বরিশালের বাকেরগঞ্জে দুর্গাপূজার মণ্ডপের তিনটি প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ শনিবার বরিশালের পুলিশ সুপারের নির্দেশে শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে (ক্লোজড) বরিশাল পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার পশ্চিম শ্যামপুর দেউরী বাড়ি সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামকে সরিয়ে সেই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফাকে ওসির দায়িত্ব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার এসপি মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শংকর দেউরী বলেন, গত রাত দেড়টা পর্যন্ত মন্দিরে ছিলেন তারা। এরপর সবাই গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে এসে দেখতে পান, দুর্গা, লক্ষ্মী ও কার্তিক প্রতিমার মাথা ভেঙে ফেলা হয়েছে। গত ১১ বছর ধরে এ মণ্ডপে পূজা হয়। এই প্রথমবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে জানেন না তিনি।
পূজার আগে পুনরায় প্রতিমা তৈরি সম্ভব হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিমায় শুধু রং করার কাজ বাকি ছিল। এ ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ করবো না।
এদিকে, বরিশালের ডিসি, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্ব পাওয়া গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনটি প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। এর মধ্যে একটির মাথা ভেঙে পায়ের কাছে রাখা হয়েছে। আরেকটির মাথা ভেঙে ঝুলিয়ে রাখা হয়। অন্যটির হাত ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘পুরো বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এটাকে ভাঙচুর বলা যায় না। মাথা খুলে পায়ের কাছ রাখা হয়েছিল। ভাঙচুর হলে তো পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এটা কীভাবে হলো, সেটা আমরা গভীরভাবে তদন্ত করছি। আমরা তদন্ত করে এর কারণ শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। আশা করি, এটা বের হবে। মহালয়ার পর থেকে মণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা ও স্বেচ্ছাসেবক রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই মণ্ডপে তার কোনো কিছুই ছিল না। এ ক্ষেত্রে মণ্ডপ কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেননি।’
পুলিশ সুপার বলেন, মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক আছে কি না, তা মনিটরিং করার দায়িত্ব ছিল পুলিশের। কিন্তু বাকেরগঞ্জ থানার পুলিশ সে দায়িত্ব পালন করেনি। তাই ওসি শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় পরিদর্শক গোলাম মোস্তফাকে ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪
বরিশালের বাকেরগঞ্জে দুর্গাপূজার মণ্ডপের তিনটি প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ শনিবার বরিশালের পুলিশ সুপারের নির্দেশে শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে (ক্লোজড) বরিশাল পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার পশ্চিম শ্যামপুর দেউরী বাড়ি সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামকে সরিয়ে সেই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফাকে ওসির দায়িত্ব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার এসপি মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শংকর দেউরী বলেন, গত রাত দেড়টা পর্যন্ত মন্দিরে ছিলেন তারা। এরপর সবাই গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে এসে দেখতে পান, দুর্গা, লক্ষ্মী ও কার্তিক প্রতিমার মাথা ভেঙে ফেলা হয়েছে। গত ১১ বছর ধরে এ মণ্ডপে পূজা হয়। এই প্রথমবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে জানেন না তিনি।
পূজার আগে পুনরায় প্রতিমা তৈরি সম্ভব হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিমায় শুধু রং করার কাজ বাকি ছিল। এ ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ করবো না।
এদিকে, বরিশালের ডিসি, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্ব পাওয়া গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনটি প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। এর মধ্যে একটির মাথা ভেঙে পায়ের কাছে রাখা হয়েছে। আরেকটির মাথা ভেঙে ঝুলিয়ে রাখা হয়। অন্যটির হাত ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘পুরো বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। এটাকে ভাঙচুর বলা যায় না। মাথা খুলে পায়ের কাছ রাখা হয়েছিল। ভাঙচুর হলে তো পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এটা কীভাবে হলো, সেটা আমরা গভীরভাবে তদন্ত করছি। আমরা তদন্ত করে এর কারণ শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। আশা করি, এটা বের হবে। মহালয়ার পর থেকে মণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা ও স্বেচ্ছাসেবক রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই মণ্ডপে তার কোনো কিছুই ছিল না। এ ক্ষেত্রে মণ্ডপ কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেননি।’
পুলিশ সুপার বলেন, মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক আছে কি না, তা মনিটরিং করার দায়িত্ব ছিল পুলিশের। কিন্তু বাকেরগঞ্জ থানার পুলিশ সে দায়িত্ব পালন করেনি। তাই ওসি শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় পরিদর্শক গোলাম মোস্তফাকে ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।