পিরোজপুরে একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খালে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুই পরিবারের আট সদস্য। নিহতদের মধ্যে দুজন পুরুষ, দুজন নারী ও চার শিশু রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ভোরে সদর উপজেলার নূরানী গেট এলাকায় পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা না গেলেও পুলিশের ধারণা, চালকের অসতর্কতায় কিংবা ঘুমিয়ে পড়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ঘটনাস্থলে থেকে পাওয়া একটি মোবাইল ফোন থেকে নিহতদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, শেরপুরের খোলআচার পাড়ার মোতালেব (৪৫), তার স্ত্রী সাবিনা আক্তার (৩০), মেয়ে মুক্তা (১২) ও ছেলে সোয়াইব (২) এবং পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের শাওন মৃধা (৩২), তার স্ত্রী আমেনা বেগম (২৯), ছেলে শাহাদাৎ (১০) ও আবদুল্লাহ (৩)। নিহত মোতালেবের এক আত্মীয় মোবাইল ফোনে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মোতালেবের সঙ্গে পাওয়া আইডি কার্ড থেকে জানা গেছে তিনি সেনাবাহিনীতে সিভিল স্টাফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিহত শাওন আর্মিদের সিভিল বিভাগের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে (সিএইচডি) কাজ করতেন বলে তার বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন। তারা সহকর্মী। দুই পরিবার কুয়াকাটায় সমুদ্র সৈকতে অবকাশ যাপনের জন্য গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। তবে তাদের মধ্যে কে গাড়ি চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শাওন মৃধার পরিবারে চার সদস্যের নিহতের শোকের মাতম চলছে এলাকায়। খোঁড়া হয়েছে পাশাপাশি চারটি কবর। তার বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা তিন ভাই এক বোন। শাওন আমাদের সবার ছোট। দুই সন্তান নিয়ে আমার ভাই সুখে-শান্তিতে ছিল। একটি সড়ক দুর্ঘটনা সব শেষ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাদ এশা জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সেখানে একই সারিতে চারজনের জন্য কবর খোঁড়া হয়েছে। শেরপুরের যে চারজন মারা গেছে তাদের পরিবার আসার পর দুই পরিবারকে একসঙ্গে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত শাওনের খালাতো ভাই মুরাদ জানান, শাওন ও মোতালেব পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় গিয়েছিলেন বেড়াতে। রাতে ওই প্রাইভেটকারে তারা পিরোজপুরের হোগলাবুনিয়ায় শাওনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে অর্থাৎ আনুমানিক ৩টার দিকে নূরানী গেট এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারালে তাদের গাড়ি রাস্তার পাশের খালে পড়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা গাড়িতে থাকা আটজনকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক আটজনকেই মৃত ঘোষণা করেন বলেও জানান তিনি।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক আসিফ হোসেন বলেন, হাসপাতালে নেয়ার আগেই ওই আটজনের সবার মৃত্যু হয়েছিল।
পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে আটটি মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চালকের অসতর্কতায় কিংবা ঘুমিয়ে পড়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
পিরোজপুরে একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খালে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুই পরিবারের আট সদস্য। নিহতদের মধ্যে দুজন পুরুষ, দুজন নারী ও চার শিশু রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ভোরে সদর উপজেলার নূরানী গেট এলাকায় পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা না গেলেও পুলিশের ধারণা, চালকের অসতর্কতায় কিংবা ঘুমিয়ে পড়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ঘটনাস্থলে থেকে পাওয়া একটি মোবাইল ফোন থেকে নিহতদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, শেরপুরের খোলআচার পাড়ার মোতালেব (৪৫), তার স্ত্রী সাবিনা আক্তার (৩০), মেয়ে মুক্তা (১২) ও ছেলে সোয়াইব (২) এবং পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের শাওন মৃধা (৩২), তার স্ত্রী আমেনা বেগম (২৯), ছেলে শাহাদাৎ (১০) ও আবদুল্লাহ (৩)। নিহত মোতালেবের এক আত্মীয় মোবাইল ফোনে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মোতালেবের সঙ্গে পাওয়া আইডি কার্ড থেকে জানা গেছে তিনি সেনাবাহিনীতে সিভিল স্টাফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিহত শাওন আর্মিদের সিভিল বিভাগের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে (সিএইচডি) কাজ করতেন বলে তার বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন। তারা সহকর্মী। দুই পরিবার কুয়াকাটায় সমুদ্র সৈকতে অবকাশ যাপনের জন্য গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। তবে তাদের মধ্যে কে গাড়ি চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শাওন মৃধার পরিবারে চার সদস্যের নিহতের শোকের মাতম চলছে এলাকায়। খোঁড়া হয়েছে পাশাপাশি চারটি কবর। তার বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা তিন ভাই এক বোন। শাওন আমাদের সবার ছোট। দুই সন্তান নিয়ে আমার ভাই সুখে-শান্তিতে ছিল। একটি সড়ক দুর্ঘটনা সব শেষ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাদ এশা জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সেখানে একই সারিতে চারজনের জন্য কবর খোঁড়া হয়েছে। শেরপুরের যে চারজন মারা গেছে তাদের পরিবার আসার পর দুই পরিবারকে একসঙ্গে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত শাওনের খালাতো ভাই মুরাদ জানান, শাওন ও মোতালেব পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় গিয়েছিলেন বেড়াতে। রাতে ওই প্রাইভেটকারে তারা পিরোজপুরের হোগলাবুনিয়ায় শাওনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে অর্থাৎ আনুমানিক ৩টার দিকে নূরানী গেট এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারালে তাদের গাড়ি রাস্তার পাশের খালে পড়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা গাড়িতে থাকা আটজনকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক আটজনকেই মৃত ঘোষণা করেন বলেও জানান তিনি।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক আসিফ হোসেন বলেন, হাসপাতালে নেয়ার আগেই ওই আটজনের সবার মৃত্যু হয়েছিল।
পিরোজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে আটটি মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চালকের অসতর্কতায় কিংবা ঘুমিয়ে পড়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।