alt

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

শিক্ষা দিবস

পুছাইনু মারমা

: বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
image

৬২’র শিক্ষা আন্দোলন

১৭ সেপ্টেম্বর ‘শিক্ষা দিবস’ আজ। ১৯৬২ সালের আইয়ুব খানের শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে তৎকালীন ছাত্রসমাজের সংগ্রামের প্রেক্ষাপটের মধ্যে দিয়েই সূচনা হয় শিক্ষা দিবসের। একজন সুশিক্ষিত ব্যক্তি দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র তথা জাতির অমূল্য সম্পদ। শিক্ষিত ব্যক্তির জাগতিক চিন্তা-চেতনা, উৎপাদনশীল ভাবনার মাধ্যমে দশের ও দেশের কল্যাণ সাধন হয়। তাই শিক্ষাকে নিয়ে বাঙালি জাতি ছিল বরাবর মতোই আপসহীন যা ইতিহাসেও লক্ষণীয়।

শিক্ষা মানুষের সার্বজনীন মৌলিক অধিকার। একবিংশ শতাব্দীর তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অবাধ ব্যবহারের এই আধুনিক যুগে শিক্ষার গুরুত্বাটাকে আমরা আরো অনেক বেশি উপলব্ধি করতে পারছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিবাচকতার চেয়ে নেতিচাবকতার চর্চায় এখন বেশি করতে দেখা যায়। নিঃসন্দেহে জ্ঞানের অভাবই এর পেছনে দায়ী। কটু কথার সমালোচনার ঝড়ের তান্ডবে নতুন ও উদ্ভাবনীমূলক কোনো কাজের সূচনা করাটাও এখন রীতিমতো হিমালয় পর্বতের চূড়ায় আরোহণের মতো কঠিনতম কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

করোনা অতিমারির কারণে শিক্ষা ব্যবস্থায় যে ধস নেমেছে এর ফল রীতিমতো ভয়ানক। দীর্ঘ ৫৪৪ দিন শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলো না। অনলাইন ক্লাস কিংবা এসাইনমেন্টে নির্ধারিত কিছু কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সাথে যুক্ত রাখার প্র?য়াস চালানো হলেও দুর্গম পাহাড়ি এলাকার ছাত্রছাত্রীদের জন্য সেটি তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। বরং সঠিক দিক নির্দেশনা না পাবার কারণে প্রদত্ত এসাইনমেন্টের কাজগুলো ঠিকমতো সমাধান করতে না পারায় শিক্ষার্থীদের মনে অসন্তোষ হীনমন্যতা ও আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিয়েছে। নিরূপায় হয়ে এক সময় হাল ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর হারটাও বাড়ছে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে।

বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াটা সরকারের বিশাল বড় সফলতাগুলোর মধ্যে একটি। সফলতার এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য পাহাড়ে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তবেই ‘শিক্ষা দিবস’ সুন্দর ও সাফল্যমন্ডিত হবে।

[লেখক : শিক্ষার্থী,

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]

নারী নির্যাতন, মানসিক স্বাস্থ্য এবং সমাজের দায়

কাঁপছে ডলারের সিংহাসন

ত্রিশতম জলবায়ু সম্মেলন : প্রতীকী প্রদর্শনী, নাকি বৈশ্বিক জলবায়ু রাজনীতির বাঁক নেওয়ার মুহূর্ত?

অপরিণত নবজাতক : ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও যত্নের জরুরি বাস্তবতা

বাংলাদেশী উত্তরাধিকার: প্রবাস-জীবন ও আমাদের সংস্কৃতি

রাজনীতিতে ভাষার সহনীয় প্রয়োগ

ভারত : এসআইআর এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন

মনে কী দ্বিধা নিয়ে...

নিরাপদ সড়ক ভাবনা

অপরিকল্পিত বাঁধ-শিল্পায়নে বিপর্যস্ত বরেন্দ্র কৃষি

ছবি

মামদানি দেখালেন নেতৃত্বের মূল পরিচয় কী

চেকের মামলায় বৈধ বিনিময়, লেনদেন, দেনা-পাওনা প্রমাণ ছাড়া আর জেল নয়

নবাগত শিক্ষকদের পেশাগত ভাবনা

মাদকাসক্তি: শুধু নিরাময় নয়, চাই সমাজ ব্যবস্থার সংস্কার

আমেরিকার “নো কিংস” আন্দোলন

ঘি তো আমাদের লাগবেই, নো হাংকি পাংকি!

“মামদানি না জামদানি...”

