আশি বছর বয়সের বৃন্ধ চাচা জহুরুল ইসলাম, তার প্রতিবন্ধী মেয়ে মমতাজ খাতুন (৪০) মমতাজের ঘরে জন্ম নিয়েছেন ফুটফুটে একটি প্রতিবন্ধী ছেলে সন্তান বয়স (০৫ বছর ) তারা বসবাস করে একটি ভাঙা কুঁড়েঘরে। টাকার অভাবে ভাগ্যে জোটেনি এই তিনজনের বয়স্ক ও বিধবা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা এর সুবিধা। এমন ঘটনাটি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলাধীন বন্ধবেড় ইউনিয়নের বাঞ্চার চর-তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এই অসহায় পরিবারটি।
এ খবরে উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তারাসহ সদস্যবৃন্দরা একত্রিত হয়ে সরাসরি সরেজমিনের ঘটনাস্থলে পৌঁছে অসহায় পরিবারের বিষয় বিস্তারিত জানা যায়। অসহায় পরিবারের অর্ধেক পাগল জহুরুল ইসলামের স্ত্রী অর্ধ পাগলী ফুলভানু, মেয়ে মমতাজ খাতুন অর্ধ পাগলী, মমতাজের জীবনে আসে একটি ছেলে সন্তান ফুল পাগল শিকলে বাঁধা জীবনসহ একই পরিবারের চারজনই প্রতিবন্ধী। সরকারের বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী ভাতা আছে কিনা জানতে চাইলে জহুরুল ইসলাম অর্ধেক পাগল বলেন বাবা আমাগোর টেহা নাই পয়সা নাই নাম কইরা দিবো কেডা।
তিনি আরও বলেন যেহানে যাই টেহা ছাড়া কথা কয়না এহেন আর কনে যামু যাইবার যায়গা নাইক্কা। সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই অর্ধ পাগল পরিবারটিকে দেখার যেন কেউ নেই। এই পরিবারের উপার্জনের চাবি একমাত্র ভরসা অর্ধ পাগলী মমতাজ খাতুন, পাচ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলেকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে সকালবেলায় রোজগারের সন্ধানে বেড়িয়ে মানুষের দ্বারস্থ হয়। সারাদিন ঘুরে ভিক্ষা করে আবার গন্তব্য স্থানে চলে আসেন। আসার পর রেখে যাওয়া গাছের সঙ্গে বেধে রাখা গর্ভে সন্তান অপরদিকে অসহায় বাবা মাকেও ভিক্ষার উপার্জন দিয়ে চলছে তাদের সংসার। ওদিকে পাগল অবস্থায় মমতাজকে বিয়ে দিয়েছিলেন কিছু দিন সংসারের পর পাগলীর সংসার করার মতো ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। স্বামীর সংসার করার ভাগ্যেও জোটেনি তার ।
এ সময় আল্লাহর রহমতে পাগলীর গর্ভে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান হয়। ঘটনাটি দুঃখজনক হলেও সত্যি গর্ভে আশা সন্তানটি সেও প্রতিবন্ধী শিকলে বেঁধে রাখতে হয়। এমতাবস্থায় ইউপি সদস্য কিংবা ইউপি চেয়ারম্যান, এবং গ্রামের কোনো বিত্ত্বশালীরাও তাদের দিকে তাকিয়েও দেখেননি, যার ফলে তাদের প্রতিবন্ধী বলি আর বিধবা, বয়স্ক যেটি বলিনা কেন তারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আরেকটি বিষয় উঠে এসেছে টাকা দিতে না পাড়ায় তারা ভাতার আওতায় আসেননি। তবে এই অসহায় পরিবারটিকে সহযোগিতা করতে, সর্বশেষ সমাজসেবা কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি অবশ্যই অসহায় পরিবারকে ভাতার আওতায় এনে সুবিধা দিবেন।
এ বিষয় বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবদুল কাদের সরকার বলেন সরকারের নির্দেশ অনুযায় প্রতিটি প্রতিবন্ধী, বয়স্করা সুবিধার আওতায় আসবে কিন্ত তারা কেন পাচ্ছেনা সমাজসেবার সঙ্গে কথা বলেন।
এ বিষয় রৌমারী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আশি বছর বয়সের বৃন্ধ চাচা জহুরুল ইসলাম, তার প্রতিবন্ধী মেয়ে মমতাজ খাতুন (৪০) মমতাজের ঘরে জন্ম নিয়েছেন ফুটফুটে একটি প্রতিবন্ধী ছেলে সন্তান বয়স (০৫ বছর ) তারা বসবাস করে একটি ভাঙা কুঁড়েঘরে। টাকার অভাবে ভাগ্যে জোটেনি এই তিনজনের বয়স্ক ও বিধবা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা এর সুবিধা। এমন ঘটনাটি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলাধীন বন্ধবেড় ইউনিয়নের বাঞ্চার চর-তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এই অসহায় পরিবারটি।
এ খবরে উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তারাসহ সদস্যবৃন্দরা একত্রিত হয়ে সরাসরি সরেজমিনের ঘটনাস্থলে পৌঁছে অসহায় পরিবারের বিষয় বিস্তারিত জানা যায়। অসহায় পরিবারের অর্ধেক পাগল জহুরুল ইসলামের স্ত্রী অর্ধ পাগলী ফুলভানু, মেয়ে মমতাজ খাতুন অর্ধ পাগলী, মমতাজের জীবনে আসে একটি ছেলে সন্তান ফুল পাগল শিকলে বাঁধা জীবনসহ একই পরিবারের চারজনই প্রতিবন্ধী। সরকারের বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী ভাতা আছে কিনা জানতে চাইলে জহুরুল ইসলাম অর্ধেক পাগল বলেন বাবা আমাগোর টেহা নাই পয়সা নাই নাম কইরা দিবো কেডা।
তিনি আরও বলেন যেহানে যাই টেহা ছাড়া কথা কয়না এহেন আর কনে যামু যাইবার যায়গা নাইক্কা। সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই অর্ধ পাগল পরিবারটিকে দেখার যেন কেউ নেই। এই পরিবারের উপার্জনের চাবি একমাত্র ভরসা অর্ধ পাগলী মমতাজ খাতুন, পাচ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলেকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে সকালবেলায় রোজগারের সন্ধানে বেড়িয়ে মানুষের দ্বারস্থ হয়। সারাদিন ঘুরে ভিক্ষা করে আবার গন্তব্য স্থানে চলে আসেন। আসার পর রেখে যাওয়া গাছের সঙ্গে বেধে রাখা গর্ভে সন্তান অপরদিকে অসহায় বাবা মাকেও ভিক্ষার উপার্জন দিয়ে চলছে তাদের সংসার। ওদিকে পাগল অবস্থায় মমতাজকে বিয়ে দিয়েছিলেন কিছু দিন সংসারের পর পাগলীর সংসার করার মতো ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। স্বামীর সংসার করার ভাগ্যেও জোটেনি তার ।
এ সময় আল্লাহর রহমতে পাগলীর গর্ভে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তান হয়। ঘটনাটি দুঃখজনক হলেও সত্যি গর্ভে আশা সন্তানটি সেও প্রতিবন্ধী শিকলে বেঁধে রাখতে হয়। এমতাবস্থায় ইউপি সদস্য কিংবা ইউপি চেয়ারম্যান, এবং গ্রামের কোনো বিত্ত্বশালীরাও তাদের দিকে তাকিয়েও দেখেননি, যার ফলে তাদের প্রতিবন্ধী বলি আর বিধবা, বয়স্ক যেটি বলিনা কেন তারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আরেকটি বিষয় উঠে এসেছে টাকা দিতে না পাড়ায় তারা ভাতার আওতায় আসেননি। তবে এই অসহায় পরিবারটিকে সহযোগিতা করতে, সর্বশেষ সমাজসেবা কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি অবশ্যই অসহায় পরিবারকে ভাতার আওতায় এনে সুবিধা দিবেন।
এ বিষয় বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবদুল কাদের সরকার বলেন সরকারের নির্দেশ অনুযায় প্রতিটি প্রতিবন্ধী, বয়স্করা সুবিধার আওতায় আসবে কিন্ত তারা কেন পাচ্ছেনা সমাজসেবার সঙ্গে কথা বলেন।
এ বিষয় রৌমারী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।