কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণে চললো একটি বিশেষ ট্রেন।
রোববার সকাল ৯টায় বিশেষ ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। ট্রেনটিতে রেলওয়ে পরিদর্শন বিভাগের একটি বিশেষ টিম ছিল। তারা দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন এবং বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছে। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের সঙ্গে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুক্ত হলো রেলপথে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম জানান, কক্সবাজার পর্যন্ত রেল এখন আর স্বপ্ন নয়। এটি এখন বাস্তবতা। আগামী ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এর আগে, রোববার বিশেষ টিম নিয়ে ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছে।
তিনি জানান, ট্রেনটি চালাচ্ছেন লোকোমাস্টার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এবং সহকারী লোকোমাস্টার হিসেবে আছেন রুখন মিয়া। ট্রেনে একাধিক গার্ড, রেলওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য (আরএনবি), রেল ট্র্যাক সংক্রান্ত রেলকর্মী, প্রকৌশল, বাণিজ্যিক ও পরিবহন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা রয়েছেন। আগামী ৭ নভেম্বর সকাল ৭টায় একই টিম নিয়ে বিশেষ ট্রেনটি আবার কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম আরও জানান, ১৮ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই কর্মযজ্ঞের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। ঢাকা থেকে সাত ঘণ্টা আর চট্টগ্রাম থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে কক্সবাজার যেতে। ঢাকা থেকে রাত ৯টা ১০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে সকাল সাড়ে ৬টায় কক্সবাজারে পৌঁছাবে। কক্সবাজার থেকে দুপুর ১টায় যাত্রা করে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় ফিরবে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে ট্রেনের প্রথম হুইসেল বেজেছে। এর মাধ্যমে কক্সবাজারের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। হুইসেল শুনে অনেকে দৌড়ে এসেছেন, সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ এ রুটে ট্রেন দেখে অবাক হয়েছেন।
প্রথম ট্রেনকে পথে পথে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় মানুষ। কোথাও কোথাও ট্রেনের ওপর ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেয়া হয় নতুন এই রেল যাত্রাকে। ট্রেনটি দেখতে রেললাইনের দুই পাশে ভিড় জমান সববয়সী মানুষজন। অনেকেই মুহূর্তটি মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন। ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন নারী-শিশুরাও।
দেশের কোথাও নতুন রেললাইন নির্মিত হলে রেলওয়ের পরিদর্শন অধিদফতর প্রথমে তা পরীক্ষা করে দেখে। অধিদফতর ছাড়পত্র দিলে নতুন রেলপথটি ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী বলে বিবেচনা করা হয়। এরপর পরীক্ষামূলক চলাচল ও আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ০৫ নভেম্বর ২০২৩
কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণে চললো একটি বিশেষ ট্রেন।
রোববার সকাল ৯টায় বিশেষ ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। ট্রেনটিতে রেলওয়ে পরিদর্শন বিভাগের একটি বিশেষ টিম ছিল। তারা দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন এবং বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছে। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের সঙ্গে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুক্ত হলো রেলপথে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম জানান, কক্সবাজার পর্যন্ত রেল এখন আর স্বপ্ন নয়। এটি এখন বাস্তবতা। আগামী ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এর আগে, রোববার বিশেষ টিম নিয়ে ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছে।
তিনি জানান, ট্রেনটি চালাচ্ছেন লোকোমাস্টার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এবং সহকারী লোকোমাস্টার হিসেবে আছেন রুখন মিয়া। ট্রেনে একাধিক গার্ড, রেলওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য (আরএনবি), রেল ট্র্যাক সংক্রান্ত রেলকর্মী, প্রকৌশল, বাণিজ্যিক ও পরিবহন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা রয়েছেন। আগামী ৭ নভেম্বর সকাল ৭টায় একই টিম নিয়ে বিশেষ ট্রেনটি আবার কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম আরও জানান, ১৮ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই কর্মযজ্ঞের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। ঢাকা থেকে সাত ঘণ্টা আর চট্টগ্রাম থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে কক্সবাজার যেতে। ঢাকা থেকে রাত ৯টা ১০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে সকাল সাড়ে ৬টায় কক্সবাজারে পৌঁছাবে। কক্সবাজার থেকে দুপুর ১টায় যাত্রা করে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় ফিরবে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে ট্রেনের প্রথম হুইসেল বেজেছে। এর মাধ্যমে কক্সবাজারের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। হুইসেল শুনে অনেকে দৌড়ে এসেছেন, সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ এ রুটে ট্রেন দেখে অবাক হয়েছেন।
প্রথম ট্রেনকে পথে পথে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয় মানুষ। কোথাও কোথাও ট্রেনের ওপর ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেয়া হয় নতুন এই রেল যাত্রাকে। ট্রেনটি দেখতে রেললাইনের দুই পাশে ভিড় জমান সববয়সী মানুষজন। অনেকেই মুহূর্তটি মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন। ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন নারী-শিশুরাও।
দেশের কোথাও নতুন রেললাইন নির্মিত হলে রেলওয়ের পরিদর্শন অধিদফতর প্রথমে তা পরীক্ষা করে দেখে। অধিদফতর ছাড়পত্র দিলে নতুন রেলপথটি ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী বলে বিবেচনা করা হয়। এরপর পরীক্ষামূলক চলাচল ও আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে।