alt

বন্যা সিলেটে কমেছে, বাড়ছে রংপুরে

মোস্তাফিজুর রহমানট : বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

লালমনিরহাটে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে স্কুল-সংবাদ

বৃষ্টি কমে আসায় সিলেট অঞ্চলের পানির স্তর কিছুটা নেমেছে। পূর্ভাবাস অনুযায়ী বৃষ্টি ও পানির উচ্চতা আরও কমবে। এতে ক্রমান্বয়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। তবে আপাদত এ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে না বলে প্রত্যাশা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি কমলেও উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা এখন বাড়ছে। ফলে রংপুর বিভাগের নদ-নদীর পানিও বাড়বে। এতে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নীলফামারী, লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বন্যার ম্যাপে দেখা যায়, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গ মিলে মোট ১১টি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি বিরজমান। এছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দুটি ও উত্তরবঙ্গের তিনটিসহ মোট ৫টি এলাকায় বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বৃহস্পতিবার সংবাদকে বলেন, তারা সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ‘উন্নতির’ সম্ভাবনা দেখলেও উত্তরবঙ্গে ‘অবনতির’ আশঙ্কা করছেন।

‘বন্যা পরিস্থিতি সিলেটের দিকে কিছুটা স্থিতিশীল। ওই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা কমেছে। পূর্ভাবাসেও দেখা যাচ্ছে আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসতে পারে। আমরা আশা করছি এখন বন্যা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে যাবে। তবে গুরুতর অবনতি দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা এখন কম।’

বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের কারণে ১৯ জুন বুধবার সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তবে বৃহস্পতিবার অনেক এলাকা থেকে পানি নেমে যায়।

তবে উত্তরবঙ্গে ব্রক্ষপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে বলে বৃহস্পতিবার বন্যা পূর্ভাবাসে বলা হয়েছে।

সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হান বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমলেও এখন উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ছে। ফলে রংপুর বিভাগের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। যে কারণে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নীলফামারী, লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যার সম্ভবনা রয়েছে। তবে পরবর্তীতে সেটি কমে আসতে পারে।’

বর্ষাকালের ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কয়েকদিন ধরেই সিলেট অঞ্চলের সব নদী ও হাওরের পানি বাড়ছিল। আগেরদিন সুরমাসহ নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বুধবার সিটি করপোরেশন এলাকাসহ সিলেটের সব উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়। সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়। তবে বৃহস্পতিবার পানি কিছু কমেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সিলেটে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট উপজেলায় বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্লাবিত হচ্ছে, যা আগেরদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৬ সেন্টিমিটার কম। এ নদীর পানি সিলেট নগরে আট সেন্টিমিটার কমে ২৯ সেন্টিমিটার ওপরে, সুনামগঞ্জের ছাতকে ১৪ সেন্টিমিটার কমে ১২৯ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জ শহরে ১৭ সেন্টিমিটার কমে ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে এই নদীর পানি ভাটিতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় তিন সেন্টিমিটার বেড়ে ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যদিও কুশিয়ারা নদীর পানি সিলেটের জকিগঞ্জের অমলশীদে ২৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা আগেরদিন সন্ধ্যায় ছিল ৬২ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওয়া পয়েন্টে বুধবার সন্ধ্যায় বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ নদীর পানি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে মাত্র এক সেন্টিমিটার বেড়ে ১০১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে বিপৎসীমার নিচে নেমেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সারিগোয়াইন নদী।

বৃহস্পতিবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে। এই সময়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে। তবে পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে না। যদিও অতিবৃষ্টি সম্ভাবনা থাকায় চলতি বর্ষমৌসুমে আরও বন্যার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ‘সিলেটে দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। সেখানে বৃষ্টি হলে অবধারিতভাবেই নদীর পানি বাড়বে। স্বাভাবিকভাবেই বন্যাও হতে পারে। আর এ বছর বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু জুলাই-অগাস্ট মাসে বৃষ্টিপাত বেশি হয়, সেহেতু তাই বন্যার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। তবে বন্যার ভয়াবহতা কেমন হবে সেটি এখনও বলা যাচ্ছে না।’

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থাপ্পড়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৩০

ছবি

মেরিন ড্রাইভ সৈকতে ২৯ ভুক্তভোগী উদ্ধার

ছবি

জুলাই শহীদের কন্যা ধর্ষণ মামলার ৩ জনের কারাদণ্ড

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের ইজারা বাতিলের দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ

ছবি

চট্টগ্রামে নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফ্লাইওভার, ১৪০ নাট-বোল্টু চুরি

ছবি

পুঁজির অভাবে বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী লালপুরের মৃৎশিল্প আশীষ কুমার সরকার সুইট,

ছবি

এবার পাঁচ দাবিতে আন্দোলনে ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা

ছবি

মাদারগঞ্জে এমদাদ ভাগ্য বদলের স্বপ্ন নিয়ে লাউ চাষে লাভবান

ছবি

দামুড়হুদায় ছাতিম ফুলের মিষ্টি সুবাসে মুগ্ধ পথচারী

ছবি

ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় সিসা দূষণ প্রতিরোধে র‌্যালি, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

আগের মতো জাতীয় ফুল শাপলা দেখা যায় না

ছবি

মানিকগঞ্জে কৃষকদের মাঝে সার বীজ বিতরণ

ছবি

চান্দিনায় খুচরা সার ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

ছবি

ধর্মপুর কলেজের অধ্যক্ষ ছামিউল চুড়ান্তভাবে বরখাস্ত

পানিতে ডুবে শিশুর ও বিষপানে যুবকেরা আত্মহত্যা

ছবি

মতলবে বিএসটিআইর অভিযানে একাধিক প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড

চকরিয়ায় লোকালয়ে অবৈধ গ্যাসের গোডাউন দুর্ঘটনার আশঙ্কা, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

নবীগঞ্জে নারীর আত্মহত্যা

ছবি

নন্দীগ্রামে গো খাদ্যর তীব্র সংকট, বিপাকে খামারিরা

ছবি

সবুজের গল্পে কৃষির ইতিহাস শাহ কৃষি জাদুঘর দেশের সর্ববৃহৎ কৃষি জাদুঘর নওগাঁয়

ছবি

সৈয়দপুর লায়ন্স ক্লাবের সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

গাইবান্ধায় ইটভাটা মালিকদের অভিযোগ অস্বচ্ছ নীতিমালার শুরুতে নীরব, মাঝপথে অভিযান

ছবি

কেশবপুরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সরিষার বীজ সার বিতরণ

ছবি

চকরয়িায় ট্রেনে কাটা পড়ে মানসকি ভারসাম্যহীন বৃদ্ধা নারী নহিত

ছবি

সিরাজগঞ্জে বন্যা না হওয়ায় প্রাকৃতিক মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ার শঙ্কা

ছবি

সেন্ট মার্টিনে নৌযান চলাচলের জন্য লাগবে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন

ছবি

সৈয়দপুরে চার মাদকসেবীর কারাদণ্ড

ছবি

মোংলায় মাদক ব্যবসায়ী আকবারসহ আটক ৩

ছবি

বোয়ালখালীতে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

পীরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গে ৯ রোগী শনাক্ত

ছবি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ঠাকে ‘অপদার্থ ও অযোগ্য’ বললেন এবি পার্টির ফুয়াদ

