২০১৩ সালে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে মিছিলে গুলিতে চারজন নিহতের ঘটনায় কণ্ঠশিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নিহত মাওলানা নাসির উদ্দিনের ভাই মো. শহিদুল ইসলাম বুধবার মানিকগঞ্জের বিচারিক হাকিম আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া, আওয়ামী লীগের ৫২ নেতাকর্মী এবং ৩৮ পুলিশ সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিংগাইর থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার পটভূমি
২০১৩ সালে সিংগাইরের গোবিন্ধল গ্রাম থেকে মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই গুলিতে মাওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, নাজিম উদ্দীন ও শাহ আলম নিহত হন। এছাড়া অর্ধশতাধিক সাধারণ মানুষ আহত হন।
মামলার আসামিরা
মামলায় মমতাজ বেগম ছাড়াও সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশ সদস্যদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সাবেক পৌর মেয়র মীর মো. শাহজাহান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মাজেদ খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদসহ অন্যান্য নেতারা।
পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন মানিকগঞ্জের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মো. মহিবুল আলম, এসআই আদিল মাহমুদসহ আরো কয়েকজন।
মামলার প্রেক্ষাপট
বাদী শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ঘটনার পরপরই মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। উল্টো পুলিশের করা মামলায় গ্রামবাসী এবং বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। দীর্ঘদিন পর তিনি সুষ্ঠু বিচারের আশায় নতুন করে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার বিষয়ে জানতে মমতাজ বেগমের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। সিংগাইর থানার ওসি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি এই মামলার বিষয়ে অবগত নন। তবে আদালতের নির্দেশ পেলে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবেন।
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
২০১৩ সালে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে মিছিলে গুলিতে চারজন নিহতের ঘটনায় কণ্ঠশিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নিহত মাওলানা নাসির উদ্দিনের ভাই মো. শহিদুল ইসলাম বুধবার মানিকগঞ্জের বিচারিক হাকিম আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া, আওয়ামী লীগের ৫২ নেতাকর্মী এবং ৩৮ পুলিশ সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিংগাইর থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার পটভূমি
২০১৩ সালে সিংগাইরের গোবিন্ধল গ্রাম থেকে মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই গুলিতে মাওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, নাজিম উদ্দীন ও শাহ আলম নিহত হন। এছাড়া অর্ধশতাধিক সাধারণ মানুষ আহত হন।
মামলার আসামিরা
মামলায় মমতাজ বেগম ছাড়াও সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশ সদস্যদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, সাবেক পৌর মেয়র মীর মো. শাহজাহান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মাজেদ খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদসহ অন্যান্য নেতারা।
পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন মানিকগঞ্জের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মো. মহিবুল আলম, এসআই আদিল মাহমুদসহ আরো কয়েকজন।
মামলার প্রেক্ষাপট
বাদী শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ঘটনার পরপরই মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। উল্টো পুলিশের করা মামলায় গ্রামবাসী এবং বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। দীর্ঘদিন পর তিনি সুষ্ঠু বিচারের আশায় নতুন করে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার বিষয়ে জানতে মমতাজ বেগমের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। সিংগাইর থানার ওসি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি এই মামলার বিষয়ে অবগত নন। তবে আদালতের নির্দেশ পেলে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবেন।