alt

অসহায় পরিবারের নিরুপায় নির্মমতা! চুরি ঠেকাতে ৩ বছর শেকল বন্দি কিশোর

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝিনাইদহ : বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

অন্ধকার ঘরের চৌকির উপর বসে আছে ১৫ বছর বয়সী কিশোর রিয়াজ। গলায় শেকল পড়িয়ে ঝোলানো আছে বড় তালা। তালার অন্যপ্রাপ্ত চৌকির সঙ্গে পেঁছানো। কোনো ভাবে যেন শেকল খুলে বা চৌকি ভেঙে বাইরে যেতে না পারে তা নিশ্চিত করেছে পরিবারের সদস্যরা।

গত ৩ বছর ধরে এভাবেই শেকল বন্দি রয়েছে কিশোর রিয়াজ। অবশ্য মাঝে মাঝে বাবা ও মায়ের সঙ্গে বাইরে যেতে পারলেও ছাড়া পায় না সে।

ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় মা নার্গিস খাতুন ও বাবা লিটন হোসেনের সঙ্গে বসবাস করছে রিয়াজ।

পরিবারের সদস্যরা জানায়, ৭ বছর আগে শহরের আরাপপুর এলাকায় থাকা অবস্থায় কিছু বখাটে ছেলেদের পাল্লায় পড়ে চুরি শুরু করে। এরপর থেকে সুযোগ পেলেই চুরি করে সে। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে শহরসহ আশপাশের জেলাতে গিয়েও চুরি করে। চুরি অনেকটা নেশার মতো তার কাছে। বিভিন্ন সময় পুলিশ কিশোর রিয়াজকে বাড়িতে দিয়ে গেলেও তার চুরি বন্ধ হয়নি। নানা স্থান থেকে অভিযোগ পেয়ে অতিষ্ট হয়ে গত ৩ বছর শেকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন তাকে। তারপরও সুযোগ পেলেই পালিয়ে যায় রিয়াজ।

শিশুটির পিতা লিটন হোসেন বলেন, রিয়াজ সুযোগ পেলেই চুরি করে। চুরি যেন তার নেশা। উপায় না পেয়ে গত ৩ বছর ধরে গলায় শেকল পরিয়ে ঘরের মধ্যে বেঁধে রেখেছি। কি করব বলেন। যেখানেই যায় সেখান থেকেই চুরি করে। আমরা উপায় না পেয়ে বেঁধে রেখেছি। কতবার পুলিশ এসে বাড়িতে দিয়ে গেছে। কত ডাক্তার দেখিয়েছি কোনো সমাধান হচ্ছে না।

মা নার্গিস খাতুন বলেন, আমার ২টি সন্তান। একটি মেয়ে আছে ও বড়। রিয়াজ আমার ছেলে। ওকে এভাবে রাখতে আমার খুব খারাপ লাগে। আমি কিচ্ছু চাই না। আমি শুধু চাই ও পড়াশোনা করুক আর অন্য ছেলেদের মতো খেলা করুক, ঘুরে বেড়াক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক কোনো সমস্যার কারণে রিয়াজ এমন কাজ বার বার করছে। তাই নিয়মিত কাউন্সিলিংয়ের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা দিলে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল মতিন বলেন, কয়েকটি কারণে শিশু রিয়াজ একই কাজ বার বার করছে। পরিবারে যদি এমন কেউ চুরির সঙ্গে জড়িত থাকতো তাহলে হতে পারে, আবার ওর মানসিক বিকাশের কারণেই এটা হতে পারে। আমার মনে হয় ওর নিয়মিত চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি মোটিভেশন দিলে হয়তো এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।

ছবি

সুনামগঞ্জে জমি থেকে ৫ কোটি টাকার বালু চুরির অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

সাগরে প্রথম জাল ফেলেই ১৪০ মণ ইলিশ ধরলো জেলেরা

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে রোহিঙ্গা যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

‘গুলির শব্দ শুনে’ অভিযান: অভিনেতা মন্টুর ছেলেসহ চারজন কারাগারে

ছবি

অবশেষে সংরক্ষণের কাজ চলছে দিনাজপুরের ভগ্নপ্রায় সেই রাজবাড়ির

ছবি

মোন্থার প্রভাবে ৩ বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে ‘নিখোঁজ’ ডিআইজি এহসানউল্লাহ

ছবি

অজ্ঞাতনামা লাশ আর কারা হেফাজতে মৃত্যু বেড়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকায় জনমনে সন্দেহ: এমএসএফ

জয়দেবপুর রেলক্রসিং: দোকান আর অটোরিকশার দাপট, জনদুর্ভোগ চরমে

স্বল্পমূল্যের ওএমএস আটা: দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও অধিকাংশই ব্যর্থ

ছবি

বিশ্বে ভূপৃষ্টের তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে

ছবি

যুদ্ধ বন্ধের আশা হারাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা

ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

ছবি

জয়পুরহাটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতির অনুমোদন

ছবি

মহাদেবপুরে নির্বিঘ্নে সার ও বীজ সরবরাহে মতবিনিময় সভা

ছবি

সাঘাটায় মেয়াদের ৪ মাস অতিবাহিত হলেও বাস্তবায়ন হয়নি এডিপি প্রকল্প

ছবি

শেরপুরে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

ছবি

শেরপুরে নাবিল হাইওয়ে রেস্টুরেন্টকে জরিমানা

ছবি

জাল স্বাক্ষরে পদত্যাগপত্র তৈরির অভিযোগ মোরেলগঞ্জে ১৫ বছর ধরে নিজ কর্মস্থল থেকে বিতাড়িত অধ্যক্ষ

