দশমিনা (পটুয়াখালী) : নিষেধ থাকা সত্বেও ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে এলাকাবাসী -সংবাদ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় অবৈধ ট্রলারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে যাত্রী নিয়ে পারাপার করছে। ফি বছর আদায় হচ্ছে ইজারার টাকা। নিয়মনীতি উপেক্ষা নৌপথে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে যাত্রী পারাপার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও অবৈধ ট্রলার প্রতিদিন অবাধে যাত্রী পারাপার হচ্ছে।
জানা যায়, তেঁতুলিয়া নদীতে নলখোলা বন্দর থেকে চরহাদি রুটে দীর্ঘদিন ইজারা আদায় করলেও প্রশাসন একই এলাকায় যাতায়াতের জন্য হাজীরহাট থেকে চরহাদি রুট চালু করে। এতে ইজারাদারদের মধ্যে সৃষ্ট প্রতিযোগীতা করে বেড়েই চলছে ইজারার দর নির্ধারণ। এছাড়াও বুড়াগৌরাঙ্গ নদে আউলিয়াপুর থেকে চরবোরহান ও আউলিয়াপুর থেকে চরশাহজালালে রয়েছে দুটি রুট। প্রশাসন ইজারার অর্থ আদায়ের বাহিরে দেখছেনা জনস্বার্থ। দীর্ঘদিন ফসল, গবাদি পশু-পাখি ও সাধারণ মানুষ একই ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে আনা নেয়া করা হয়। দশমিনা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, যাত্রী পরিবহনে সরকারের নির্দেশনা মানাতে হবে। না হলে যে কোন সময় ট্রলার উল্টে দূর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। রণগোপালদী ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম আসাদুজ্জামান নাসির সিকদার বলেন, ইজারা প্রদানের সময় প্রশাসনের পরিবহনের ধারণ ক্ষমতা দেখে নেয়া উচিৎ। চরবোরহান ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজির আহমেদ বলেন, প্রতিদিন শতাধিক সাধারণ মানুষকে উত্তাল বুড়াগৌরাঙ্গ পাড়ি দিতে হয়। পাড়াপারের ট্রলারগুলো খালের পাশে যাত্রীদেরকে নামিয়ে দেয়। ঘাট, পল্টুন বা জেটি কিংবা চলাচলে কোন সুযোগ সুবিধা না দিয়ে আদায় করে নিচ্ছে ইজারার অর্থ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, নৌপথে স্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে যাত্রী পারাপার সম্পূর্ণভাবে আইনত নিষিদ্ধ। উপযুক্ত নৌযান ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি এই সব রুটে। পারাপারের বিকল্প না থাকায় ট্রলারে পাড়াপার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। আধুনিক যুগে বাস করেও এখন পর্যন্ত উপজেলা সদর থেকে চরাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য কোন উন্নত নৌযানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
দশমিনা (পটুয়াখালী) : নিষেধ থাকা সত্বেও ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে এলাকাবাসী -সংবাদ
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় অবৈধ ট্রলারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে যাত্রী নিয়ে পারাপার করছে। ফি বছর আদায় হচ্ছে ইজারার টাকা। নিয়মনীতি উপেক্ষা নৌপথে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে যাত্রী পারাপার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও অবৈধ ট্রলার প্রতিদিন অবাধে যাত্রী পারাপার হচ্ছে।
জানা যায়, তেঁতুলিয়া নদীতে নলখোলা বন্দর থেকে চরহাদি রুটে দীর্ঘদিন ইজারা আদায় করলেও প্রশাসন একই এলাকায় যাতায়াতের জন্য হাজীরহাট থেকে চরহাদি রুট চালু করে। এতে ইজারাদারদের মধ্যে সৃষ্ট প্রতিযোগীতা করে বেড়েই চলছে ইজারার দর নির্ধারণ। এছাড়াও বুড়াগৌরাঙ্গ নদে আউলিয়াপুর থেকে চরবোরহান ও আউলিয়াপুর থেকে চরশাহজালালে রয়েছে দুটি রুট। প্রশাসন ইজারার অর্থ আদায়ের বাহিরে দেখছেনা জনস্বার্থ। দীর্ঘদিন ফসল, গবাদি পশু-পাখি ও সাধারণ মানুষ একই ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে আনা নেয়া করা হয়। দশমিনা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, যাত্রী পরিবহনে সরকারের নির্দেশনা মানাতে হবে। না হলে যে কোন সময় ট্রলার উল্টে দূর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। রণগোপালদী ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম আসাদুজ্জামান নাসির সিকদার বলেন, ইজারা প্রদানের সময় প্রশাসনের পরিবহনের ধারণ ক্ষমতা দেখে নেয়া উচিৎ। চরবোরহান ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজির আহমেদ বলেন, প্রতিদিন শতাধিক সাধারণ মানুষকে উত্তাল বুড়াগৌরাঙ্গ পাড়ি দিতে হয়। পাড়াপারের ট্রলারগুলো খালের পাশে যাত্রীদেরকে নামিয়ে দেয়। ঘাট, পল্টুন বা জেটি কিংবা চলাচলে কোন সুযোগ সুবিধা না দিয়ে আদায় করে নিচ্ছে ইজারার অর্থ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, নৌপথে স্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে যাত্রী পারাপার সম্পূর্ণভাবে আইনত নিষিদ্ধ। উপযুক্ত নৌযান ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি এই সব রুটে। পারাপারের বিকল্প না থাকায় ট্রলারে পাড়াপার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। আধুনিক যুগে বাস করেও এখন পর্যন্ত উপজেলা সদর থেকে চরাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য কোন উন্নত নৌযানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি।