কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার নগরীর পুলিশলাইন্স এলাকায় শিক্ষার্থীদের মিছিলের পেছন থেকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়। এসময় মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শোনা গেছে। এছাড়া নগরীর রাণীর দিঘির দক্ষিণ পাড় ও বাগিচাগাঁও এলাকায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করেন।
এদিন বেলা ১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনায় উপজেলা সহকারী কমিশনারের (এসি ল্যান্ড) গাড়িতে আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা জিলা স্কুল এলাকায় গণমিছিলের উদ্দেশে অবস্থান নেন দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের গান, কবিতা আবৃত্তি ও স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের বাধা দিতে দুই পাশে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। ওই শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে আসে ছাত্রদের আরেকটি মিছিল। সেটি সার্কিট হাউস মোড়ে অবস্থান নেয়। প্রশাসন ও পুলিশের আশ্বাসে তারা একত্র হয়ে মিছিল শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সামনে যায়। ডিসি অফিস, কুমিল্লা কারাগার, সিটি করপোরেশন ভবনের সামনে দিয়ে তারা পুলিশ লাইনসে আসে। এ সময় কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর মিছিলের পাশে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান দেখে শিক্ষার্থীরা চলে যান। মিছিল শেষ হতেই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি শুরু করেন ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়।
কয়েকজন শিক্ষার্থী রাস্তায় পড়ে গেলে তাদের বেদম পিটুনি দিতে দেখা যায়। এ ছাড়াও আন্দোলনকারী নারী শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে চড়-থাপ্পড় ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে হামলাকারীরা।
এরপর টাউনহল মোড় থেকে টমসম ব্রিজ রোডের সিএনজি স্টেশন, ভিক্টোরিয়া কলেজ গেইট, রাজগঞ্জ মোড়, জিলা স্কুল গেইটসহ বিভিন্ন গলিতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে শটগান, রামদা, লাঠি নিয়ে মহড়া দেন। তারা শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক দেখলেই মারধর ও হুমকি দিতে থাকেন।
এই বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘হাসপাতালে পাঁচজনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা তাঁদের চিকিৎসা দিচ্ছি। তাঁরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৌম্য সরকার জানান, ‘ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনায় আমরা শিক্ষার্থীদের শান্ত করে ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম। এ সময় ইউএনও এবং আমি গাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ করে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা আমার গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। এ সময় আমরা গাড়ি থেকে বের হয়ে যাই।’
সারাদেশ: ওকেশবপুরে তারুণ্যের উৎসব
অর্থ-বাণিজ্য: ১৭ দিনেই প্রবাসী আয় ছাড়ালো ২ বিলিয়ন ডলার
সারাদেশ: ঝালকাঠিতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ১