খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েল পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহাদ্যের মধ্যদিয়ে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন। সম্প্রীতির নিদর্শন স্বরূপ খাগড়াছড়ি সেনা জোনের সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে প্রতিশ্রুুতি দিয়ে সার্বিক বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান।
শনিবার(৫ই অক্টোবর) সকালে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি জোনের পক্ষ থেকে জোনের আওতাধীন ১৮টি পুজা মন্ডবের উদযাপন কমিটির নেতৃত্বে হাতে শুভেচ্ছা উপহার প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সম্প্রীতির খাগড়াছড়ি গড়তে আমাদের প্রয়াস এতে এই আয়োজন। সার্বজনীন দুর্গাৎসবকে সুন্দর ও সফল করতে সব সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আপনাদের পাশে ছিলো, আছে এবং থাকবে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখে সম্প্রীতি-সহবস্থান নিশ্চিতে সকলকে মিলেমিশে এক হয়ে কাজের মাধ্যমে সুন্দর খাগড়াছড়ি গড়তে আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, দুর্গাপূজায় খাগড়াছড়িতে কোন বিশৃঙ্খলা করতে দেয়া হবে না। নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রশাসন কাজ করছে। চিন্তার কোন কারণ নেই বলে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে মানুষ সেনাবাহিনীকে চাই। কিন্তু পাহাড়ে মুষ্টিমে কিছু লোক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলছে। কারণ পাহাড়ে সেনাবাহিনী থাকলে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বিঘœ ঘটে। এ সময় জোনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পূজা মন্ডপের শেষ প্রস্তুুতি দেখলেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। জেলা ৯টি উপজেলাতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে পূজা মন্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুুতি। শেষ পর্যায়ে প্রস্তুুতি দেখতে জেলা প্রশাসক মো: শহিদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল। শুক্রবার(৪ঠা অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা সদরের পূজা মন্ডপগুলো পরিদর্শন করেছেন। এ সময জেলা প্রশাসক পূজা কমিটির সাথে পূজার প্রস্তুুতি নিযে খোঁজ খবর নেন।
পূজা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হয় সেজন্য প্রশাসন থেকে সকল নিরাপত্তা ও সহযোগিতা প্রদান করবে বলে পূজা কমিটিকে জানান। জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের পূজা মন্ডপ জগন্নাথ বাড়ির পূজা মন্ডপ গুলো পরিদর্শন করেন। এ সময জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো: নাহিদ বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির জেলা পূজা কমিটির অশোক মজুমদার স্বপন ভট্টাচার্যসহ অনেকে উপস্থিত ছিল।
অপরদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া বলেছেন, এবার খাগড়াছড়িতে হিন্দু সম্প্রদায় তাদের প্রধান শারদীয় উৎসব দুর্গাপূজা মুখর পরিবেশে পালন করবে। সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিএনপির নেতাকর্মীরা নিরাপত্তা রক্ষায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকবে।
শনিবার(৫ই অক্টোবর) সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি শ্রীশ্রী লক্ষ্মী নারায়ন মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ প্রত্রিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি প্রবীন চন্দ্র চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার ও পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক মজুমদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও জেলার উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ওয়াদুদ ভূইয়া আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশনা দিয়েছেন আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকতে। আপনারা ভয় পাবেন না। প্রতিটি পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব বিএনপি’র নেতাকর্মী নিয়েছেন। কোন সন্ত্রাসী শারদীয় উৎসবে বিঘœ ঘটাতে চাই প্রতিহত করা হবে।
এবারে খাগড়াছড়ি জেলায় ৯টি উপজেলায় ৬১পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নিযে প্রশাসন যাতে পূজা নিবিগ্নে উদ্যাপন করা যায়। তা নিয়ে দফায় দফায় পূজা কমিটির সাথে বৈঠকও করেছেন।
শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েল পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহাদ্যের মধ্যদিয়ে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের অনুরোধ জানিয়েছেন। সম্প্রীতির নিদর্শন স্বরূপ খাগড়াছড়ি সেনা জোনের সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে প্রতিশ্রুুতি দিয়ে সার্বিক বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান।
শনিবার(৫ই অক্টোবর) সকালে সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি জোনের পক্ষ থেকে জোনের আওতাধীন ১৮টি পুজা মন্ডবের উদযাপন কমিটির নেতৃত্বে হাতে শুভেচ্ছা উপহার প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সম্প্রীতির খাগড়াছড়ি গড়তে আমাদের প্রয়াস এতে এই আয়োজন। সার্বজনীন দুর্গাৎসবকে সুন্দর ও সফল করতে সব সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আপনাদের পাশে ছিলো, আছে এবং থাকবে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখে সম্প্রীতি-সহবস্থান নিশ্চিতে সকলকে মিলেমিশে এক হয়ে কাজের মাধ্যমে সুন্দর খাগড়াছড়ি গড়তে আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, দুর্গাপূজায় খাগড়াছড়িতে কোন বিশৃঙ্খলা করতে দেয়া হবে না। নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য প্রশাসন কাজ করছে। চিন্তার কোন কারণ নেই বলে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে মানুষ সেনাবাহিনীকে চাই। কিন্তু পাহাড়ে মুষ্টিমে কিছু লোক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলছে। কারণ পাহাড়ে সেনাবাহিনী থাকলে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বিঘœ ঘটে। এ সময় জোনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পূজা মন্ডপের শেষ প্রস্তুুতি দেখলেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। জেলা ৯টি উপজেলাতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে পূজা মন্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুুতি। শেষ পর্যায়ে প্রস্তুুতি দেখতে জেলা প্রশাসক মো: শহিদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল। শুক্রবার(৪ঠা অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা সদরের পূজা মন্ডপগুলো পরিদর্শন করেছেন। এ সময জেলা প্রশাসক পূজা কমিটির সাথে পূজার প্রস্তুুতি নিযে খোঁজ খবর নেন।
পূজা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হয় সেজন্য প্রশাসন থেকে সকল নিরাপত্তা ও সহযোগিতা প্রদান করবে বলে পূজা কমিটিকে জানান। জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের পূজা মন্ডপ জগন্নাথ বাড়ির পূজা মন্ডপ গুলো পরিদর্শন করেন। এ সময জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো: নাহিদ বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির জেলা পূজা কমিটির অশোক মজুমদার স্বপন ভট্টাচার্যসহ অনেকে উপস্থিত ছিল।
অপরদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া বলেছেন, এবার খাগড়াছড়িতে হিন্দু সম্প্রদায় তাদের প্রধান শারদীয় উৎসব দুর্গাপূজা মুখর পরিবেশে পালন করবে। সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিএনপির নেতাকর্মীরা নিরাপত্তা রক্ষায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকবে।
শনিবার(৫ই অক্টোবর) সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি শ্রীশ্রী লক্ষ্মী নারায়ন মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ প্রত্রিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি প্রবীন চন্দ্র চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার ও পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক মজুমদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও জেলার উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ওয়াদুদ ভূইয়া আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশনা দিয়েছেন আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকতে। আপনারা ভয় পাবেন না। প্রতিটি পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব বিএনপি’র নেতাকর্মী নিয়েছেন। কোন সন্ত্রাসী শারদীয় উৎসবে বিঘœ ঘটাতে চাই প্রতিহত করা হবে।
এবারে খাগড়াছড়ি জেলায় ৯টি উপজেলায় ৬১পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নিযে প্রশাসন যাতে পূজা নিবিগ্নে উদ্যাপন করা যায়। তা নিয়ে দফায় দফায় পূজা কমিটির সাথে বৈঠকও করেছেন।