alt

হাজার হাজার ঝাউগাছ বিলীন বাঁশখালীর সাগরপাড়ে

প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) : রোববার, ০৪ আগস্ট ২০২৪

বাঁশখালীর সাগর পাড়ে ভেঙে পড়া ঝাউগাছ। ছবিটি কদমরসুল সৈকত থেকে তোলা -সংবাদ

ঝড় ও ভাঙনের কবলে পড়ে সমূদ্রতীরবর্তী বাঁশখালীর বিভিন্ন স্থানের হাজার হাজার ঝাউগাছ বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবুজ বেস্টনী। ফলে একদিকে উপকূলীয় এসব এলাকার মানুষ যেমন ঝুঁকিতে পড়েছে, তেমনি সৌন্দর্য হারাচ্ছে সৈকত।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকা কাথারিয়া, বাহারছড়া, কদমরসুল, প্রেমাশিয়া ও খানখানাবাদে সাগরের করাল গ্রাস ও ঝড়ের কবলে পড়ে অধিকাংশ ঝাউগাছ বিলীন হয়ে গেছে। এর ফলে সাগরের বড় বড় ঢেউ সরাসরি আঘাত হানার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, আনোয়ার ও শহীদুল আলম জানান, গত দুই বছরে এসব এলাকায় অন্তত ৩/৪ হাজার ঝাউগাছ বিলীন হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে নিধন এবং দখলের কবলেও পড়েছে ঝাউবাগান।

তার ওপর কদমরসুল ও খানখানাবাদ সৈকতের মাটি বাগান উপযোগী না হওয়ায় সেখানে নতুন করে ঝাউবন সৃষ্টি করা সম্ভব হচ্ছে না। শুধু সরল, কাথারিয়া ও গন্ডামারা সৈকতের প্যারাবন ও বাইন বাগান সেখানকার উপকূলীয় বেড়িবাঁধকে ধরে রেখেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে যে সব এলাকায় প্যারাবন, বাইন বাগান ও ঝাউবন রয়েছে সেখানকার বেড়িবাঁধ অনেকটা ভালো আছে। যেসব এলাকায় বাগান নেই সেসব এলাকার বেড়িবাঁধ অনেক আগেই বিলীন হয়ে গেছে।

পরিবেশবাদীদের মতে, ঝাউবাগানের ভেতরে এক ধরনের বেসিনের মতো গর্ত তৈরি হয়,

যেখানে পানি জমে থাকে। জমে থাকা এসব পানি ভাঙনকে ত্বরান্বিত করে। তাই ভাঙন রোধে ঝাউবনের পাশাপাশি নারকেলসহ অধিক শেকড়যুক্ত গাছ যেগুলো উপকূলীয় এলাকায় হয়, এ ধরনের গাছ লাগাতে হবে।

কদমরসুল এলাকার বাসিন্দা ও ঝুঁপড়ি দোকানদার হুমায়ূন কবির বলেন, বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতে একসময় দৃষ্টি নন্দন ঝাউবন ছিল। কতিপয় দুষ্কৃতকারী ঝাউগাছ কেটে সাবাড় করেছে। কোনো কোনো অংশে নদী ভাঙনের ফলে ঝাউবন উজাড় হয়ে গেছে। এছাড়াও প্রতিবছর বর্ষায় ভাঙন আরও বেড়ে যায়।

তিনি জানান, ঝাউগাছ নিধনে অনেক ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে শ্রীহীন হয়ে পড়েছে সমুদ্র সৈকত এলাকা। খানখানাবাদ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম মেম্বার ও কদমরসুল এলাকার মেম্বার জয়নাল আবেদীন বলেন, উপকূলীয় এলাকার শোভাবর্ধনকারী ঐহিত্যবাহী ঝাউবাগানের যথাযথ পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় সাগর পাড়ের দৃষ্টি নন্দন ঝাউবন হারিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের শিকারে পরিণত হয়ে প্রতিদিন গাছ নিধন করা হচ্ছে বলেও জানান তারা।

এদিকে বাঁশখালী উপকূলীয় ফরেস্ট রেঞ্জার মাহমুদুল হাসান রাসেল বলেন, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে সরল, গন্ডামারা ও রতনপুর এলাকায় ৬০ একর জায়গায় বনায়ন করা হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাহারছড়া ও রায়ছটা বেড়িবাঁধে আরও ১০ হাজার চারা রোপণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া বৈরী থাকায় কদমরসুলসহ সাগর সৈকতে ঝড়ের আঘাতে ও প্রচ- ঢেউ-এ ভেঙে পড়া ঝাউগাছগুলো সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। আবহাওয়া ভালো হলে গাছগুলো সংগ্রহ করা হবে।

ছবি

পিরোজপুরে জুলাই-অগাস্ট ছাত্র আন্দোলনের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগ

মহেশপুরে গাছ ফেলে পথ আটকিয়ে ডাকাতি

ছবি

টেকনাফে পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার

দৌলতপুরে সবজির বীজ বিতরণ

ছবি

মুন্সীগঞ্জে মেট্রোরেল সংযোগের দাবিতে মানববন্ধন

চাটখিলে স্কুল ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

ছবি

বছরের পর বছর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ!

ছবি

চৌমুহনীতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, অর্থদণ্ড

ছবি

গজারিয়ায় পরিবেশ বিধ্বংসী পলিথিনে সয়লাব

ছবি

চট্টগ্রামে আলোচিত ‘সন্ত্রাসী’ রায়হানের নতুন হুমকি: ব্যবসায়ীকে বিদেশি নম্বর থেকে ‘ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার’ ভয় দেখানো

ছবি

উল্লাপাড়ায় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল

ছবি

দুই বছর ধরে চলাচল বন্ধ, বিপাকে ১০ হাজার শ্রমিক ও বাসিন্দা

মহেশপুর সীমান্তে পৃথক অভিযানে ভারতীয় মাদকদ্রব্যসহ নারী আটক

ছবি

দশমিনায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

কিশোরগঞ্জে আ.লীগের সাত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ছবি

নাসিরনগরে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

মা-বাবার পাশে কবরে দাফন হলো ইতালি প্রবাসী ডা. ঈসমাইলের

ছবি

বোয়ালখালীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

দেবীদ্বারে ট্রাক চাপায় শিশুর মৃত্যু

ছবি

জামালপুরে কারাগার নির্মাণে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের অভিযোগ

ছবি

পীরগাছায় বিদ্যালয়ে রাতে-দিনে উড়ে জাতীয় পতাকা, কর্তৃপক্ষ নিরব

ছবি

হবিগঞ্জে আখ চাষ চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান

ছবি

দশমিনায় পলিনেট পদ্ধতিতে বেগুন চাষে সবুজের সাফল্য

ছবি

ঝিনাইদহে হাঁটা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ছবি

টিকে আছে সৈয়দপুরের ঝুট শিল্প, স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় চাপে রপ্তানি

ছবি

দশমিনা থেকে হারিয়ে গেছে তাল-পিঠার উৎসব

ছবি

বাপ দাদার ঘোলের ঐতিহ্য আঁকড়ে ৩২ বছর ধরে সংগ্রামী গোপাল

ছবি

রায়গঞ্জে প্রতিবন্ধী কৃষকের জমির ধান লুটের অভিযোগ

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিনিবাসে আগুন

ছবি

ডিমলায় বুড়ি তিস্তার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি

ছবি

মোহনগঞ্জে আমন ধান কাটা শুরু

ছবি

শাহজাদপুরে ঋণের দায়ে ব্যবসায়ীরআত্মহত্যা

ছবি

দেবহাটায় নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকান

ছবি

উখিয়ায় ৩৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ১

ছবি

খেজুর রসের ঘ্রাণে শীতের বার্তা

ছবি

আত্রাইয়ে সুতি জালে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রবিশস্যের আবাদ

tab

হাজার হাজার ঝাউগাছ বিলীন বাঁশখালীর সাগরপাড়ে

প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)

