জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুই নারীসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জয়পুরহাটের প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার কোকতাঁরা গ্রামের প্রয়াত রুস্তম আলীর স্ত্রী সহিদা বেগম, তার ছেলে রব্বানী, একই গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন এবং দরগাপাড়া গ্রামের আবু রায়হানের স্ত্রী আমিনা ও তার ছেলে রাফিউল। রায় ঘোষণার সময় আমিনা ছাড়া বাকিরা আদালতে হাজির ছিলেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, ২০১০ সালের ২৫ মার্চ সকালে পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামের আবু হোসাইনের বাবা আবু তাহের নিজের খড়ের পালায় কাজ করছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামিরা সেখানে গিয়ে আবু তাহেরকে মারধর শুরু করেন। ছেলে আবু হোসাইন বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। তখন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপরও হামলা চালায় আসামিরা।
এতে গুরুতর আহত আবু হোসাইনকে উদ্ধার করে প্রথমে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবু হোসাইন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে জানান, সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুই নারীসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জয়পুরহাটের প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার কোকতাঁরা গ্রামের প্রয়াত রুস্তম আলীর স্ত্রী সহিদা বেগম, তার ছেলে রব্বানী, একই গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন এবং দরগাপাড়া গ্রামের আবু রায়হানের স্ত্রী আমিনা ও তার ছেলে রাফিউল। রায় ঘোষণার সময় আমিনা ছাড়া বাকিরা আদালতে হাজির ছিলেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, ২০১০ সালের ২৫ মার্চ সকালে পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামের আবু হোসাইনের বাবা আবু তাহের নিজের খড়ের পালায় কাজ করছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামিরা সেখানে গিয়ে আবু তাহেরকে মারধর শুরু করেন। ছেলে আবু হোসাইন বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান। তখন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপরও হামলা চালায় আসামিরা।
এতে গুরুতর আহত আবু হোসাইনকে উদ্ধার করে প্রথমে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবু হোসাইন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে জানান, সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।