ছবি

ডিম ছাড়া শেষ, শুরু হলো জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা

ছবি

অবৈধ ড্রেজারের তাণ্ডবে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

ছবি

কটিয়াদী সড়কে বড় বড় গর্ত, যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

কিশোরগঞ্জে খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

ছবি

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ বিনোদনের প্রাচীন ঐতিহ্য- বানরের খেলা

ছবি

মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মাদক উদ্ধার ও ৯ বাংলাদেশি আটক

ছবি

ধোবাউড়ায় তুচ্চ ঘটনায় চুরিকাঘাতে খুন, আটক ৩

ছবি

সলঙ্গায় প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ

ফকিরহাটে স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে লুটপাট

ছবি

নড়াইলে ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

মাদকসেবীকে বাঁচাতে সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছনা

ছবি

নড়াইলে চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

মোরেলগঞ্জের কমলা চাষে সফল নাসির মল্লিক

ছবি

নন্দীগ্রামে প্রশিক্ষণ পেয়েও ঋণ পাচ্ছেন না যুবকরা

ছবি

বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে গলাচিপার গুরিন্দা জামে মসজিদ

ছবি

চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার বাঁধ বিলীন

ছবি

দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে ইছামতী নদী

tab

অসহায় পরিবারের নিরুপায় নির্মমতা! চুরি ঠেকাতে ৩ বছর শেকল বন্দি কিশোর

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝিনাইদহ

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

অন্ধকার ঘরের চৌকির উপর বসে আছে ১৫ বছর বয়সী কিশোর রিয়াজ। গলায় শেকল পড়িয়ে ঝোলানো আছে বড় তালা। তালার অন্যপ্রাপ্ত চৌকির সঙ্গে পেঁছানো। কোনো ভাবে যেন শেকল খুলে বা চৌকি ভেঙে বাইরে যেতে না পারে তা নিশ্চিত করেছে পরিবারের সদস্যরা।

গত ৩ বছর ধরে এভাবেই শেকল বন্দি রয়েছে কিশোর রিয়াজ। অবশ্য মাঝে মাঝে বাবা ও মায়ের সঙ্গে বাইরে যেতে পারলেও ছাড়া পায় না সে।

ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় মা নার্গিস খাতুন ও বাবা লিটন হোসেনের সঙ্গে বসবাস করছে রিয়াজ।

পরিবারের সদস্যরা জানায়, ৭ বছর আগে শহরের আরাপপুর এলাকায় থাকা অবস্থায় কিছু বখাটে ছেলেদের পাল্লায় পড়ে চুরি শুরু করে। এরপর থেকে সুযোগ পেলেই চুরি করে সে। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে শহরসহ আশপাশের জেলাতে গিয়েও চুরি করে। চুরি অনেকটা নেশার মতো তার কাছে। বিভিন্ন সময় পুলিশ কিশোর রিয়াজকে বাড়িতে দিয়ে গেলেও তার চুরি বন্ধ হয়নি। নানা স্থান থেকে অভিযোগ পেয়ে অতিষ্ট হয়ে গত ৩ বছর শেকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন তাকে। তারপরও সুযোগ পেলেই পালিয়ে যায় রিয়াজ।

শিশুটির পিতা লিটন হোসেন বলেন, রিয়াজ সুযোগ পেলেই চুরি করে। চুরি যেন তার নেশা। উপায় না পেয়ে গত ৩ বছর ধরে গলায় শেকল পরিয়ে ঘরের মধ্যে বেঁধে রেখেছি। কি করব বলেন। যেখানেই যায় সেখান থেকেই চুরি করে। আমরা উপায় না পেয়ে বেঁধে রেখেছি। কতবার পুলিশ এসে বাড়িতে দিয়ে গেছে। কত ডাক্তার দেখিয়েছি কোনো সমাধান হচ্ছে না।

মা নার্গিস খাতুন বলেন, আমার ২টি সন্তান। একটি মেয়ে আছে ও বড়। রিয়াজ আমার ছেলে। ওকে এভাবে রাখতে আমার খুব খারাপ লাগে। আমি কিচ্ছু চাই না। আমি শুধু চাই ও পড়াশোনা করুক আর অন্য ছেলেদের মতো খেলা করুক, ঘুরে বেড়াক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানসিক কোনো সমস্যার কারণে রিয়াজ এমন কাজ বার বার করছে। তাই নিয়মিত কাউন্সিলিংয়ের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা দিলে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল মতিন বলেন, কয়েকটি কারণে শিশু রিয়াজ একই কাজ বার বার করছে। পরিবারে যদি এমন কেউ চুরির সঙ্গে জড়িত থাকতো তাহলে হতে পারে, আবার ওর মানসিক বিকাশের কারণেই এটা হতে পারে। আমার মনে হয় ওর নিয়মিত চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি মোটিভেশন দিলে হয়তো এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।

back to top