতামত » সম্পাদকীয়

রাষ্ট্রপতির সময়োপযোগী আহ্বান

: বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে প্রয়োজন ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার মধ্যে ঐক্য। ঐক্য গড়ে তুলতে হবে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিকতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে।’ গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনায় দেয়া স্মারক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক দেশ গড়া ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা। অগণতান্ত্রিকতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তখন ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সব মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে লড়েছিল এবং বিজয় অর্জন করেছিল। বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তির বাকি আছে আর মাত্র কয়েকদিন। এখনো অগণতান্ত্রিকতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। ফুরিয়ে যায়নি ঐক্য গড়ার প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতির আহ্বানে আমাদের এমনটাই মনে হয়েছে।

দেশে এখনও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা যায়নি। গণতন্ত্রকে দেয়া যায়নি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য অনেককেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয় বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রদায়িক হামলা, সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যখন হামলার শিকার হচ্ছে তখন তাদের পাশে কাউকে দাঁড়াতে দেখা যায় না। এমনকি প্রশাসনও যথাসময়ে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

দীর্ঘ সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে জন্ম নেয়া স্বাধীন দেশে কেন মতপ্রকাশের জন্য নির্যাতন-নিপীড়ন সইতে হবে, কেন সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হতে হবে সেটা একটা প্রশ্ন। মতভিন্নতা থাকাই গণতন্ত্র। একটি গণতান্ত্রিক দেশ ভিন্নমত প্রকাশের সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করে। মতপ্রকাশের পথ অবরুদ্ধ হলে গণতন্ত্রেরই ক্ষতি হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই পরমতসহিষ্ণু হতে হবে, থাকতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। একদিকে সরকারকে মতপ্রকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, অন্যদিকে বিরোধীদের মত প্রকাশ করতে হবে গণতান্ত্রিক পন্থায়। ভিন্নমত দলন বা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের নামে অস্থিতিশীলতা-অরাজকতা সৃষ্টি করা গণতান্ত্রিক রীতি নয়।

যদি আমরা গণতন্ত্র চাই তাহলে রাষ্ট্রপতির আহ্বানে সাড়া দিতে হবে। গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে নিতে হবে। আর এই কাজে দলমত নির্বিশেষে সবার শামিল হতে হবে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করা হবে। আমরা এখনো যদি সজাগ না হই, ঐক্য গড়ে না তুলি তাহলে স্বাধীনতার সুফল মানুষের কাছে টেকসইভাবে পৌঁছানো দুরূহ হবে।

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

রাষ্ট্রপতির সময়োপযোগী আহ্বান

বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে প্রয়োজন ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার মধ্যে ঐক্য। ঐক্য গড়ে তুলতে হবে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিকতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে।’ গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনায় দেয়া স্মারক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক দেশ গড়া ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা। অগণতান্ত্রিকতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তখন ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সব মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে লড়েছিল এবং বিজয় অর্জন করেছিল। বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তির বাকি আছে আর মাত্র কয়েকদিন। এখনো অগণতান্ত্রিকতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। ফুরিয়ে যায়নি ঐক্য গড়ার প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতির আহ্বানে আমাদের এমনটাই মনে হয়েছে।

দেশে এখনও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা যায়নি। গণতন্ত্রকে দেয়া যায়নি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য অনেককেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয় বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রদায়িক হামলা, সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যখন হামলার শিকার হচ্ছে তখন তাদের পাশে কাউকে দাঁড়াতে দেখা যায় না। এমনকি প্রশাসনও যথাসময়ে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

দীর্ঘ সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে জন্ম নেয়া স্বাধীন দেশে কেন মতপ্রকাশের জন্য নির্যাতন-নিপীড়ন সইতে হবে, কেন সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হতে হবে সেটা একটা প্রশ্ন। মতভিন্নতা থাকাই গণতন্ত্র। একটি গণতান্ত্রিক দেশ ভিন্নমত প্রকাশের সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করে। মতপ্রকাশের পথ অবরুদ্ধ হলে গণতন্ত্রেরই ক্ষতি হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই পরমতসহিষ্ণু হতে হবে, থাকতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। একদিকে সরকারকে মতপ্রকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, অন্যদিকে বিরোধীদের মত প্রকাশ করতে হবে গণতান্ত্রিক পন্থায়। ভিন্নমত দলন বা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের নামে অস্থিতিশীলতা-অরাজকতা সৃষ্টি করা গণতান্ত্রিক রীতি নয়।

যদি আমরা গণতন্ত্র চাই তাহলে রাষ্ট্রপতির আহ্বানে সাড়া দিতে হবে। গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে নিতে হবে। আর এই কাজে দলমত নির্বিশেষে সবার শামিল হতে হবে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করা হবে। আমরা এখনো যদি সজাগ না হই, ঐক্য গড়ে না তুলি তাহলে স্বাধীনতার সুফল মানুষের কাছে টেকসইভাবে পৌঁছানো দুরূহ হবে।

back to top