বিএনপি জামায়াতের পঞ্চম বারের মত ৪৮ঘন্টার ডাকা অবরোধের প্রথম দিনে গাজীপুরে নলজানি (শহীদ বরকত সরণি) এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা দূরপাল্লার একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
এ সময় আয়ের একমাত্র অবলম্বন বাসটি পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে বাসের চালক ও মালিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে এলাকাবাসী তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।
রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ি-জয়দেবপুর সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়।
বাস মালিক দেলোয়ার হোসেন দেলুর চাচাতো ভাই সাগর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, দেলুর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায়। বর্তমানে তারা শহীদ বরকত সরণি এলাকা মাহবুব মোল্লার বাড়িতে সপরিবারে ভাড়ায় থাকেন। সেখানে থেকে দেলু ঢাকা-শেরপুর রুটে তুরাগ পরিবহন নামে তার গাড়িটি চালান। তিনিই গাড়ির মালিক, তিনিই চালক। দীর্ঘদিন ধরেই ট্রিপ শেষে গাড়িটি বাসার পাশে বরকত সরণির সড়কের পাশে পুকুর পাড়ে রাখেন। প্রতিদিনের মতো ভোররাতে একই স্থানে গাড়িটি রেখে বাড়ি যান। রোববার দুপুরে কে বা কারা গাড়িটিতে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাখানেক চেষ্টার পরে এলাকাবাসী পাশের পুকুরের পানি দিয়ে আগুন নেভায়।
চাচাতো ভাই সাগর আরও জানান, দেলু তার শেষ সম্বল ৭ কাঠা জমি বিক্রি করে ২৮ লাখ টাকায় কিস্তিতে গাড়িটি ক্রয় করেছে। এজন্য প্রতি মাসে তাকে ৬২ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে বাসা থেকে গাড়ির কাছে গিয়ে বাসটি পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে এলাকাবাসী স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এখন দেলু কীভাবে বাসের কিস্তির টাকা পরিশোধ করবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্বজনরা।
বাসন থানার ওসি মো. আবু ছিদ্দিক জানান, ‘শহীদ বরকত সরণি সড়কের পাশে পুকুর পাড়ে দাঁড় করানো বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। খবর শুনে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কে বা করা বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
রোববার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
বিএনপি জামায়াতের পঞ্চম বারের মত ৪৮ঘন্টার ডাকা অবরোধের প্রথম দিনে গাজীপুরে নলজানি (শহীদ বরকত সরণি) এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা দূরপাল্লার একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
এ সময় আয়ের একমাত্র অবলম্বন বাসটি পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে বাসের চালক ও মালিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে এলাকাবাসী তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।
রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ি-জয়দেবপুর সড়কে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়।
বাস মালিক দেলোয়ার হোসেন দেলুর চাচাতো ভাই সাগর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, দেলুর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায়। বর্তমানে তারা শহীদ বরকত সরণি এলাকা মাহবুব মোল্লার বাড়িতে সপরিবারে ভাড়ায় থাকেন। সেখানে থেকে দেলু ঢাকা-শেরপুর রুটে তুরাগ পরিবহন নামে তার গাড়িটি চালান। তিনিই গাড়ির মালিক, তিনিই চালক। দীর্ঘদিন ধরেই ট্রিপ শেষে গাড়িটি বাসার পাশে বরকত সরণির সড়কের পাশে পুকুর পাড়ে রাখেন। প্রতিদিনের মতো ভোররাতে একই স্থানে গাড়িটি রেখে বাড়ি যান। রোববার দুপুরে কে বা কারা গাড়িটিতে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাখানেক চেষ্টার পরে এলাকাবাসী পাশের পুকুরের পানি দিয়ে আগুন নেভায়।
চাচাতো ভাই সাগর আরও জানান, দেলু তার শেষ সম্বল ৭ কাঠা জমি বিক্রি করে ২৮ লাখ টাকায় কিস্তিতে গাড়িটি ক্রয় করেছে। এজন্য প্রতি মাসে তাকে ৬২ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে বাসা থেকে গাড়ির কাছে গিয়ে বাসটি পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে এলাকাবাসী স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এখন দেলু কীভাবে বাসের কিস্তির টাকা পরিশোধ করবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্বজনরা।
বাসন থানার ওসি মো. আবু ছিদ্দিক জানান, ‘শহীদ বরকত সরণি সড়কের পাশে পুকুর পাড়ে দাঁড় করানো বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। খবর শুনে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কে বা করা বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’