alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের দাবি

প্রদীপ কুমার দেবনাথ

: সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১

স্বাধীনতার পরপরই যখন চারদিকে খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, অর্থ সংকট তীব্র-যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির অর্থনৈতিক কাঠামো বলতে কিছুই নেই তখনও বঙ্গবন্ধু অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষা ক্ষেত্রকে বেছে নিয়েছিলেন এবং ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছিলেন। পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং কুদরত-ই-খুদা কমিশনের গতিশীল পরিকল্পনায় এ বিভাগও জাতীয়করণের পর্যায়ে চলে যায়। অনেকগুলো বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও এগুলো বাস্তবায়ণের পূর্বেই দেশবিরোধী, ক্ষমতালোভীদের চক্রান্তের শিকার হয়ে নির্মম হত্যার শিকার হন তিনি।

তারপর কেটে যায় অনেক বছর। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে বেসরকারিভাবে চলতে থাকে শিক্ষা-কার্যক্রম। অপরিকল্পিত, ঘন ঘন কারিকুলাম পরিবর্তন, ইতিহাস বিকৃতি এমন সব অরাজকতা ব্যাপকতায় শিক্ষা দানকারী মহান শিক্ষকদের কথা ও জাতীয়করণের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা অনগ্রসরতার প্রধান কারণ মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ না হওয়া।

আশা করছি, বর্তমান সরকার অচিরেই আমাদের কাক্সিক্ষত জাতীয়করণ সম্পর্কে ঘোষণা দেবে। এক্ষেত্রে অর্থ কোন সমস্যা হতে পারে না। কারণ এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটা নিজস্ব ফান্ড আছে। এ ফান্ডগুলো কিন্তু দুর্বল নয়। অনেক প্রতিষ্ঠানে কোটি টাকার ফান্ডও আছে। এসব ফান্ড রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নেয়া হলে খুব অল্প টাকায় জাতীয়করণ করা সম্ভব হবে।

বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা কতটুকু অভাব- অনটনে দিন কাটাচ্ছেন! একজন মানুষ যত জ্ঞানী হউক অভাব-অনটন ও পারিবারিক অশান্তিতে থাকলে তার কর্মদক্ষতা হ্রাস পাবে। অনিশ্চয়তা, অবহেলা আর আমলাতান্ত্রিক বেড়াজাল থেকে মুক্ত করে বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষার এ গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলি প্রাণবন্ত ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে-এই আশায় চাতক পাখির মতো প্রধানমন্ত্রীর দিকে চেয়ে আছেন পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী।

[লেখক : শিক্ষক]

ছবি

বায়ুর অপর নাম জীবন

ছবি

হাওরের জীবন ও সংস্কৃতি

বিখণ্ডিত আত্মপরিচয়: তরল সহানুভূতিতে নৈতিক মূলধনের সমাজতত্ত্ব

প্রভাষকের ‘প্রভা’ যখন ‘শোক’: শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি বঞ্চনা

যুদ্ধ বিরতি গাজাবাসীর জন্য জরুরি ছিল

লবলং খালের মৃত্যু: স্মৃতিতে নদী, বাস্তবে দূষণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা: অর্থনৈতিক স্থিতির পূর্বশর্ত

হায় যম! আর কতক্ষণ, হবে অপেক্ষা করিতে মোরে?

পোশাক শিল্প : অগ্রগতি ও শ্রমিকের অধিকার

গণভোটের রাজনৈতিক গুরুত্ব

বামঘরানার বাটখারা...

বাগদা ফার্ম : স্মারকলিপি, অবরোধ, অনশন, আন্দোলন- কিছুতেই বরফ গলেনি

ব্যাটারি-শকট: নতুন সংকট

মতপ্রকাশ কিংবা দ্বিমত পোষণ: নাগরিক অধিকার ও রাজনৈতিক বাস্তবতা

সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন ব্যাংক কি আদৌ প্রয়োজন

ট্রাম্প ও শি’র ‘কৌশলগত শান্তি’

আশার সমাজতত্ত্ব: বিভ্রান্তির যুগে ভবিষ্যৎ নির্মাণের বিপ্লবী বিজ্ঞান

পিএইচডি: উচ্চ শিক্ষার মানদণ্ড না প্রতীকী মরীচিকা?

ডিম নয় তবু অশ্বডিম্ব!

ছবি

অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নির্বাচন

পিএইচডি: উচ্চ শিক্ষার মানদণ্ড না প্রতীকী মরীচিকা?

প্রকৃতার্থে ফকির কারা

এনসিপি চায় অবিনাশী জুলাই সনদ

পিএইচডি: উচ্চ শিক্ষার মানদণ্ড না প্রতীকী মরীচিকা?

আলুর প্রাচুর্যে কৃষকের সংকট

তাহলে কী ‘কোটা’ই জয়যুক্ত হবে!

ব্যাংকিং খাতে বিষফোঁড়া: বাংলাদেশের অর্থনীতির ধমনী বিষাক্ত হয়ে উঠছে

ছবি

ঢাকার নদী ও খালের দখল-দূষণ: পুনরুদ্ধার কোন পথে

জমি কী মূলে রেকর্ড হয়েছে, দলিল মূলে না উত্তরাধিকার মূলে?

কার্বন-নিরপেক্ষ শিশুর অনুপ্রেরণায় দেশ

এবার আমরা সভ্য হলাম!

সোনার প্রাসাদের দেয়ালে ঘামের দাগ

নিরাপদ সড়ক চাই কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ কোথায়?

অবহেলিত শিক্ষার দুর্দশা বাড়ছে

টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত নিরাপদ সড়ক

বাংলার সংস্কৃতি কি মূলধারা হারিয়ে ফেলবে?

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের দাবি

প্রদীপ কুমার দেবনাথ

সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১

স্বাধীনতার পরপরই যখন চারদিকে খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, অর্থ সংকট তীব্র-যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির অর্থনৈতিক কাঠামো বলতে কিছুই নেই তখনও বঙ্গবন্ধু অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষা ক্ষেত্রকে বেছে নিয়েছিলেন এবং ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছিলেন। পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং কুদরত-ই-খুদা কমিশনের গতিশীল পরিকল্পনায় এ বিভাগও জাতীয়করণের পর্যায়ে চলে যায়। অনেকগুলো বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও এগুলো বাস্তবায়ণের পূর্বেই দেশবিরোধী, ক্ষমতালোভীদের চক্রান্তের শিকার হয়ে নির্মম হত্যার শিকার হন তিনি।

তারপর কেটে যায় অনেক বছর। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে বেসরকারিভাবে চলতে থাকে শিক্ষা-কার্যক্রম। অপরিকল্পিত, ঘন ঘন কারিকুলাম পরিবর্তন, ইতিহাস বিকৃতি এমন সব অরাজকতা ব্যাপকতায় শিক্ষা দানকারী মহান শিক্ষকদের কথা ও জাতীয়করণের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা অনগ্রসরতার প্রধান কারণ মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ না হওয়া।

আশা করছি, বর্তমান সরকার অচিরেই আমাদের কাক্সিক্ষত জাতীয়করণ সম্পর্কে ঘোষণা দেবে। এক্ষেত্রে অর্থ কোন সমস্যা হতে পারে না। কারণ এমপিওভুক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটা নিজস্ব ফান্ড আছে। এ ফান্ডগুলো কিন্তু দুর্বল নয়। অনেক প্রতিষ্ঠানে কোটি টাকার ফান্ডও আছে। এসব ফান্ড রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নেয়া হলে খুব অল্প টাকায় জাতীয়করণ করা সম্ভব হবে।

বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা কতটুকু অভাব- অনটনে দিন কাটাচ্ছেন! একজন মানুষ যত জ্ঞানী হউক অভাব-অনটন ও পারিবারিক অশান্তিতে থাকলে তার কর্মদক্ষতা হ্রাস পাবে। অনিশ্চয়তা, অবহেলা আর আমলাতান্ত্রিক বেড়াজাল থেকে মুক্ত করে বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষার এ গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলি প্রাণবন্ত ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে-এই আশায় চাতক পাখির মতো প্রধানমন্ত্রীর দিকে চেয়ে আছেন পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী।

[লেখক : শিক্ষক]

back to top