alt

সারাদেশ

দেড় হাজার শ্রমিক বেকার সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলসটি ৫ বছরেও চালু হলো না

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা : সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

সাতক্ষীরায় বন্ধ হয়ে যাওয়া একমাত্র ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস বিগত ৫ বছরেও চালু করা যায়নি। ফলে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। এছাড়া হতাশায় ভুগছেন চাকরি হারানো বিপুলসংখ্যক শ্রমিক। সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে মিলটি আবারো চালুর দাবি জানিয়েছেন বাস্তবায়ন কমিটিসহ শ্রমিকরা। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি পিপিটির মাধ্যমে চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে মিলটি।

সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার একমাত্র ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলসটি ১৯৮৩ সালে সাতক্ষীরা শহর উপকণ্ঠের মাগুরা এলাকায় ৩০ একর জায়গায় স্থাপন করা হয়। মিলটিতে একসময় দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। মূল ইউনিট ও নীলকমল ইউনিটের আওতায় ৩৯ হাজারেরও বেশি টাকু ঘুরত প্রতিনিয়ত। মিলের দুটি ইউনিটের সুতা উৎপাদন ক্ষমতা ছিল দৈনিক ১০ হাজার কেজি। তবে এর জৌলুস বেশিদিন থাকেনি।

ক্রমাগত লোকসানের ফলে ২০০৭ সালে শ্রমিক-কর্মচারীদের বিদায় জানানো হয় গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে। পরে সার্ভিস চার্জ পদ্ধতিতে মিলটি চালু হয়। তাও টেকেনি বেশিদিন। ২০১৭ সালের শেষের দিকে মিলটি ভাড়ায় নেয় নারায়ণগঞ্জের ট্রেড লিংক লি.। লোকসান হতে থাকায় এক বছর কয়েক মাস চালানোর পর ২০১৯ সালে আবারো বন্ধ ঘোষণা করা হয় মিলটি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। প্রতিষ্ঠানটি দেখভালের জন্য বর্তমানে ৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত আছেন।

এদিকে ৫ বছর মিলটি বন্ধ থাকায় বেকার জীবন-যাপন করছেন এলাকার প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক। জেলার একমাত্র ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানটি অবিলম্বে চালু করতে সরকারি পৃষ্টপোষকতার দাবি শ্রমিকদের।

এ বিষয়ে শ্রমিক রেজাউল হক রেজা বলেন, আমি এখানে চাকরি করতাম। রুটি-রুজি আমার সেভাবেই। এখন সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। কর্মসংস্থানই হলো আমাদের দাবি। মিলটা চালু হলে আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। মিলটি চালুর দাবিতে কমিটি গঠন হয়েছে সম্প্রতি। পরিকল্পিতভাবে চালু করতে পারলে লাভবান হতে পারবে কর্তৃপক্ষ, এমনটাই অভিমত শ্রমিক নেতাদের।

এ বিষয়ে সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস চালু বাস্তবায়ন কমিটির দপ্তর সমন্বয়কারী শেখ শওকত আলী বলেন, এই মিলের লাভ দিয়ে আমিন টেক্সটাইল মিল ও মাগুরা টেক্সটাইল মিল গঠিত হয়েছে। কিন্তু বিএনপি সরকারের ভ্রান্তনীতির কারণে আজ মিলটি দেউলিয়া হয়ে গেছে। সে সময় পাকিস্তানী তুলা আমদানি করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিলটি। আমাদের দাবি, সরকার যে কোনোভাবে মিলটি চালু করুক।

সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস চালু বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাগফুর রহমান বলেন, সরকার লস দিয়ে চালাবে না। পিপিপির মাধ্যমে বিটিএমসি এরই মধ্যে তিনটি মিল চালু করেছে। ত্রিশ বছরের লিজে সেগুলো তারা চালাচ্ছে। তারা লাভবান হতে পারলে এই মিল চালু হতে পারবে না কেন।

কমিটির আহ্বায়ক শেখ হারুন-উর-রশিদ বলেন, সম্প্রতি মিলটি চালুর বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু সংসদে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন। মিলটি চালু না হলে একদিকে যেমন কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হবে, তেমনি আগে কর্মরত শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বেন।

মিলটির বর্তমান ইনচার্জ শফিউল বাশার বলেন, ১৯৮০ সালে ২৯.৪৭ একর জায়গার ওপর এটি গড়ে ওঠে। ১৯৮৩ সালে এটি চালু হয়। দেড় হাজারেরও বেশি শ্রমিক একসময় কর্মরত ছিল এখানে। ১৯৯২ সালে মূল ইউনিটের বাইরে ‘নীলকমল’ নামে আরও একটি ইউনিট প্রস্তুত হয়। সুতা উৎপাদন থেকে থানকাপড় পর্যন্ত তৈরি হতো। তবে ক্রমাগত লোকসানের কারণে ২০০৭ সালে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে শ্রমিক ও কর্মচারীদের বিদায় করা হয়। কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়ে যায় মিলটি দেখাশুনার জন্য। পরে সার্ভিস চার্জ পদ্ধতিতে মিলটি পরিচালিত হতো। তবে সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। পরে ভাড়া পদ্ধতিতে চালানোর চেষ্টা চলে। কিন্তু বিদ্যুৎ সংকট ও মেশিনারিজ পুরনো হওয়ায় ২০১৯ সাল থেকে আবারো বন্ধ হয়ে যায় মিলটি। আর চালানো সম্ভব হয়নি। আমি যতটুকু জানি, দূর অথবা অদূর ভবিষ্যতে পিপিপির (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব) মাধ্যমে মিলটি চালানোর চিন্তা বিটিএমসির আছে।

অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন করিব বলেন, মিলটি বেশ কিছুদিন আগে থেকে বন্ধ রয়েছে। বাস্তবতার নিরীখে ক্রমাগত লোকসান দিয়ে টেক্সটাইল মিলকে হয়ত আর চালু করা সম্ভব হবে না। আমরা চিন্তা করছি একটা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট করা যায় কিনা। যাতে শিক্ষার্থীরা এটা নিয়ে পড়ালেখা করতে পারে। আমি ডিসি সম্মেলনে এই প্রস্তাব দিয়েছি। বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে এই প্রস্তাব দেয়ার পর তারা সেটা গ্রহণও করেছেন। তিন একর জায়গা লাগবে ইনস্টিটিউট করতে। বাকি জায়গা অন্যভাবে ব্যবহারের কথা ভাবছে মন্ত্রণালয়, যাতে ভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়।

ছবি

১২ বছর ধরে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয় মেলেনি

ছবি

গজারিয়ায় ডাকাতি প্রস্ততিকালে অস্ত্রসহ ৬ জন গ্রেপ্তার।

ছবি

বিপৎসীমার কাছাকাছি তিস্তার পানি, জনজীবন বিপর্যস্ত

ছবি

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযানে অস্ত্রসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক

ছবি

টেকনাফে বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ যুবক আটক

ছবি

দিনাজপুরে মাছ ধরার জাল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা

ছবি

গাজীপুরে দুটি কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ

ছবি

সেনা কর্মকর্তা হত‍্যা : মূল হোতা নাছির উদ্দিন ও সহযোগী ডাকাত এনাম গ্রেফতার

ছবি

জমির চেয়ে ক্যানেল উঁচু : জলাবদ্ধ ১৫০০ বিঘা জমি, বন্ধ চাষাবাদ

সখীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু

ছবি

পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কক্সবাজারে ‘অনলাইন বাস টার্মিনাল চালু

ছবি

সাবেক এমপি বদির সহযোগী আটক

কক্সবাজারে বিশ্ব পর্যটন দিবসে সাড়া ফেলেছে রক্তদান কর্মসূচি

ছবি

পেয়ারা থেকে জুস আচারসহ নানা পণ্য বানিয়ে নতুন আয়ের স্বপ্ন

ছবি

ব্যবসীয় রাশেদ হত্যাকান্ড : এক মাসেও অধরা খুনিরা

ছবি

কক্সবাজারে পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস

ছবি

মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৭ কোটি টাকার ক্যাবল আত্মসাতের ঘটনায় সাবেক এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

রাউজানে ছাত্রদলের দুই নেতা অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ

ছবি

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল মধুপুরের ঐতিহ্যবাহী আনারস

ছবি

রাঙ্গুনিয়ায় সেনাসদস্য অবরুদ্ধ, যুবদলের ১০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

২ মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন

ছবি

কক্সবাজারে ডিসির গাড়িতে পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেল শিশুর, মা চমেকে চিকিৎসাধীন

ছবি

প্রথম চালানে ভারতে গেল ১২ মেট্রিকটন ইলিশ

ছবি

১৭ কোটি টাকার ক্যাবল আত্মসাতের ঘটনায় সাবেক এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

টেকনাফে মাদক কারবারি গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলি

ছবি

ভারী বৃষ্টিতে দেশের ৬ বিভাগে নদনদীর পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা

ছবি

উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা

ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগে মামলা দায়ের

ছবি

কেএনএফ আস্তানায় প্রশিক্ষণ নেওয়া ২৮ জঙ্গির জামিন বাতিল

ছবি

চকরিয়ায় লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যায় জড়িত ৬ জন আটক

ছবি

দুদকের তদন্তের আওতায় বিএফআইইউ এর সাবেক প্রধান ও চবির সাবেক উপাচার্য

ছবি

কক্সবাজারে অবৈধ পলিথিন কারখানা সন্ধান, জরিমানা আদায়

ছবি

আশুলিয়ায় কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন কারখানা শ্রমিকরা

ছবি

গান গেয়ে পিটিয়ে হত্যা: পথচারীদের বলতেন, ‘ সবাই একটা সেলফি তুলে চলে যান’

ছবি

গাজীপুরের খুলেছে বেশিরভাগ কারখানা

ছবি

ফরিদপুরের বিভিন্ন বাজারে ছোট ইলিশ, বড় ইলিশের আকাল

tab

সারাদেশ

দেড় হাজার শ্রমিক বেকার সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলসটি ৫ বছরেও চালু হলো না

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

সাতক্ষীরায় বন্ধ হয়ে যাওয়া একমাত্র ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস বিগত ৫ বছরেও চালু করা যায়নি। ফলে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। এছাড়া হতাশায় ভুগছেন চাকরি হারানো বিপুলসংখ্যক শ্রমিক। সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে মিলটি আবারো চালুর দাবি জানিয়েছেন বাস্তবায়ন কমিটিসহ শ্রমিকরা। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি পিপিটির মাধ্যমে চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে মিলটি।

সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার একমাত্র ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলসটি ১৯৮৩ সালে সাতক্ষীরা শহর উপকণ্ঠের মাগুরা এলাকায় ৩০ একর জায়গায় স্থাপন করা হয়। মিলটিতে একসময় দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। মূল ইউনিট ও নীলকমল ইউনিটের আওতায় ৩৯ হাজারেরও বেশি টাকু ঘুরত প্রতিনিয়ত। মিলের দুটি ইউনিটের সুতা উৎপাদন ক্ষমতা ছিল দৈনিক ১০ হাজার কেজি। তবে এর জৌলুস বেশিদিন থাকেনি।

ক্রমাগত লোকসানের ফলে ২০০৭ সালে শ্রমিক-কর্মচারীদের বিদায় জানানো হয় গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে। পরে সার্ভিস চার্জ পদ্ধতিতে মিলটি চালু হয়। তাও টেকেনি বেশিদিন। ২০১৭ সালের শেষের দিকে মিলটি ভাড়ায় নেয় নারায়ণগঞ্জের ট্রেড লিংক লি.। লোকসান হতে থাকায় এক বছর কয়েক মাস চালানোর পর ২০১৯ সালে আবারো বন্ধ ঘোষণা করা হয় মিলটি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। প্রতিষ্ঠানটি দেখভালের জন্য বর্তমানে ৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত আছেন।

এদিকে ৫ বছর মিলটি বন্ধ থাকায় বেকার জীবন-যাপন করছেন এলাকার প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক। জেলার একমাত্র ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানটি অবিলম্বে চালু করতে সরকারি পৃষ্টপোষকতার দাবি শ্রমিকদের।

