টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শুরীরচালা আব্দুল হামিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত প্রধান শিক্ষককে বরখাস্তের দাবিতে আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে তারা ওইকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তালা দেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন সাড়ে ১১ টার দিকে বিদ্যালয় থেকে সখীপুরে উপজেলা শহরে চলে আসেন। এর আগে গত চার মাস আগে ওই প্রধান শিক্ষকের বরখাস্তের দাবিতে বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক মনজুর মোরশেদ বলেন, বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম, কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি, নিজের স্ত্রীকে অবৈধভাবে নিয়োগ, কমিটি গঠন নিয়ে নানা অনিয়ম–এসব অভিযোগে প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিনকে বরখাস্তের দাবিতে গত ছয় মাস ধরে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন, ক্লাস বর্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর কর্মসূচি কিছুটা থেমেছিল। আজ সোমবার দুপুরে ওইসব দাবিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মিলে প্রধান শিক্ষককের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
বিল্লাল হোসেন ও মাইনুদ্দিন নামের দুই অভিভাবক বলেন, এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরাই প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে শিক্ষার্থীদেরই তালা দিতে দেখা যায়।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতেই শিক্ষার্থীরা তালা ঝুলিয়ে দেয়।
প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন বলেন, আমি বিদ্যালয়ের কাজে দুপুরের দিকে উপজেলা পরিষদে এসেছিলাম। তখন শুনতে পেলাম স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী আমার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি আজ বিকেলে সখীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউএনও মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে তালা দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি তাঁকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আইন অনুযায়ী গ্রহণ করা হবে।
সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শুরীরচালা আব্দুল হামিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত প্রধান শিক্ষককে বরখাস্তের দাবিতে আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে তারা ওইকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তালা দেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন সাড়ে ১১ টার দিকে বিদ্যালয় থেকে সখীপুরে উপজেলা শহরে চলে আসেন। এর আগে গত চার মাস আগে ওই প্রধান শিক্ষকের বরখাস্তের দাবিতে বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক মনজুর মোরশেদ বলেন, বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম, কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি, নিজের স্ত্রীকে অবৈধভাবে নিয়োগ, কমিটি গঠন নিয়ে নানা অনিয়ম–এসব অভিযোগে প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিনকে বরখাস্তের দাবিতে গত ছয় মাস ধরে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন, ক্লাস বর্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর কর্মসূচি কিছুটা থেমেছিল। আজ সোমবার দুপুরে ওইসব দাবিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মিলে প্রধান শিক্ষককের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
বিল্লাল হোসেন ও মাইনুদ্দিন নামের দুই অভিভাবক বলেন, এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরাই প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে শিক্ষার্থীদেরই তালা দিতে দেখা যায়।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতেই শিক্ষার্থীরা তালা ঝুলিয়ে দেয়।
প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন বলেন, আমি বিদ্যালয়ের কাজে দুপুরের দিকে উপজেলা পরিষদে এসেছিলাম। তখন শুনতে পেলাম স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী আমার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি আজ বিকেলে সখীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউএনও মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে তালা দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি তাঁকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আইন অনুযায়ী গ্রহণ করা হবে।