image

দেশকে রক্ষার সক্ষমতা আছে: সেনাপ্রধান

শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বাংলাদেশের সীমানায় কেউ আক্রমণ করলে তা মোকাবিলার সক্ষমতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার দুপুরে পদ্মা সেতুর দক্ষিণ পাশে শরীয়তপুরে জাজিরার নাওডোবাতে শেখ রাসেল সেনানিবাসে পতাকা উত্তোলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেছেন, “বহিঃশত্রুর যেকোনো আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা রয়েছে। আমরা শান্তিপ্রিয়, কারো সঙ্গে ঝগড়া করতে চাই না। কিন্ত কেউ যদি আমাদের সঙ্গে অযথা বিভেদ সৃষ্টি করতে আসে সেক্ষেত্রে আমরা বসে থাকব না।”

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনের নৌপথে চলাচলকারী কয়েকটি ট্রলারে টানা কয়েকদিন গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওইসব ট্রলারের চালক ও যাত্রীদের ধারণা, মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে এসব গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। এ কারণে টানা আট দিন এ নৌপথে যানচলাচল বন্ধ ছিল।

পরে বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগর দিয়ে বিকল্প পথে সেন্ট মার্টিনে আটকাপড়াদের টেকনাফে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার টেকনাফ থেকে পণ্যবাহী যান যায় সেন্ট মার্টিনে।

এর মধ্যেই নাফ নদীর মায়ানমারের জলসীমায় বুধবার থেকে একটি যুদ্ধজাহাজের দেখা মেলে। এরপর সেখান থেকে প্রতিদিন গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনতে পায় টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা। যদিও শনিবার সকাল থেকে সেই জাহাজ আর দেখা যাচ্ছে না, গোলাগুলির শব্দও আর আসছে না।

এর মধ্যেই সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে সেনাপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি নিজেদের সক্ষমতার কথা জানান।

সেনাপ্রধান নাওডোবায় ৯ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে ১২৯ ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন করেন।

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় প্রণীত হয় ফোর্সেস গোল-২০৩০। আজকের এই পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আরেক ধাপ বাস্তাবায়িত হলো।”

অনুষ্ঠানে সাবেক পানি সম্পদমন্ত্রী সংসদ সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীম ও ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি