alt

রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র

১২ বিদেশি নাগরিক চিহ্নিত, তিন জনকে ব্ল্যাক লিস্ট

বাকী বিল্লাহ : শনিবার, ১২ আগস্ট ২০২৩

বাংলাদেশের গার্মেন্ট ব্যবসা নিয়ে একটি বিদেশি চক্র ষড়যন্ত্র করছে। তারা বায়ারদের কাছে (ক্রেতা) বাংলাদেশের পণ্য নিম্নমানের বলে প্রচার করছে। একই সঙ্গে অন্য দেশের পণ্য ভালো বলে বায়ারদের সেদিকে ধাবিত করছে। এতে ষড়যন্ত্রকারীরা লাভবান হচ্ছে। আর দেশি গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা বায়ার হারিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

অন্যদিকে কালো তালিকাভুক্ত বিদেশি নাগরিকরা আবারও দেশে ঢুকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা তদন্তকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে বিদেশ থেকে টেলিফোনে তদবির করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তদন্তকারি সংস্থা বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানিয়ে চিহ্নিতদের ব্ল্যাক লিস্ট করার জন্য জানিয়েছেন। এরপর চিহ্নিত তিনজনকে ইতোমধ্যে ব্ল্যাক লিস্ট করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কয়েকজন গার্মেন্ট ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৮ মাস ধরে টানা অনুসন্ধান চালিয়ে বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করেছেন।

ষড়যন্ত্রকারী চক্রের ১২-১৪ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে বলে জানা গেছে। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন গার্মেন্টে উচ্চ বেতনে প্রডাকশনের কাজ নিয়ে থাকে। এরপর মালিকদেরকে ভুল বুঝিয়ে তাদের অজান্তে বায়ারদের সঙ্গে যোগসাজশে জালিয়াতি করে। তারা প্রথমে গার্মেন্ট মালিক থেকে বেতন ছাড়াও অন্য আর্থিকভাবে (কমিশন) লাভবান নেন। পণ্য রপ্তানির সময় বায়ারদের সঙ্গে মূল্য নির্ধারণকরণে কমিশন নিয়ে ক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন। এতে কিছুদিন লাভ দেখা গেলেও পরে আস্তে আস্তে মালিক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর ষড়যন্ত্রকারীচক্র বাংলাদেশের পণ্যের ক্রেতাকে ভুল বুঝিয়ে হংকং, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কাসহ আরও কয়েকটি পছন্দের দেশে পাঠিয়ে দেয়। এতে ক্রেতা হারিয়ে ও পণ্য উৎপাদন করে শ্রমিকদের বেতন-ভাতাও ঠিকমতো পরিশোধ করতে না পেরে অনেক মালিক হতাশ হয়ে পড়েছন।

আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী চক্র বিভিন্ন পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত সুতা, কাপড়, শ্রমিক খরচসহ অন্য সব কিছু জেনে নিজে গার্মেন্ট ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে বেতন-ভাতা ছাড়াও বাড়তি কমিশন নেয়। এরপর আবার বায়ারদের থেকেও কমিশন নেয়। কমিশন নিয়ে দ্বন্দ্ব হলেও বায়ারকে বাংলাদেশের গামেন্টপণ্যের মান নিয়ে ভুল বুঝিয়ে অন্য দেশের দিকে নিয়ে যায়।

গাজীপুরের একজন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী সংবাদের সঙ্গে আলোচনায় জানান, এই ষড়যন্ত্রকারী চক্র বেশ কিছু গার্মেন্ট ব্যবসায়ীকে পথে বসিয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে গেছে। তাকে ম্যাসেজ (ক্ষুদে বার্তা) পাঠিয়ে বিদেশ থেকে হুমকি দেয়া হয়েছে। তার হুমকির বিষয়টি এই প্রতিবেদকের সামনে সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা তার কার্যালয়ে দীর্ঘ আলোচনাকালে সংবাদ প্রতিবেদককে বলেন, আন্তর্জাতিক এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে দেশের ক্ষতি করছে। তারা দেশের গার্মেন্ট নিয়ে গভীর যড়যন্ত্র করছে। ব্যবসার গোপন পলিসি বায়ারদের বলে দিচ্ছে। ফ্যাক্টরির মালিককে জিম্মি করে ডিজাইন, প্রডাকশন, মার্কেটিংয়ে চাকরি নিয়ে পরবর্তীতে ষড়যন্ত্র করছেন। লাভ ক্ষতির গোপন ইনফরমেশন বায়ারকে দিয়ে দিচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেন, টানা ১৮ মাস তদন্ত করে পাওয়া তথ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় তিনজনকে ব্ল্যাক লিস্টেড করেছে। তার মধ্যে একজনকে তার দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সে আবার বাংলাদেশে আশার চেষ্টা করলে বিমানবন্দর থেকে তাকে আবার ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই সেক্টরে আরও কেউ ষড়যন্ত্র করছে কি না তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।

অভিযোগ রয়েছে, গার্মেন্ট সেক্টরে ব্ল্যাক লিস্টের তালিকাভুক্ত বিদেশি নাগরিকদের রক্ষায় বিভিন্ন মহল থেকে তদবির করা হচ্ছে। এমনকি হুমকিও দেয়া হচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে জানা গেছে, এখনও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেনÑ পাসপোর্টধারী ৬৫ হাজার এবং পাসপোর্ট ছাড়া নাম পরিবর্তনকারী ৬৭ হাজার বিদেশি নাগরিক। মামলাসহ বিভিন্ন সংস্থার পাঠানো প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই তালিকা করা হয়েছে। তালিকায় কখনো নাম বাড়ে আবার কখনো কমে। বড় ধরনের অপরাধী হলে তাদের নাম আদালত থেকে কিংবা বিভিন্ন সংস্থা থেকে পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে এক্ষেত্রে এক লাখের বেশি অভিযুক্ত রয়েছেন।

সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯ কনটেইনারের বিপজ্জনক পণ্য পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস

ছবি

চট্টগ্রামে যুবদলের দুই গ্রুপের গোলাগুলি, নিহত ১ এবং আহত অন্তত ৮ জন

ছবি

ফুলের রাজধানী গদখালীতে নতুন বাজার, স্বস্তিতে পাইকাররা

ছবি

চট্টগ্রামে মালবাহী ট্রাক-ট্রেন সংঘর্ষে নিহত ১, তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

সংসদ নির্বাচনে প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১৩ আনসার সদস্যের ৩ জন থাকবে সশস্ত্র

ছবি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে দোকানপাট, প্রাকৃতিক ঢিবি হচ্ছে সমতল

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে শীতের সবজি কমতে শুরু করেছে দাম

ছবি

দশমিনায় বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর

ছবি

টেকনাফে পাচারের উদ্দেশ্যে অপহৃত ২২ জনকে উদ্ধার

ছবি

কক্সবাজার শহর থেকে সেন্টমার্টিন যাবে পর্যটকবাহী জাহাজ

ছবি

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান

ছবি

পদ্মায় ধরা পরলো ৩১ কেজির দুই বাঘাআইড়, ৩৮ হাজারে বিক্রি

ছবি

আবারও নৌকাসহ ৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

ছবি

কুষ্টিয়ায় নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম তদন্তে দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগ

ছবি

হবিগঞ্জে বাবার দায়ের কোপে মেয়ে নিহত

ছবি

বাগেরহাটে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি

ছবি

সায়মা মৃত্যুর বিচার দাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ

ছবি

চুয়াডাঙ্গা দর্শনা রেল বন্দরে হাহাকার শ্রমিকদের চোখে অনিশ্চয়তার ছায়া

ছবি

মোল্লাহাটে চায়না দুয়ারী জাল জব্দ, পুড়িয়ে ধ্বংস

ছবি

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য সেবার বেহাল অবস্থা চিকিৎসা বঞ্চিত ৮ লাখাধিক মানুষ

ছবি

সাপাহারে পুনর্ভবা নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মধুপুরে কোমলমতি শিশুদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা

ছবি

রাজশাহীতে ভারতীয় মদ ও পাতার বিড়ি জব্দ

ছবি

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন

ছবি

বেগমগঞ্জে পলাতক আসামী কসাই জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার

ছবি

মাছ পরিবহন করা পিক-আপের পানিতে সড়কের বেহাল অবস্থা

ছবি

ভালুকায় আমন খেত বাঁচাতে কীটনাশক দোকানে কৃষকের ভীড়

ছবি

শেরপুরের গারো পাহাড়ে তিন দশক ধরে চলছে হাতি-মানুষের সংঘাত

ছবি

সুন্দরগঞ্জে কাঠের ব্রীজ ভেঙে ২০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

ছবি

কাঠালিয়ায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ছবি

দুবলারচরে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য অপসারণে অভিযান

ছবি

নোয়াখালীতে মাদ্রারাসার ছাত্রকে হত্যা

ছবি

সুন্দরগঞ্জে কৃষক পেল বীজ ও সার

ছবি

লৌহজংয়ে লোকালয়ে কুমির আতঙ্ক

ছবি

বেনাপোলে মানসিক ভারসম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

tab

রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র

১২ বিদেশি নাগরিক চিহ্নিত, তিন জনকে ব্ল্যাক লিস্ট

বাকী বিল্লাহ

শনিবার, ১২ আগস্ট ২০২৩

বাংলাদেশের গার্মেন্ট ব্যবসা নিয়ে একটি বিদেশি চক্র ষড়যন্ত্র করছে। তারা বায়ারদের কাছে (ক্রেতা) বাংলাদেশের পণ্য নিম্নমানের বলে প্রচার করছে। একই সঙ্গে অন্য দেশের পণ্য ভালো বলে বায়ারদের সেদিকে ধাবিত করছে। এতে ষড়যন্ত্রকারীরা লাভবান হচ্ছে। আর দেশি গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা বায়ার হারিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

অন্যদিকে কালো তালিকাভুক্ত বিদেশি নাগরিকরা আবারও দেশে ঢুকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা তদন্তকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে বিদেশ থেকে টেলিফোনে তদবির করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তদন্তকারি সংস্থা বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানিয়ে চিহ্নিতদের ব্ল্যাক লিস্ট করার জন্য জানিয়েছেন। এরপর চিহ্নিত তিনজনকে ইতোমধ্যে ব্ল্যাক লিস্ট করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কয়েকজন গার্মেন্ট ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৮ মাস ধরে টানা অনুসন্ধান চালিয়ে বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করেছেন।

ষড়যন্ত্রকারী চক্রের ১২-১৪ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে বলে জানা গেছে। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন গার্মেন্টে উচ্চ বেতনে প্রডাকশনের কাজ নিয়ে থাকে। এরপর মালিকদেরকে ভুল বুঝিয়ে তাদের অজান্তে বায়ারদের সঙ্গে যোগসাজশে জালিয়াতি করে। তারা প্রথমে গার্মেন্ট মালিক থেকে বেতন ছাড়াও অন্য আর্থিকভাবে (কমিশন) লাভবান নেন। পণ্য রপ্তানির সময় বায়ারদের সঙ্গে মূল্য নির্ধারণকরণে কমিশন নিয়ে ক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন। এতে কিছুদিন লাভ দেখা গেলেও পরে আস্তে আস্তে মালিক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর ষড়যন্ত্রকারীচক্র বাংলাদেশের পণ্যের ক্রেতাকে ভুল বুঝিয়ে হংকং, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কাসহ আরও কয়েকটি পছন্দের দেশে পাঠিয়ে দেয়। এতে ক্রেতা হারিয়ে ও পণ্য উৎপাদন করে শ্রমিকদের বেতন-ভাতাও ঠিকমতো পরিশোধ করতে না পেরে অনেক মালিক হতাশ হয়ে পড়েছন।

আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী চক্র বিভিন্ন পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত সুতা, কাপড়, শ্রমিক খরচসহ অন্য সব কিছু জেনে নিজে গার্মেন্ট ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে বেতন-ভাতা ছাড়াও বাড়তি কমিশন নেয়। এরপর আবার বায়ারদের থেকেও কমিশন নেয়। কমিশন নিয়ে দ্বন্দ্ব হলেও বায়ারকে বাংলাদেশের গামেন্টপণ্যের মান নিয়ে ভুল বুঝিয়ে অন্য দেশের দিকে নিয়ে যায়।

গাজীপুরের একজন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী সংবাদের সঙ্গে আলোচনায় জানান, এই ষড়যন্ত্রকারী চক্র বেশ কিছু গার্মেন্ট ব্যবসায়ীকে পথে বসিয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে গেছে। তাকে ম্যাসেজ (ক্ষুদে বার্তা) পাঠিয়ে বিদেশ থেকে হুমকি দেয়া হয়েছে। তার হুমকির বিষয়টি এই প্রতিবেদকের সামনে সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা তার কার্যালয়ে দীর্ঘ আলোচনাকালে সংবাদ প্রতিবেদককে বলেন, আন্তর্জাতিক এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে দেশের ক্ষতি করছে। তারা দেশের গার্মেন্ট নিয়ে গভীর যড়যন্ত্র করছে। ব্যবসার গোপন পলিসি বায়ারদের বলে দিচ্ছে। ফ্যাক্টরির মালিককে জিম্মি করে ডিজাইন, প্রডাকশন, মার্কেটিংয়ে চাকরি নিয়ে পরবর্তীতে ষড়যন্ত্র করছেন। লাভ ক্ষতির গোপন ইনফরমেশন বায়ারকে দিয়ে দিচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেন, টানা ১৮ মাস তদন্ত করে পাওয়া তথ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় তিনজনকে ব্ল্যাক লিস্টেড করেছে। তার মধ্যে একজনকে তার দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সে আবার বাংলাদেশে আশার চেষ্টা করলে বিমানবন্দর থেকে তাকে আবার ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই সেক্টরে আরও কেউ ষড়যন্ত্র করছে কি না তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।

অভিযোগ রয়েছে, গার্মেন্ট সেক্টরে ব্ল্যাক লিস্টের তালিকাভুক্ত বিদেশি নাগরিকদের রক্ষায় বিভিন্ন মহল থেকে তদবির করা হচ্ছে। এমনকি হুমকিও দেয়া হচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে জানা গেছে, এখনও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেনÑ পাসপোর্টধারী ৬৫ হাজার এবং পাসপোর্ট ছাড়া নাম পরিবর্তনকারী ৬৭ হাজার বিদেশি নাগরিক। মামলাসহ বিভিন্ন সংস্থার পাঠানো প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই তালিকা করা হয়েছে। তালিকায় কখনো নাম বাড়ে আবার কখনো কমে। বড় ধরনের অপরাধী হলে তাদের নাম আদালত থেকে কিংবা বিভিন্ন সংস্থা থেকে পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে এক্ষেত্রে এক লাখের বেশি অভিযুক্ত রয়েছেন।

back to top