মারিয়া জান্নাত মিষ্টি
শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মায়ের বুকের দুধ খেয়েই ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। শিশুর সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মায়ের দুধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা একে তরল সোনার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশনের উদ্যোগে এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায় ১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবছর এক থেকে সাত আগস্ট পর্যন্ত পালিত হয় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। বর্তমানে ১২০টিরও বেশি দেশে এ দিবসটি বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়। বাংলাদেশেও প্রতি বছর এ দিবস বেশ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে।
বাচ্চা প্রসবের পর প্রথম তিন দিন মায়ের বুকের যে ঘন হলুদাভ আঠালো দুধ পাওয়া যায় তাকে সাধারণত শালদুধ বলে। এ দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ডি এবং রোগপ্রতিরোধের অনেক উপকরণ থাকে; যা শিশুর অনেক রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এজন্য শালদুধকে শিশুর জীবনের প্রথম টিকা বলা হয়।
কিন্তু বড়ই অনুতাপের বিষয় হলো অনেকে এ ব্যাপারে উদাসীন। গ্রামাঞ্চলে প্রচলিত কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে নবজাতকে বঞ্চিত করা হয় শালদুধ পান করানো থেকে। এতে শিশু হৃষ্টপুষ্ট হওয়ার বদলে দিন দিন রোগা ও হারগিলে হয়ে যায়। তাই শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে সব মায়ের সচেতন হওয়া জরুরি।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যেই নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। তাহলে নবজাতকের মৃত্যুর হার ২২ শতাংশ কমানো সম্ভব। মায়ের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে বছরে ৩৭ হাজার নবজাতকের জীবন রক্ষা কার সম্ভব। শিশুর ছয় মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ ছাড়া পানি বা বাড়তি কোনো খাবার দেয়া যাবে না। কেননা মায়ের বুকের দুধেই আছে শতকরা ৯৫ ভাগ পানি। অন্যান্য পুষ্টিগুণ তো আছেই। এরপর দুই বছর বা তারও বেশি সময় পর্যন্ত বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দেয়া যাবে।
আজকের শিশুরাই হলো আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের হাতেই গড়ে উঠবে বিশ্বসভ্যতা। সেজন্য শিশুর জন্মের পর এসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। অবহেলা বা খামখেয়ালি না করে যথাসময়ে নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
[লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়]
মারিয়া জান্নাত মিষ্টি
মঙ্গলবার, ০৩ আগস্ট ২০২১
শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মায়ের বুকের দুধ খেয়েই ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। শিশুর সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মায়ের দুধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা একে তরল সোনার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশনের উদ্যোগে এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায় ১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবছর এক থেকে সাত আগস্ট পর্যন্ত পালিত হয় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। বর্তমানে ১২০টিরও বেশি দেশে এ দিবসটি বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়। বাংলাদেশেও প্রতি বছর এ দিবস বেশ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে।
বাচ্চা প্রসবের পর প্রথম তিন দিন মায়ের বুকের যে ঘন হলুদাভ আঠালো দুধ পাওয়া যায় তাকে সাধারণত শালদুধ বলে। এ দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ডি এবং রোগপ্রতিরোধের অনেক উপকরণ থাকে; যা শিশুর অনেক রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এজন্য শালদুধকে শিশুর জীবনের প্রথম টিকা বলা হয়।
কিন্তু বড়ই অনুতাপের বিষয় হলো অনেকে এ ব্যাপারে উদাসীন। গ্রামাঞ্চলে প্রচলিত কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে নবজাতকে বঞ্চিত করা হয় শালদুধ পান করানো থেকে। এতে শিশু হৃষ্টপুষ্ট হওয়ার বদলে দিন দিন রোগা ও হারগিলে হয়ে যায়। তাই শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে সব মায়ের সচেতন হওয়া জরুরি।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যেই নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। তাহলে নবজাতকের মৃত্যুর হার ২২ শতাংশ কমানো সম্ভব। মায়ের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে বছরে ৩৭ হাজার নবজাতকের জীবন রক্ষা কার সম্ভব। শিশুর ছয় মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ ছাড়া পানি বা বাড়তি কোনো খাবার দেয়া যাবে না। কেননা মায়ের বুকের দুধেই আছে শতকরা ৯৫ ভাগ পানি। অন্যান্য পুষ্টিগুণ তো আছেই। এরপর দুই বছর বা তারও বেশি সময় পর্যন্ত বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দেয়া যাবে।
আজকের শিশুরাই হলো আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের হাতেই গড়ে উঠবে বিশ্বসভ্যতা। সেজন্য শিশুর জন্মের পর এসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। অবহেলা বা খামখেয়ালি না করে যথাসময়ে নবজাতককে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
[লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়]