এ বিষয়ে শ্রমিক রেজাউল হক রেজা বলেন, আমি এখানে চাকরি করতাম। রুটি-রুজি আমার সেভাবেই। এখন সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। কর্মসংস্থানই হলো আমাদের দাবি। মিলটা চালু হলে আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। মিলটি চালুর দাবিতে কমিটি গঠন হয়েছে সম্প্রতি। পরিকল্পিতভাবে চালু করতে পারলে লাভবান হতে পারবে কর্তৃপক্ষ, এমনটাই অভিমত শ্রমিক নেতাদের।

এ বিষয়ে সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস চালু বাস্তবায়ন কমিটির দপ্তর সমন্বয়কারী শেখ শওকত আলী বলেন, এই মিলের লাভ দিয়ে আমিন টেক্সটাইল মিল ও মাগুরা টেক্সটাইল মিল গঠিত হয়েছে। কিন্তু বিএনপি সরকারের ভ্রান্তনীতির কারণে আজ মিলটি দেউলিয়া হয়ে গেছে। সে সময় পাকিস্তানী তুলা আমদানি করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিলটি। আমাদের দাবি, সরকার যে কোনোভাবে মিলটি চালু করুক।

সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস চালু বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাগফুর রহমান বলেন, সরকার লস দিয়ে চালাবে না। পিপিপির মাধ্যমে বিটিএমসি এরই মধ্যে তিনটি মিল চালু করেছে। ত্রিশ বছরের লিজে সেগুলো তারা চালাচ্ছে। তারা লাভবান হতে পারলে এই মিল চালু হতে পারবে না কেন।

কমিটির আহ্বায়ক শেখ হারুন-উর-রশিদ বলেন, সম্প্রতি মিলটি চালুর বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু সংসদে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন। মিলটি চালু না হলে একদিকে যেমন কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হবে, তেমনি আগে কর্মরত শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বেন।

মিলটির বর্তমান ইনচার্জ শফিউল বাশার বলেন, ১৯৮০ সালে ২৯.৪৭ একর জায়গার ওপর এটি গড়ে ওঠে। ১৯৮৩ সালে এটি চালু হয়। দেড় হাজারেরও বেশি শ্রমিক একসময় কর্মরত ছিল এখানে। ১৯৯২ সালে মূল ইউনিটের বাইরে ‘নীলকমল’ নামে আরও একটি ইউনিট প্রস্তুত হয়। সুতা উৎপাদন থেকে থানকাপড় পর্যন্ত তৈরি হতো। তবে ক্রমাগত লোকসানের কারণে ২০০৭ সালে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে শ্রমিক ও কর্মচারীদের বিদায় করা হয়। কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়ে যায় মিলটি দেখাশুনার জন্য। পরে সার্ভিস চার্জ পদ্ধতিতে মিলটি পরিচালিত হতো। তবে সেটাও বন্ধ হয়ে যায়। পরে ভাড়া পদ্ধতিতে চালানোর চেষ্টা চলে। কিন্তু বিদ্যুৎ সংকট ও মেশিনারিজ পুরনো হওয়ায় ২০১৯ সাল থেকে আবারো বন্ধ হয়ে যায় মিলটি। আর চালানো সম্ভব হয়নি। আমি যতটুকু জানি, দূর অথবা অদূর ভবিষ্যতে পিপিপির (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব) মাধ্যমে মিলটি চালানোর চিন্তা বিটিএমসির আছে।

অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন করিব বলেন, মিলটি বেশ কিছুদিন আগে থেকে বন্ধ রয়েছে। বাস্তবতার নিরীখে ক্রমাগত লোকসান দিয়ে টেক্সটাইল মিলকে হয়ত আর চালু করা সম্ভব হবে না। আমরা চিন্তা করছি একটা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট করা যায় কিনা। যাতে শিক্ষার্থীরা এটা নিয়ে পড়ালেখা করতে পারে। আমি ডিসি সম্মেলনে এই প্রস্তাব দিয়েছি। বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে এই প্রস্তাব দেয়ার পর তারা সেটা গ্রহণও করেছেন। তিন একর জায়গা লাগবে ইনস্টিটিউট করতে। বাকি জায়গা অন্যভাবে ব্যবহারের কথা ভাবছে মন্ত্রণালয়, যাতে ভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়।

back to top