বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত মো. সাব্বির (১৭) ৪০ দিন পর আজ সকালে মারা গেছেন।
কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি গ্রামের মরহুম মোহাম্মদ আলমগীর মিয়ার পুত্র সাব্বির গত ৫ আগস্ট দেবিদ্বারে পুলিশের গুলিতে আহত হন।
এক মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে গতকাল বাড়ি ফিরলেও আজ সকাল সাড়ে ৯টায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন।
সাব্বিরের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিদায়ের পর সারাদেশের মতোই দেবিদ্বার উপজেলায়ও ছাত্রজনতা আনন্দ মিছিল বের করে। এক পর্যায়ে কিছু দুষ্কৃতকারী থানায় আক্রমণ করে। তারা পুলিশের পিকআপভ্যান পুড়িয়ে দেয়। পরে থানা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় পুলিশের গুলিতে প্রায় ৬০ জন ছাত্র-জনতা আহত হয়। সে সময় সাব্বিরের মাথায় গুলি লাগে। তৎক্ষণাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সাব্বিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে প্রায় একমাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে গতকাল শুক্রবার সাব্বির বাড়িতে ফেরেন। বাড়িতে ফেরার পরদিন অর্থ্যাৎ আজ শনিবার সকালে সাব্বির মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সাব্বিরের মা রিনা বেগম বলেন, প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গতকাল শুক্রবার ছেলেকে নিয়ে বাড়ি এসেছি। কিন্তু সকালে হঠাৎ প্রচন্ড শরীর ব্যাথার কথা বলে সাব্বির। হাসপাতালে নেয়ার আগেই সাব্বির মারা যায়।
তিনি জানান, দুই বছর আগে সাব্বিরের বাবা মারা যায়। সংসারের হাল ধরতে লেখাপড়া ছেড়ে সিএনজি চালাতে শুরু করে।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, সাব্বিরের পরিবারের সাথে কথা বলে লাশ দাফন করার ব্যবস্থা করা হবে। প্রশাসন সাব্বিরের পরিবারের পাশে আছেন বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত মো. সাব্বির (১৭) ৪০ দিন পর আজ সকালে মারা গেছেন।
কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি গ্রামের মরহুম মোহাম্মদ আলমগীর মিয়ার পুত্র সাব্বির গত ৫ আগস্ট দেবিদ্বারে পুলিশের গুলিতে আহত হন।
এক মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে গতকাল বাড়ি ফিরলেও আজ সকাল সাড়ে ৯টায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন।
সাব্বিরের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিদায়ের পর সারাদেশের মতোই দেবিদ্বার উপজেলায়ও ছাত্রজনতা আনন্দ মিছিল বের করে। এক পর্যায়ে কিছু দুষ্কৃতকারী থানায় আক্রমণ করে। তারা পুলিশের পিকআপভ্যান পুড়িয়ে দেয়। পরে থানা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় পুলিশের গুলিতে প্রায় ৬০ জন ছাত্র-জনতা আহত হয়। সে সময় সাব্বিরের মাথায় গুলি লাগে। তৎক্ষণাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সাব্বিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে প্রায় একমাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে গতকাল শুক্রবার সাব্বির বাড়িতে ফেরেন। বাড়িতে ফেরার পরদিন অর্থ্যাৎ আজ শনিবার সকালে সাব্বির মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সাব্বিরের মা রিনা বেগম বলেন, প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গতকাল শুক্রবার ছেলেকে নিয়ে বাড়ি এসেছি। কিন্তু সকালে হঠাৎ প্রচন্ড শরীর ব্যাথার কথা বলে সাব্বির। হাসপাতালে নেয়ার আগেই সাব্বির মারা যায়।
তিনি জানান, দুই বছর আগে সাব্বিরের বাবা মারা যায়। সংসারের হাল ধরতে লেখাপড়া ছেড়ে সিএনজি চালাতে শুরু করে।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, সাব্বিরের পরিবারের সাথে কথা বলে লাশ দাফন করার ব্যবস্থা করা হবে। প্রশাসন সাব্বিরের পরিবারের পাশে আছেন বলেও তিনি আশ্বাস দেন।