ছবি

গৌরনদীতে অজ্ঞাতনামা মরদেহের পরিচয় মেলেনি

ছবি

আদমদীঘিতে আমন খেতে মাজরা পোকার হানা, দিশেহারা কৃষক

ছবি

কলেজের সামনে ময়লার ভাগারকে কেন্দ্র করে মহাসড়ক অবরোধ

ছবি

জৈন্তাপুর সীমান্তে বিজিবির গুলিতে যুবকের মৃত্যু, আহত এক সদস্য

ছবি

ডিমলায় ভিডাব্লিউবির চাল দুর্গন্ধযুক্ত ও নিম্নমানের কারণে বিতরণ বন্ধ

tab

বন্যা সিলেটে কমেছে, বাড়ছে রংপুরে

মোস্তাফিজুর রহমানট

লালমনিরহাটে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে স্কুল-সংবাদ

বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

বৃষ্টি কমে আসায় সিলেট অঞ্চলের পানির স্তর কিছুটা নেমেছে। পূর্ভাবাস অনুযায়ী বৃষ্টি ও পানির উচ্চতা আরও কমবে। এতে ক্রমান্বয়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। তবে আপাদত এ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে না বলে প্রত্যাশা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি কমলেও উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা এখন বাড়ছে। ফলে রংপুর বিভাগের নদ-নদীর পানিও বাড়বে। এতে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নীলফামারী, লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বন্যার ম্যাপে দেখা যায়, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গ মিলে মোট ১১টি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি বিরজমান। এছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দুটি ও উত্তরবঙ্গের তিনটিসহ মোট ৫টি এলাকায় বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বৃহস্পতিবার সংবাদকে বলেন, তারা সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির ‘উন্নতির’ সম্ভাবনা দেখলেও উত্তরবঙ্গে ‘অবনতির’ আশঙ্কা করছেন।

‘বন্যা পরিস্থিতি সিলেটের দিকে কিছুটা স্থিতিশীল। ওই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা কমেছে। পূর্ভাবাসেও দেখা যাচ্ছে আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসতে পারে। আমরা আশা করছি এখন বন্যা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে যাবে। তবে গুরুতর অবনতি দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা এখন কম।’

বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের কারণে ১৯ জুন বুধবার সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তবে বৃহস্পতিবার অনেক এলাকা থেকে পানি নেমে যায়।

তবে উত্তরবঙ্গে ব্রক্ষপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে বলে বৃহস্পতিবার বন্যা পূর্ভাবাসে বলা হয়েছে।

সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হান বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমলেও এখন উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ছে। ফলে রংপুর বিভাগের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। যে কারণে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নীলফামারী, লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যার সম্ভবনা রয়েছে। তবে পরবর্তীতে সেটি কমে আসতে পারে।’

বর্ষাকালের ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কয়েকদিন ধরেই সিলেট অঞ্চলের সব নদী ও হাওরের পানি বাড়ছিল। আগেরদিন সুরমাসহ নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বুধবার সিটি করপোরেশন এলাকাসহ সিলেটের সব উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়। সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়। তবে বৃহস্পতিবার পানি কিছু কমেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সিলেটে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট উপজেলায় বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্লাবিত হচ্ছে, যা আগেরদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৬ সেন্টিমিটার কম। এ নদীর পানি সিলেট নগরে আট সেন্টিমিটার কমে ২৯ সেন্টিমিটার ওপরে, সুনামগঞ্জের ছাতকে ১৪ সেন্টিমিটার কমে ১২৯ সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জ শহরে ১৭ সেন্টিমিটার কমে ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে এই নদীর পানি ভাটিতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় তিন সেন্টিমিটার বেড়ে ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যদিও কুশিয়ারা নদীর পানি সিলেটের জকিগঞ্জের অমলশীদে ২৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা আগেরদিন সন্ধ্যায় ছিল ৬২ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওয়া পয়েন্টে বুধবার সন্ধ্যায় বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ নদীর পানি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে মাত্র এক সেন্টিমিটার বেড়ে ১০১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে বিপৎসীমার নিচে নেমেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সারিগোয়াইন নদী।

বৃহস্পতিবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে। এই সময়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে। তবে পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে না। যদিও অতিবৃষ্টি সম্ভাবনা থাকায় চলতি বর্ষমৌসুমে আরও বন্যার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ‘সিলেটে দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। সেখানে বৃষ্টি হলে অবধারিতভাবেই নদীর পানি বাড়বে। স্বাভাবিকভাবেই বন্যাও হতে পারে। আর এ বছর বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু জুলাই-অগাস্ট মাসে বৃষ্টিপাত বেশি হয়, সেহেতু তাই বন্যার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। তবে বন্যার ভয়াবহতা কেমন হবে সেটি এখনও বলা যাচ্ছে না।’

back to top