বাঁশখালীর সাগর পাড়ে ভেঙে পড়া ঝাউগাছ। ছবিটি কদমরসুল সৈকত থেকে তোলা -সংবাদ

রোববার, ০৪ আগস্ট ২০২৪

ঝড় ও ভাঙনের কবলে পড়ে সমূদ্রতীরবর্তী বাঁশখালীর বিভিন্ন স্থানের হাজার হাজার ঝাউগাছ বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবুজ বেস্টনী। ফলে একদিকে উপকূলীয় এসব এলাকার মানুষ যেমন ঝুঁকিতে পড়েছে, তেমনি সৌন্দর্য হারাচ্ছে সৈকত।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকা কাথারিয়া, বাহারছড়া, কদমরসুল, প্রেমাশিয়া ও খানখানাবাদে সাগরের করাল গ্রাস ও ঝড়ের কবলে পড়ে অধিকাংশ ঝাউগাছ বিলীন হয়ে গেছে। এর ফলে সাগরের বড় বড় ঢেউ সরাসরি আঘাত হানার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, আনোয়ার ও শহীদুল আলম জানান, গত দুই বছরে এসব এলাকায় অন্তত ৩/৪ হাজার ঝাউগাছ বিলীন হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে নিধন এবং দখলের কবলেও পড়েছে ঝাউবাগান।

তার ওপর কদমরসুল ও খানখানাবাদ সৈকতের মাটি বাগান উপযোগী না হওয়ায় সেখানে নতুন করে ঝাউবন সৃষ্টি করা সম্ভব হচ্ছে না। শুধু সরল, কাথারিয়া ও গন্ডামারা সৈকতের প্যারাবন ও বাইন বাগান সেখানকার উপকূলীয় বেড়িবাঁধকে ধরে রেখেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে যে সব এলাকায় প্যারাবন, বাইন বাগান ও ঝাউবন রয়েছে সেখানকার বেড়িবাঁধ অনেকটা ভালো আছে। যেসব এলাকায় বাগান নেই সেসব এলাকার বেড়িবাঁধ অনেক আগেই বিলীন হয়ে গেছে।

পরিবেশবাদীদের মতে, ঝাউবাগানের ভেতরে এক ধরনের বেসিনের মতো গর্ত তৈরি হয়,

যেখানে পানি জমে থাকে। জমে থাকা এসব পানি ভাঙনকে ত্বরান্বিত করে। তাই ভাঙন রোধে ঝাউবনের পাশাপাশি নারকেলসহ অধিক শেকড়যুক্ত গাছ যেগুলো উপকূলীয় এলাকায় হয়, এ ধরনের গাছ লাগাতে হবে।

কদমরসুল এলাকার বাসিন্দা ও ঝুঁপড়ি দোকানদার হুমায়ূন কবির বলেন, বাঁশখালী সমুদ্র সৈকতে একসময় দৃষ্টি নন্দন ঝাউবন ছিল। কতিপয় দুষ্কৃতকারী ঝাউগাছ কেটে সাবাড় করেছে। কোনো কোনো অংশে নদী ভাঙনের ফলে ঝাউবন উজাড় হয়ে গেছে। এছাড়াও প্রতিবছর বর্ষায় ভাঙন আরও বেড়ে যায়।

তিনি জানান, ঝাউগাছ নিধনে অনেক ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে শ্রীহীন হয়ে পড়েছে সমুদ্র সৈকত এলাকা। খানখানাবাদ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম মেম্বার ও কদমরসুল এলাকার মেম্বার জয়নাল আবেদীন বলেন, উপকূলীয় এলাকার শোভাবর্ধনকারী ঐহিত্যবাহী ঝাউবাগানের যথাযথ পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় সাগর পাড়ের দৃষ্টি নন্দন ঝাউবন হারিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের শিকারে পরিণত হয়ে প্রতিদিন গাছ নিধন করা হচ্ছে বলেও জানান তারা।

এদিকে বাঁশখালী উপকূলীয় ফরেস্ট রেঞ্জার মাহমুদুল হাসান রাসেল বলেন, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে সরল, গন্ডামারা ও রতনপুর এলাকায় ৬০ একর জায়গায় বনায়ন করা হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাহারছড়া ও রায়ছটা বেড়িবাঁধে আরও ১০ হাজার চারা রোপণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া বৈরী থাকায় কদমরসুলসহ সাগর সৈকতে ঝড়ের আঘাতে ও প্রচ- ঢেউ-এ ভেঙে পড়া ঝাউগাছগুলো সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। আবহাওয়া ভালো হলে গাছগুলো সংগ্রহ করা হবে।

back to top