ভাষার বৈচিত্র্য রক্ষায় নীরব বিপ্লব

উপাত্ত সুরক্ষা আইন : গোপনীয়তা রক্ষা নাকি রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ?

সমতা কি ন্যায্যতা নিশ্চিত করে?

ডেঙ্গু সংকট দূরদৃষ্টির ব্যর্থতা

ষাটের দশকে বামপন্থী ভাবনার উত্থান ও বিবর্তন

দেখিতে পাও না তুমি মৃত্যুদূত দাঁড়ায়েছে দ্বারে!

বায়ুর অপর নাম জীবন

ছবি

হাওরের জীবন ও সংস্কৃতি

বিখণ্ডিত আত্মপরিচয়: তরল সহানুভূতিতে নৈতিক মূলধনের সমাজতত্ত্ব

প্রভাষকের ‘প্রভা’ যখন ‘শোক’: শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি বঞ্চনা

যুদ্ধ বিরতি গাজাবাসীর জন্য জরুরি ছিল

লবলং খালের মৃত্যু: স্মৃতিতে নদী, বাস্তবে দূষণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা: অর্থনৈতিক স্থিতির পূর্বশর্ত

হায় যম! আর কতক্ষণ, হবে অপেক্ষা করিতে মোরে?

পোশাক শিল্প : অগ্রগতি ও শ্রমিকের অধিকার

গণভোটের রাজনৈতিক গুরুত্ব

বামঘরানার বাটখারা...

বাগদা ফার্ম : স্মারকলিপি, অবরোধ, অনশন, আন্দোলন- কিছুতেই বরফ গলেনি

ব্যাটারি-শকট: নতুন সংকট

tab

মতামত » উপ-সম্পাদকীয়

শিক্ষা দিবস

পুছাইনু মারমা

image

৬২’র শিক্ষা আন্দোলন

বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

১৭ সেপ্টেম্বর ‘শিক্ষা দিবস’ আজ। ১৯৬২ সালের আইয়ুব খানের শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে তৎকালীন ছাত্রসমাজের সংগ্রামের প্রেক্ষাপটের মধ্যে দিয়েই সূচনা হয় শিক্ষা দিবসের। একজন সুশিক্ষিত ব্যক্তি দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র তথা জাতির অমূল্য সম্পদ। শিক্ষিত ব্যক্তির জাগতিক চিন্তা-চেতনা, উৎপাদনশীল ভাবনার মাধ্যমে দশের ও দেশের কল্যাণ সাধন হয়। তাই শিক্ষাকে নিয়ে বাঙালি জাতি ছিল বরাবর মতোই আপসহীন যা ইতিহাসেও লক্ষণীয়।

শিক্ষা মানুষের সার্বজনীন মৌলিক অধিকার। একবিংশ শতাব্দীর তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অবাধ ব্যবহারের এই আধুনিক যুগে শিক্ষার গুরুত্বাটাকে আমরা আরো অনেক বেশি উপলব্ধি করতে পারছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিবাচকতার চেয়ে নেতিচাবকতার চর্চায় এখন বেশি করতে দেখা যায়। নিঃসন্দেহে জ্ঞানের অভাবই এর পেছনে দায়ী। কটু কথার সমালোচনার ঝড়ের তান্ডবে নতুন ও উদ্ভাবনীমূলক কোনো কাজের সূচনা করাটাও এখন রীতিমতো হিমালয় পর্বতের চূড়ায় আরোহণের মতো কঠিনতম কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

করোনা অতিমারির কারণে শিক্ষা ব্যবস্থায় যে ধস নেমেছে এর ফল রীতিমতো ভয়ানক। দীর্ঘ ৫৪৪ দিন শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলো না। অনলাইন ক্লাস কিংবা এসাইনমেন্টে নির্ধারিত কিছু কাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সাথে যুক্ত রাখার প্র?য়াস চালানো হলেও দুর্গম পাহাড়ি এলাকার ছাত্রছাত্রীদের জন্য সেটি তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। বরং সঠিক দিক নির্দেশনা না পাবার কারণে প্রদত্ত এসাইনমেন্টের কাজগুলো ঠিকমতো সমাধান করতে না পারায় শিক্ষার্থীদের মনে অসন্তোষ হীনমন্যতা ও আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিয়েছে। নিরূপায় হয়ে এক সময় হাল ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর হারটাও বাড়ছে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে।

বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াটা সরকারের বিশাল বড় সফলতাগুলোর মধ্যে একটি। সফলতার এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য পাহাড়ে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তবেই ‘শিক্ষা দিবস’ সুন্দর ও সাফল্যমন্ডিত হবে।

[লেখক : শিক্ষার্থী,

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়]

back to top