alt

সারাদেশ

ভাঙন নিয়ে এখন ভাবনাহীন পদ্মাপাড়ের মানুষ

মাহাবুব আলম লিটন, মুন্সীগঞ্জ : শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২

পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হওয়ায় ভাঙন নিয়ে আতঙ্ক নেই পদ্মাপাড়ের মানুষদের।

এখন তাদের চোখে মুখে নেই উৎকন্ঠা। নেই কোন ভয় আর আতঙ্ক।

সবচেয়ে বেশি ভাঙনের শিকার হয় পদ্মাপাড়ের মানুষ।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মা নদীতে আকস্মিক পানিবৃদ্ধি খুব স্বাভাবিক বিষয়।

ফলে সবসময় হুমকির মুখে থাকে এখানকার মানুষজন।

প্রতিবছরই ভাঙনের শিকার হওয়ায় সামর্থ থাকা সত্ত্বেও অনেকে টিনের ঘরে বসবাস করেন।

তবে এবার পদ্মা সেতু বহুমুখী প্রকল্পের প্রায় ১৪ কিলোমিটার নদীশাসন করতে হয়েছে।

ফলে এসব অঞ্চলের হাজারো মানুষের বাপ-দাদার ভিটাও রক্ষা পেয়েছে।

এরমধ্যে মাওয়া এলাকায় ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার এবং বাকি ১২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার জাজিরা এলাকায়।

পদ্মাপাড়ে কথা হয় জাজিরা কাজিরহাট বন্দরের ওয়াজল শিকদারের সঙ্গে। বয়স ৮৫ ছুঁই ছুঁই।

পদ্মার ভাঙনে কতবার নিজের বসতভিটা এই জীবনে সরাতে হয়েছে তা আঙুলে গুণে গুণে হিসাব দিচ্ছেন বয়স্ক এই মানুষটি।

খরস্রোতা পদ্মার ভাঙন যেন তার জীবনকে বিষন্ন করে তুলেছে। পদ্মা সেতুর কল্যাণে নদীশাসন কাজ যেন তার জীবনে সব থেকে বড় কল্যাণ বয়ে এনেছে।

পূর্ব নাউডোবা ইউনিয়নে চা খেতে খেতে কথা হয় জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তার কাছে সেতুর সব থেকে বড় কল্যাণকর দিক নদীশাসন।

পদ্মাপাড়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও চাষিরাও অনেক লাভবান হবেন। ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার ফলে অর্থনীতির চাকাও সচল হবে। সাধারণ মানুষ কৃষিপণ্য সুলভমূল্যে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করবেন।

পদ্মাপাড়ে নানা ধরনের শাক-সবজি হয়। এসব শাক-সবজি ঢাকায় নিতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগতো। অথচ এখন স্বল্প সময়ে ঢাকায় নেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, ‘আগে বন্যায় অনিশ্চয়তা থাকতো। এই বুঝি বাড়িঘর পদ্মা নিয়ে গেলো। কিন্তু নদী শাসনের কাজ হওয়ার কারণে সেই ভয় এখন নেই। রাতে অন্তত শান্তিতে ঘুমাতে পারছি।’

নদীশাসন শুধু সেতু রক্ষা করছে না ভাঙন আতঙ্কও দূর করেছে

পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে নদীশাসন কাজের দৈর্ঘ্য ১৩ কিলোমিটার। এটির কাজও বহুমাত্রিক।

নদীর তলদেশ খনন, ব্লক ও জিওব্যাগ ফেলা ও পাড় বাঁধাইয়ের কাজ করা হয়। এই কাজে ১ কোটি ৩৩ লাখ কংক্রিটের ব্লক ও ২ কোটির বেশি বালুভর্তি জিও ব্যাগ ব্যবহার করা হয়।

নদীখননের ফলে ২১২ কোটি ঘনফুট বালু স্থানান্তর করতে হয়। এই কাজ বাস্তবায়ন করছে চীনের আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। তাদের সঙ্গে চুক্তি হয় ২০১৪ সালের নভেম্বরে। চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা।

বর্তমান সময় পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কাজের ভৌত ও বাস্তব অগ্রগতি ৯২ শতাংশ। এই কাজের ফলে পদ্মা সেতু পাড়ের মানুষের ভাঙন আতঙ্ক দূর হয়েছে।

বর্তমানে তারা আতন্ক উৎকনাঠা কাটিয়ে বেশ ভাল আছে পদ্না সেতু বাস্তবায়ন হওয়ায়।

ছবি

ফরিদপুরের সালথায় মানবপাচার মামলায় নারী গ্রেপ্তার

ছবি

গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ নিয়ে যা জানালেন বদি

ছবি

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: মৈত্রীসহ সকল ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি

ছবি

গাজীপুরে ট্রেন দূর্ঘটনা: ২৪ ঘণ্টাতেও শেষ হয়নি উদ্ধারকাজ

ছবি

মুন্সীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ৩, আহত ২

ফেসবুকের কল্যাণে একযুগ পর ষাটোর্ধ বৃদ্ধাকে ভারত থেকে খুঁজে পেলো তার পরিবার

ছবি

দুই কারণে বাড়ছে ট্রেন দুর্ঘটনা

ছবি

টেকনাফে উপজেলা চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতন আদায় ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রতিবাদে দুই সংগঠনের বিক্ষোভ

ছবি

হাইমচর মাছের আড়তে প্রকাশ্যে জাটকা ও পাঙ্গাশের পোনা বিক্রি

ছবি

মাছ নেই সাগরে, খালি হাতে কূলে ফিরছেন জেলেরা

ছবি

গাজীপুরে ট্রেন দূর্ঘটনা : স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত

ছবি

কারো না কারো ভুলেই এই দুর্ঘটনা হয়েছে : জেলা প্রশাসক

ছবি

ফের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান রাজীব

ছবি

গাজীপুরে ২ ট্রেনের সংঘর্ষ: জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি

সখীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৯ মেম্বারের অনাস্থা

ছবি

গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ট্রেন-কমিউটার মুখোমুখি সংঘর্ষ

ছবি

নীলফামারীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

ছবি

১০ বাংলাদেশি জেলেকে ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি

ছবি

নাগরপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

৬০ কি.মি. বেগে ঝড় বইতে পারে যে ৬ অঞ্চলে

ছবি

উচ্চ তাপ প্রবাহ, কালীগঞ্জে নেমে গেছে পানির স্তর

স্বস্তির বৃষ্টির মধ্যেই বজ্রাঘাতে ৩ জেলায় নিহত ৬

গাজীপুরের কালীগঞ্জে বৃদ্ধার এক আঙুল খেয়ে ফেলেছে শিয়াল, আহত-৩

ছবি

গাজীপুরে অপহরণের একমাস পর অপহৃত ৮ মাসের শিশু উদ্ধার

টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটি বাকবিতন্ডা, ট্রেনে ভাংচুর, আহত-৫

ছবি

পাবনায় দুই প্রার্থীর সমর্থক-পুলিশ ত্রিমুখী সংঘর্ষ,গুলিবিদ্ধ ২ আহত ১০

ছবি

কালুরঘাট সেতুর ‘অর্ধ কোটি টাকার’ ক্ষতি, মামলা

ছবি

যশোরে ‘ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় গণধোলাই এ নিহত এক

ছবি

অপহরণের কয়েক ঘন্টায় পাহাড় থেকে তিনজনকে উদ্ধার করল এলাকাবাসী

ছবি

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন

ছবি

কক্সবাজারে বজ্রপাতে ২ লবণ শ্রমিকের মৃত্যু

ছবি

রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল যোগাযোগ বন্ধ

ছবি

মাজার জিয়ারত শেষে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেলো ৫ জনের

ছবি

বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকরা ভয় ও নিপীড়নের মধ্যে রয়েছেন: অ্যামনেস্টি

ছবি

হিট স্ট্রোকের’ কারনে সুন্দরবনে একটি বাঘের মৃত্যু

tab

সারাদেশ

ভাঙন নিয়ে এখন ভাবনাহীন পদ্মাপাড়ের মানুষ

মাহাবুব আলম লিটন, মুন্সীগঞ্জ

শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২

পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হওয়ায় ভাঙন নিয়ে আতঙ্ক নেই পদ্মাপাড়ের মানুষদের।

এখন তাদের চোখে মুখে নেই উৎকন্ঠা। নেই কোন ভয় আর আতঙ্ক।

সবচেয়ে বেশি ভাঙনের শিকার হয় পদ্মাপাড়ের মানুষ।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মা নদীতে আকস্মিক পানিবৃদ্ধি খুব স্বাভাবিক বিষয়।

ফলে সবসময় হুমকির মুখে থাকে এখানকার মানুষজন।

প্রতিবছরই ভাঙনের শিকার হওয়ায় সামর্থ থাকা সত্ত্বেও অনেকে টিনের ঘরে বসবাস করেন।

তবে এবার পদ্মা সেতু বহুমুখী প্রকল্পের প্রায় ১৪ কিলোমিটার নদীশাসন করতে হয়েছে।

ফলে এসব অঞ্চলের হাজারো মানুষের বাপ-দাদার ভিটাও রক্ষা পেয়েছে।

এরমধ্যে মাওয়া এলাকায় ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার এবং বাকি ১২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার জাজিরা এলাকায়।

পদ্মাপাড়ে কথা হয় জাজিরা কাজিরহাট বন্দরের ওয়াজল শিকদারের সঙ্গে। বয়স ৮৫ ছুঁই ছুঁই।

পদ্মার ভাঙনে কতবার নিজের বসতভিটা এই জীবনে সরাতে হয়েছে তা আঙুলে গুণে গুণে হিসাব দিচ্ছেন বয়স্ক এই মানুষটি।

খরস্রোতা পদ্মার ভাঙন যেন তার জীবনকে বিষন্ন করে তুলেছে। পদ্মা সেতুর কল্যাণে নদীশাসন কাজ যেন তার জীবনে সব থেকে বড় কল্যাণ বয়ে এনেছে।

পূর্ব নাউডোবা ইউনিয়নে চা খেতে খেতে কথা হয় জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তার কাছে সেতুর সব থেকে বড় কল্যাণকর দিক নদীশাসন।

পদ্মাপাড়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও চাষিরাও অনেক লাভবান হবেন। ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার ফলে অর্থনীতির চাকাও সচল হবে। সাধারণ মানুষ কৃষিপণ্য সুলভমূল্যে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করবেন।

পদ্মাপাড়ে নানা ধরনের শাক-সবজি হয়। এসব শাক-সবজি ঢাকায় নিতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগতো। অথচ এখন স্বল্প সময়ে ঢাকায় নেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, ‘আগে বন্যায় অনিশ্চয়তা থাকতো। এই বুঝি বাড়িঘর পদ্মা নিয়ে গেলো। কিন্তু নদী শাসনের কাজ হওয়ার কারণে সেই ভয় এখন নেই। রাতে অন্তত শান্তিতে ঘুমাতে পারছি।’

নদীশাসন শুধু সেতু রক্ষা করছে না ভাঙন আতঙ্কও দূর করেছে

পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে নদীশাসন কাজের দৈর্ঘ্য ১৩ কিলোমিটার। এটির কাজও বহুমাত্রিক।

নদীর তলদেশ খনন, ব্লক ও জিওব্যাগ ফেলা ও পাড় বাঁধাইয়ের কাজ করা হয়। এই কাজে ১ কোটি ৩৩ লাখ কংক্রিটের ব্লক ও ২ কোটির বেশি বালুভর্তি জিও ব্যাগ ব্যবহার করা হয়।

নদীখননের ফলে ২১২ কোটি ঘনফুট বালু স্থানান্তর করতে হয়। এই কাজ বাস্তবায়ন করছে চীনের আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। তাদের সঙ্গে চুক্তি হয় ২০১৪ সালের নভেম্বরে। চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা।

বর্তমান সময় পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কাজের ভৌত ও বাস্তব অগ্রগতি ৯২ শতাংশ। এই কাজের ফলে পদ্মা সেতু পাড়ের মানুষের ভাঙন আতঙ্ক দূর হয়েছে।

বর্তমানে তারা আতন্ক উৎকনাঠা কাটিয়ে বেশ ভাল আছে পদ্না সেতু বাস্তবায়ন হওয়ায়।

back to top