alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

: মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল ২০২১

২০২১ সালের ৭ এপ্রিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়, এর কারণ হচ্ছে জাতিসংঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র জন্মদিন ৭ এপ্রিল ১৯৪৮। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠার ২ মাস পর ২৪ জুন ১৯৪৮ সালে এ সংস্থার প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল জেনেভায়। সেই সময় সারা বিশ্বের ৪৬টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সেই সম্মেলন থেকেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে ১৯৫০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে প্রতি বছর নিয়মিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হবে।

এবারের বিশ্ব গত এক বছরের ও বেশি সময় ধরে কোভিড-১৯ নামক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে এবং বিশ্বজুড়ে সব সেক্টরেই কঠোর ভাবে আঘাত করেছে এ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে ১২ কোটি ৪৫ লক্ষাধিক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ২৭ লক্ষাধিক মানুষ এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন।

২০২১ সালের ৭ এপ্রিল এবারের প্রতিপাদ্য ‘একটি সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়।’ আমরা বর্তমানে একটি অসম পৃথিবীতে বসবাস করছি। যেখানে কিছু লোক স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করছে, অন্যদের তুলনায় মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবায় বেশি সুযোগ পাচ্ছে, কাজের ক্ষেত্রে-বসবাসের ক্ষেত্রে অধিক পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। অপরদিকে সারা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ দৈনিক আয়ের জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করছে জীবনের সঙ্গে, আবাসন সংকট প্রকট এবং সুশিক্ষার ক্ষেত্রে সীমিত সুযোগ পাচ্ছে, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সুযোগের অভাব, বৃহত্তর লিঙ্গ বৈষম্য, নিরাপদ পরিবেশ, বিশুদ্ধ পানি- নির্মল বায়ু ও নিরাপদ খাদ্য সংকট এবং সংকটাপন্ন স্বাস্থ্য পরিসেবা। এসব বিষয়গুলো আমাদের সমাজ এবং অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ সমস্যাগুলোর প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্ভব। এজন্য আমাদের প্রত্যেকের জীবনযাত্রার মান উন্নতকরণে, সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতৃত্বকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব নেতাদের বদ্ধপরিকর হতে হবে।

কোভিড-১৯ এ বিগত সারা বছরে বিপর্যস্ত বিশ্বে আমরা প্রকট শ্রেণী বৈষম্য দেখছি। কোভিড-১৯ থেকে মুক্তির জন্য যেখানে বিশ্ব নেতারা একত্রিত হয়ে কাজ করার কথা ছিল সেখানে আমরা দেখেছি পৃথিবীর এক দেশ থেকে অন্যদেশ পারষ্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কতটা সংকীর্ণ আচরণ করতে পারে যা মানব জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর এবং দুঃখজনক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম সমান গুরুত্ব দিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ রেখে পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। আমাদের বিশ্ব নেতাদের এখন সময় এসেছে অতীতকে নিয়ে ভাবার এবং একত্রে কাজ করার।

একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবার অসম্পূর্ণ দিকগুলো বস্তুনিষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। সমাধানগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় এবং মানুষের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে নির্ভরযোগ্য তথ্য/ডাটা সংগ্রহ করা।

[লেখক : উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ]

শীতকালীন জীবন: সংগ্রাম, সংস্কৃতি ও সহমর্মিতা

অ্যালগরিদমের রাজনীতি

চারদিকে আতঙ্ক আর শঙ্কা

অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই

দিপু দাস হত্যাকাণ্ড ও মব সন্ত্রাস

ভোগের দৃশ্যপট: ঢাকায় আধুনিকতা কেন কেবল অল্প কিছু মানুষের জন্য?

স্বর্ণের মোহ ও মানবিক দ্বন্দ্ব

ভালোবাসার দেহধারণ: বড়দিনের তাৎপর্য

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট

বিনা-ভাড়ার ট্রেনযাত্রা

ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে এশিয়া

ছবি

নামে ইসলামী, কাজে আবু জাহেল!

জলবায়ু পরিবর্তন: স্বাস্থ্যঝুঁকি

ছবি

অস্থির পেঁয়াজের বাজার: আমদানি কি সত্যিই সমাধান?

মূল্যবৃদ্ধির ঘেরাটোপ: সংকটাক্রান্ত পরিবার ও সামাজিক রূপান্তর

বায়দূষণে অকালমৃত্যু

লাশের বদলে লাশই যদি চুড়ান্ত হয়, তবে রাষ্ট্রের দরকার কী?

ভিক্ষাবৃত্তি যেখানে অন্যতম পেশা

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

আদিবাসীদের ভূমি অধিকার ও নিরাপত্তা সংকট

“মুনীর চৌধুরীর কবর...”

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

জলবায়ু সংকট ও খাদ্য নিরাপত্তা

স্বাধীন তদন্ত কমিশন দাবির নেপথ্যে কি দায়মুক্তি?

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

প্রহর গুনি কোন আশাতে!

বিজয়ের রক্তাক্ত সূর্য ও আমাদের ঋণের হিসাব

বিজয় দিবস: নতুন প্রজন্মের রাষ্ট্রচিন্তার দিকদর্শন

ছবি

আমাদের বিজয়ের অন্তর্নিহিত বার্তা

প্রাণিসম্পদ: দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি

জমির জরিপ: ন্যায়বিচার প্রসঙ্গ

বুদ্ধিজীবী হত্যা ও এর স্বরূপ সন্ধানে

উন্নয়নের আড়ালে রোগীর ভোগান্তি: আস্থা সংকটে স্বাস্থ্যসেবা

ছবি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: অমিত শক্তির উৎস

ছবি

বেগম রোকেয়া এখনো জাগ্রত

পশ্চিমবঙ্গ: বামপন্থীদের ‘বাংলা বাঁচাও’-এর ডাক

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল ২০২১

২০২১ সালের ৭ এপ্রিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়, এর কারণ হচ্ছে জাতিসংঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র জন্মদিন ৭ এপ্রিল ১৯৪৮। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠার ২ মাস পর ২৪ জুন ১৯৪৮ সালে এ সংস্থার প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল জেনেভায়। সেই সময় সারা বিশ্বের ৪৬টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সেই সম্মেলন থেকেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে ১৯৫০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে প্রতি বছর নিয়মিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হবে।

এবারের বিশ্ব গত এক বছরের ও বেশি সময় ধরে কোভিড-১৯ নামক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে এবং বিশ্বজুড়ে সব সেক্টরেই কঠোর ভাবে আঘাত করেছে এ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে ১২ কোটি ৪৫ লক্ষাধিক মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ২৭ লক্ষাধিক মানুষ এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন।

২০২১ সালের ৭ এপ্রিল এবারের প্রতিপাদ্য ‘একটি সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ার প্রত্যয়।’ আমরা বর্তমানে একটি অসম পৃথিবীতে বসবাস করছি। যেখানে কিছু লোক স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করছে, অন্যদের তুলনায় মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবায় বেশি সুযোগ পাচ্ছে, কাজের ক্ষেত্রে-বসবাসের ক্ষেত্রে অধিক পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। অপরদিকে সারা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ দৈনিক আয়ের জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করছে জীবনের সঙ্গে, আবাসন সংকট প্রকট এবং সুশিক্ষার ক্ষেত্রে সীমিত সুযোগ পাচ্ছে, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সুযোগের অভাব, বৃহত্তর লিঙ্গ বৈষম্য, নিরাপদ পরিবেশ, বিশুদ্ধ পানি- নির্মল বায়ু ও নিরাপদ খাদ্য সংকট এবং সংকটাপন্ন স্বাস্থ্য পরিসেবা। এসব বিষয়গুলো আমাদের সমাজ এবং অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ সমস্যাগুলোর প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্ভব। এজন্য আমাদের প্রত্যেকের জীবনযাত্রার মান উন্নতকরণে, সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতৃত্বকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব নেতাদের বদ্ধপরিকর হতে হবে।

কোভিড-১৯ এ বিগত সারা বছরে বিপর্যস্ত বিশ্বে আমরা প্রকট শ্রেণী বৈষম্য দেখছি। কোভিড-১৯ থেকে মুক্তির জন্য যেখানে বিশ্ব নেতারা একত্রিত হয়ে কাজ করার কথা ছিল সেখানে আমরা দেখেছি পৃথিবীর এক দেশ থেকে অন্যদেশ পারষ্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কতটা সংকীর্ণ আচরণ করতে পারে যা মানব জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর এবং দুঃখজনক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম সমান গুরুত্ব দিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ রেখে পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। আমাদের বিশ্ব নেতাদের এখন সময় এসেছে অতীতকে নিয়ে ভাবার এবং একত্রে কাজ করার।

একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবার অসম্পূর্ণ দিকগুলো বস্তুনিষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। সমাধানগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় এবং মানুষের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে নির্ভরযোগ্য তথ্য/ডাটা সংগ্রহ করা।

[লেখক : উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ]

back to top