সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই ভাগিনা হত্যার দায়ে চাচাতো মামাসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মো. মনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত ১৬ জনের সাক্ষী ও অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দিয়েছেন। আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইউপি সদস্য শিরিন সুলতানার স্বামী রফিকুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে তার চাচাতো বোনের ছেলে মিল্টন হোসেনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বিকেলে কাউছারকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে নেন বকুল ও তার স্বজনরা। সেখানে তাদের মধ্যে সেই জমি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মামা বকুল, মামীসহ স্বজনরা লাঠিসোঁটা নিয়ে কাউছারকে বেধড়ক মারধর করেন। খবর পেয়ে কাউছারের বড় ভাই মিল্টনসহ স্বজনরা সেখানে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় কাউছার ও মিল্টন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার ঢাকা নেওয়ার পথে কাউছারের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিল্টনকে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন দুপুর ১টার দিকে তারও মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর নিহতদের মা মোছা. হায়াতুন নেছা বাদী হয়ে চৌহালী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য ১৬ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ (সোমবার) দুপুরে এ রায় দেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই ভাগিনা হত্যার দায়ে চাচাতো মামাসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মো. মনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত ১৬ জনের সাক্ষী ও অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দিয়েছেন। আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইউপি সদস্য শিরিন সুলতানার স্বামী রফিকুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে তার চাচাতো বোনের ছেলে মিল্টন হোসেনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বিকেলে কাউছারকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে নেন বকুল ও তার স্বজনরা। সেখানে তাদের মধ্যে সেই জমি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মামা বকুল, মামীসহ স্বজনরা লাঠিসোঁটা নিয়ে কাউছারকে বেধড়ক মারধর করেন। খবর পেয়ে কাউছারের বড় ভাই মিল্টনসহ স্বজনরা সেখানে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় কাউছার ও মিল্টন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার ঢাকা নেওয়ার পথে কাউছারের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিল্টনকে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন দুপুর ১টার দিকে তারও মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর নিহতদের মা মোছা. হায়াতুন নেছা বাদী হয়ে চৌহালী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য ১৬ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ (সোমবার) দুপুরে এ রায় দেন।