alt

সারাদেশ

নদী ভাঙনসহ নানা কারণে দশমিনায় কমছে ফসলি জমি

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী) : সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় প্রতিবছর তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীব্র ভাঙন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নিত্যনতুন নতুন বসতবাড়ি নির্মাণ করায় প্রতিনিয়ত ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। নদীর ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও বসতবাড়ি নির্মাণে বিধি বিধান না থাকায় প্রতিবছর শত শত একর জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার চরবোররহান, চরশাহজালাল ও চরহাদিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অস্বাভাবিক এবং অব্যাহত নদী ভাঙন ও বসতবাড়ি নির্মাণের ফলে ফসলি জমি দিন দিন কমে যাওয়ারই প্রধান কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে অদূর ভবিষ্যতে উপকূলীয় উপজেলা দশমিনাবাসী খাদ্য ও বাসস্থানের চরম সংকটে পড়বে।

উপজেলার প্রধান তিনটি চরে প্রায় ২১ হাজার ৫শত বসতি রয়েছে। এই সব চরে শিক্ষা ও অসচেতনতার কারণেই জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। চরহাদির বারেক গাজীর স্ত্রী শাহিনুরের ৬ সন্তান, হেলেনার ৫ সন্তান ও চর শাহজালালের হাসিনার ৪ সন্তান। প্রতিটি পরিবারে গড় লোকসংখ্যা ৬-৭ জন।

জনসংখ্যা ও পরিবারের বৃদ্ধি কারণে প্রতিদিন ফসলি জমি কেটে তৈরি হচ্ছে নতুন বসতবাড়ি। উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের জরিপে দশমিনা উপজেলায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৩শ’ ৮৮ জন মানুষ গণনা করা হয়।

বসত বাড়িঘরের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪শ’ ৯০টি। দশমিনা উপজেলার স্বাস্থ্য ইপিআর জরিপ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের জরিপে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট লোকসংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার ১শ’ ২২জন। বসতবাড়ির সংখ্যা ৪৯ হাজার। ফলে ৯ বছরে উপজেলায় মোট লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৯ হাজার ৭শত ৩৪ জন। নতুন বসতবাড়ির সংখ্যা বেড়েছে ২১ হাজার ৫শ’ ১০টিতে।

উপজেলার বুঁড়াগৌরাঙ্গ ও তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকবছরে নদীর অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার বীজ বর্ধন খামার, বাঁশবাড়িয়ার ঢনঢনিয়া, হাজিরহাট, চরহাদি ও চরবোরহানসহ মোট ১ হাজার ৭শ’ ৯৪ একর জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ৬শ’ ৯৪ একর জমি। নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে ঢনঢনিয়া ও হাজির হাট এলাকার ৫শ’ একর ফসলি জমি, চরহাদির ৪শ’ একর এবং চরবোরহানে ২শ’ একর জমি।

এদিকে, উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের জরিপে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৮শ’ ১০ হেক্টর। এক ফসলি জমি ১ হাজার ৬ হেক্টর, দু’ ফসলি ১৪ হাজার ৩শ’ ৪১হেক্টর, তিন ফসলি ৩ হাজার ৪শ’ হেক্টর।

দশমিনায় মোট খাদ্য উৎপাদন হয় ৫৮ হাজার ৩শ’ ৩৪ মেট্রিক টন। ওই সালের লোকসংখ্যা অনুসারে দশমিনায় খাদ্যের চাহিদা ৭৬ হাজার ৫শ’ ৬১ মেট্রিক টন। খাদ্যের ঘাটতি থাকে ১৮ হাজার ২শ’ ২৭ মেট্রিক টন। অথচ ২০১৮ সালে লোকসংখ্যা অনুপাতে ৩৪ হাজার ২শত ৭৯ মেট্রিক টন খাদ্য অতিরিক্ত থাকত। লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।

নতুন বাড়িঘর নির্মাণের বিষয় বিধি বিধান থাকলেও তা কেউ মানছে না। প্রতিবছর ভূমি জরিপ করা হলে প্রকৃত জমির সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।

ছবি

১২ বছর ধরে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয় মেলেনি

ছবি

গজারিয়ায় ডাকাতি প্রস্ততিকালে অস্ত্রসহ ৬ জন গ্রেপ্তার।

ছবি

বিপৎসীমার কাছাকাছি তিস্তার পানি, জনজীবন বিপর্যস্ত

ছবি

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযানে অস্ত্রসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক

ছবি

টেকনাফে বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ যুবক আটক

ছবি

দিনাজপুরে মাছ ধরার জাল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা

ছবি

গাজীপুরে দুটি কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ

ছবি

সেনা কর্মকর্তা হত‍্যা : মূল হোতা নাছির উদ্দিন ও সহযোগী ডাকাত এনাম গ্রেফতার

ছবি

জমির চেয়ে ক্যানেল উঁচু : জলাবদ্ধ ১৫০০ বিঘা জমি, বন্ধ চাষাবাদ

সখীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধুর মৃত্যু

ছবি

পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কক্সবাজারে ‘অনলাইন বাস টার্মিনাল চালু

ছবি

সাবেক এমপি বদির সহযোগী আটক

কক্সবাজারে বিশ্ব পর্যটন দিবসে সাড়া ফেলেছে রক্তদান কর্মসূচি

ছবি

পেয়ারা থেকে জুস আচারসহ নানা পণ্য বানিয়ে নতুন আয়ের স্বপ্ন

ছবি

ব্যবসীয় রাশেদ হত্যাকান্ড : এক মাসেও অধরা খুনিরা

ছবি

কক্সবাজারে পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস

ছবি

মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৭ কোটি টাকার ক্যাবল আত্মসাতের ঘটনায় সাবেক এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

রাউজানে ছাত্রদলের দুই নেতা অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ

ছবি

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল মধুপুরের ঐতিহ্যবাহী আনারস

ছবি

রাঙ্গুনিয়ায় সেনাসদস্য অবরুদ্ধ, যুবদলের ১০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

২ মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন

ছবি

কক্সবাজারে ডিসির গাড়িতে পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেল শিশুর, মা চমেকে চিকিৎসাধীন

ছবি

প্রথম চালানে ভারতে গেল ১২ মেট্রিকটন ইলিশ

ছবি

১৭ কোটি টাকার ক্যাবল আত্মসাতের ঘটনায় সাবেক এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি

টেকনাফে মাদক কারবারি গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় গোলাগুলি

ছবি

ভারী বৃষ্টিতে দেশের ৬ বিভাগে নদনদীর পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা

ছবি

উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা

ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগে মামলা দায়ের

ছবি

কেএনএফ আস্তানায় প্রশিক্ষণ নেওয়া ২৮ জঙ্গির জামিন বাতিল

ছবি

চকরিয়ায় লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যায় জড়িত ৬ জন আটক

ছবি

দুদকের তদন্তের আওতায় বিএফআইইউ এর সাবেক প্রধান ও চবির সাবেক উপাচার্য

ছবি

কক্সবাজারে অবৈধ পলিথিন কারখানা সন্ধান, জরিমানা আদায়

ছবি

আশুলিয়ায় কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন কারখানা শ্রমিকরা

ছবি

গান গেয়ে পিটিয়ে হত্যা: পথচারীদের বলতেন, ‘ সবাই একটা সেলফি তুলে চলে যান’

ছবি

গাজীপুরের খুলেছে বেশিরভাগ কারখানা

ছবি

ফরিদপুরের বিভিন্ন বাজারে ছোট ইলিশ, বড় ইলিশের আকাল

tab

সারাদেশ

নদী ভাঙনসহ নানা কারণে দশমিনায় কমছে ফসলি জমি

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় প্রতিবছর তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তীব্র ভাঙন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং নিত্যনতুন নতুন বসতবাড়ি নির্মাণ করায় প্রতিনিয়ত ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। নদীর ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও বসতবাড়ি নির্মাণে বিধি বিধান না থাকায় প্রতিবছর শত শত একর জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

উপজেলার চরবোররহান, চরশাহজালাল ও চরহাদিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অস্বাভাবিক এবং অব্যাহত নদী ভাঙন ও বসতবাড়ি নির্মাণের ফলে ফসলি জমি দিন দিন কমে যাওয়ারই প্রধান কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে অদূর ভবিষ্যতে উপকূলীয় উপজেলা দশমিনাবাসী খাদ্য ও বাসস্থানের চরম সংকটে পড়বে।

উপজেলার প্রধান তিনটি চরে প্রায় ২১ হাজার ৫শত বসতি রয়েছে। এই সব চরে শিক্ষা ও অসচেতনতার কারণেই জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। চরহাদির বারেক গাজীর স্ত্রী শাহিনুরের ৬ সন্তান, হেলেনার ৫ সন্তান ও চর শাহজালালের হাসিনার ৪ সন্তান। প্রতিটি পরিবারে গড় লোকসংখ্যা ৬-৭ জন।

জনসংখ্যা ও পরিবারের বৃদ্ধি কারণে প্রতিদিন ফসলি জমি কেটে তৈরি হচ্ছে নতুন বসতবাড়ি। উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের জরিপে দশমিনা উপজেলায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৩শ’ ৮৮ জন মানুষ গণনা করা হয়।

বসত বাড়িঘরের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪শ’ ৯০টি। দশমিনা উপজেলার স্বাস্থ্য ইপিআর জরিপ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের জরিপে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট লোকসংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার ১শ’ ২২জন। বসতবাড়ির সংখ্যা ৪৯ হাজার। ফলে ৯ বছরে উপজেলায় মোট লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৯ হাজার ৭শত ৩৪ জন। নতুন বসতবাড়ির সংখ্যা বেড়েছে ২১ হাজার ৫শ’ ১০টিতে।

উপজেলার বুঁড়াগৌরাঙ্গ ও তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকবছরে নদীর অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার বীজ বর্ধন খামার, বাঁশবাড়িয়ার ঢনঢনিয়া, হাজিরহাট, চরহাদি ও চরবোরহানসহ মোট ১ হাজার ৭শ’ ৯৪ একর জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ৬শ’ ৯৪ একর জমি। নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে ঢনঢনিয়া ও হাজির হাট এলাকার ৫শ’ একর ফসলি জমি, চরহাদির ৪শ’ একর এবং চরবোরহানে ২শ’ একর জমি।

এদিকে, উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের জরিপে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৮শ’ ১০ হেক্টর। এক ফসলি জমি ১ হাজার ৬ হেক্টর, দু’ ফসলি ১৪ হাজার ৩শ’ ৪১হেক্টর, তিন ফসলি ৩ হাজার ৪শ’ হেক্টর।

দশমিনায় মোট খাদ্য উৎপাদন হয় ৫৮ হাজার ৩শ’ ৩৪ মেট্রিক টন। ওই সালের লোকসংখ্যা অনুসারে দশমিনায় খাদ্যের চাহিদা ৭৬ হাজার ৫শ’ ৬১ মেট্রিক টন। খাদ্যের ঘাটতি থাকে ১৮ হাজার ২শ’ ২৭ মেট্রিক টন। অথচ ২০১৮ সালে লোকসংখ্যা অনুপাতে ৩৪ হাজার ২শত ৭৯ মেট্রিক টন খাদ্য অতিরিক্ত থাকত। লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।

নতুন বাড়িঘর নির্মাণের বিষয় বিধি বিধান থাকলেও তা কেউ মানছে না। প্রতিবছর ভূমি জরিপ করা হলে প্রকৃত জমির সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।

back to top