কোরবানির হাটে প্রতি দুম্বা বিক্রি হচ্ছে দেড় লাখ টাকায়
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের সবুজ। সৌদিতে ছিলেন তিনি। সেখানে দুম্বা চাষ দেখেই আগ্রহ জন্মে দুম্বা পালনের। সিদ্ধান্ত নেন দেশে ফিরে বাণিজ্যিকভাবে দুম্বা পালন করবেন। তিন বছর আগে দেশে ফিরে শুরুর করেন দুম্বা ও ছাগল পালন। এখন তিনি সফল খামারি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়াও পাচ্ছেন ব্যাপক। বেচাকেনা তো করছেনই। তার খামার দেখে এখন অনেকেই দুম্বা পালনে আগ্রহী হচ্ছেন।
কোরবানি উপলক্ষে ইতোমধ্যে ৪টি দুম্বা বিক্রি করেছেন তিনি। প্রতিটি দুম্বা বিক্রি করেছেন এক লাখ ৫০ হাজার টাকায়। পশুর হাটে দুম্বার দাম আরও বাড়বে বলে আশা তার।
দুম্বার খামারি সবুজ সংবাদকে জানান, প্রতিটি দুম্বায় ৮০ থেকে ১শ’ কেজি পর্যন্ত মাংস হয়।
টার্কি জাতের দুম্বা চাষে লাভ বেশি হচ্ছে তার। সবুজ ভূঁইয়া জানান,ঢাকার একটি খামার থেকে টার্কি জাতের দেড় দু’মাস বয়সী দুম্বার ৩টি বাচ্চা এনে লালন-পালন শুরু করি। বাচ্চাগুলোর ৭ থেকে ৮ মাস বয়স হতেই প্রজনন শুরু করে। বর্তমানে খামারে ১৫টির বেশি দুম্বা রয়েছে।
দুম্বা সাধারণত ঘাষ আর ভূষি খেয়ে থাকে। দুম্বা ১৪ থেকে ১৫ মাসে দুই বার বাচ্চা দেয়। বাচ্চা দুধ ছাড়ার পর ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। কেনার পর দুম্বাকে ক্রেতার ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন সবুজ। আবার অনেক ক্রেতাই খামারে এসে সরাসরি কিনে নিয়ে যান।
গত তিন বছরে অর্ধশতাধিক দুম্বা বিক্রি করেছিন। দুম্বার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকায় দুম্বা পালনের তেমন কোনো কষ্ট হয় না।
আর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে দুম্বা পালনের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ, দুম্বার জন্য চিকিৎসাও পাচ্ছেন তিনি।
উপজেলা ভেটেনারি সার্জন ডা. সাইফুল আজম বলেন, ‘ দুম্বার প্রধান খাবার ঘাস। দুম্বা সাধারণত কৃমি ছাড়া অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হয় না। উৎপাদন খরচ খুবই কম। ফলে দুম্বার খামার অতি লাভজনক।
তিনি আরও বলেন, এই দুম্বার খামার প্রান্তিক খামারিদের জন্য অনুকরণীয় একটি বিষয়। তার সাফল্য অন্যান্যদের অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।
উপজেলার সফল খামারি সবুজকে সব রকমের সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে জানিয়ে প্রাণিসম্পদ অফিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অন্য যে কেউ দুম্বার খামার করলে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করে যাবো।’
আরও বড় পরিসরে দুম্বার ফার্ম করতে চান এই উদ্যোক্তা সবুজ। সেজন্য চান সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
দুম্বার পাশাপাশি ছাগলেরও খামার রয়েছে সবুজের। এ খামারে আফ্রিকান বোয়ার, তোতাপুরিসহ বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কিছু ছাগল রয়েছে।
কোরবানির হাটে প্রতি দুম্বা বিক্রি হচ্ছে দেড় লাখ টাকায়
বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের সবুজ। সৌদিতে ছিলেন তিনি। সেখানে দুম্বা চাষ দেখেই আগ্রহ জন্মে দুম্বা পালনের। সিদ্ধান্ত নেন দেশে ফিরে বাণিজ্যিকভাবে দুম্বা পালন করবেন। তিন বছর আগে দেশে ফিরে শুরুর করেন দুম্বা ও ছাগল পালন। এখন তিনি সফল খামারি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়াও পাচ্ছেন ব্যাপক। বেচাকেনা তো করছেনই। তার খামার দেখে এখন অনেকেই দুম্বা পালনে আগ্রহী হচ্ছেন।
কোরবানি উপলক্ষে ইতোমধ্যে ৪টি দুম্বা বিক্রি করেছেন তিনি। প্রতিটি দুম্বা বিক্রি করেছেন এক লাখ ৫০ হাজার টাকায়। পশুর হাটে দুম্বার দাম আরও বাড়বে বলে আশা তার।
দুম্বার খামারি সবুজ সংবাদকে জানান, প্রতিটি দুম্বায় ৮০ থেকে ১শ’ কেজি পর্যন্ত মাংস হয়।
টার্কি জাতের দুম্বা চাষে লাভ বেশি হচ্ছে তার। সবুজ ভূঁইয়া জানান,ঢাকার একটি খামার থেকে টার্কি জাতের দেড় দু’মাস বয়সী দুম্বার ৩টি বাচ্চা এনে লালন-পালন শুরু করি। বাচ্চাগুলোর ৭ থেকে ৮ মাস বয়স হতেই প্রজনন শুরু করে। বর্তমানে খামারে ১৫টির বেশি দুম্বা রয়েছে।
দুম্বা সাধারণত ঘাষ আর ভূষি খেয়ে থাকে। দুম্বা ১৪ থেকে ১৫ মাসে দুই বার বাচ্চা দেয়। বাচ্চা দুধ ছাড়ার পর ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। কেনার পর দুম্বাকে ক্রেতার ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন সবুজ। আবার অনেক ক্রেতাই খামারে এসে সরাসরি কিনে নিয়ে যান।
গত তিন বছরে অর্ধশতাধিক দুম্বা বিক্রি করেছিন। দুম্বার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকায় দুম্বা পালনের তেমন কোনো কষ্ট হয় না।
আর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে দুম্বা পালনের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ, দুম্বার জন্য চিকিৎসাও পাচ্ছেন তিনি।
উপজেলা ভেটেনারি সার্জন ডা. সাইফুল আজম বলেন, ‘ দুম্বার প্রধান খাবার ঘাস। দুম্বা সাধারণত কৃমি ছাড়া অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হয় না। উৎপাদন খরচ খুবই কম। ফলে দুম্বার খামার অতি লাভজনক।
তিনি আরও বলেন, এই দুম্বার খামার প্রান্তিক খামারিদের জন্য অনুকরণীয় একটি বিষয়। তার সাফল্য অন্যান্যদের অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।
উপজেলার সফল খামারি সবুজকে সব রকমের সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে জানিয়ে প্রাণিসম্পদ অফিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অন্য যে কেউ দুম্বার খামার করলে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করে যাবো।’
আরও বড় পরিসরে দুম্বার ফার্ম করতে চান এই উদ্যোক্তা সবুজ। সেজন্য চান সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
দুম্বার পাশাপাশি ছাগলেরও খামার রয়েছে সবুজের। এ খামারে আফ্রিকান বোয়ার, তোতাপুরিসহ বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কিছু ছাগল রয়েছে।