বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পূজায় কেন পাহারা দিতে হবে? আজ থেকে ৩০ বছর আগে ২৫ বছর আগে তো এটি দিতে হয়নি। বরং যত পূজা ঘনিয়ে আসতো আমাদের যারা মুসলমান ছেলে-মেয়ে, স্কুল-কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে পড়ি আমাদের মধ্যেও একটি আনন্দের হিল্লোল পড়ে যেত। বিএনপির আমলে কখনো এ ধরনের পরিস্থিতি হয়নি। আমাদের সংস্কৃতি এক। বিভাজন তৈরি করেছে পরাজিত শক্তি এবং তার দোসররা। কারণ তারা বিভাজন করে ক্ষমতায় থাকতে চায়।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে সার্বজনীন কালী মন্দির প্রাঙ্গণে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে ধর্মের ভিত্তিতে একটি রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল। কিন্তু তখনও মানুষ স্বাধীনতা ভোগ করেছে। তখনও দেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান উৎসব পালনে স্বাধীনতা ভোগ করেছে। তাহলে আজকে কেনো পূজামণ্ডপে পাহারা দিতে হয়? দেবালয়ে সতর্ক থাকতে হয়? দীর্ঘ কয়েক বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনে এমন একটি ন্যারেটিভ তৈরি করা হয়েছে। ওরা যদি ক্ষমতায় যায় হিন্দুরা জায়গা জমি নিয়ে নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে না। আমরা দেখেছি হিন্দুদের যত এনিমি প্রপার্টি আছে সব তাদের দখলে। যাদের ৫ আগস্ট পতন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের টাকা পাচার করেছে জনগণের নাম করে ১৮ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এই ঋণ তো জনকল্যাণের জন্য, এই ঋণ পুল কালভার্ট নির্মাণের জন্য, এই ঋণ কৃষি-শিল্প-স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য। কিন্তু ১৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। পাচার করেছে শেখ পরিবার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলেরা, তার ভাই-ভাতিজারা।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি স্বপন মোদকের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ- সভাপতি আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, সিরাজদিখান উপজেলার বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ধীরণ প্রমুখ।
রোববার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পূজায় কেন পাহারা দিতে হবে? আজ থেকে ৩০ বছর আগে ২৫ বছর আগে তো এটি দিতে হয়নি। বরং যত পূজা ঘনিয়ে আসতো আমাদের যারা মুসলমান ছেলে-মেয়ে, স্কুল-কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে পড়ি আমাদের মধ্যেও একটি আনন্দের হিল্লোল পড়ে যেত। বিএনপির আমলে কখনো এ ধরনের পরিস্থিতি হয়নি। আমাদের সংস্কৃতি এক। বিভাজন তৈরি করেছে পরাজিত শক্তি এবং তার দোসররা। কারণ তারা বিভাজন করে ক্ষমতায় থাকতে চায়।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে সার্বজনীন কালী মন্দির প্রাঙ্গণে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে ধর্মের ভিত্তিতে একটি রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল। কিন্তু তখনও মানুষ স্বাধীনতা ভোগ করেছে। তখনও দেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান উৎসব পালনে স্বাধীনতা ভোগ করেছে। তাহলে আজকে কেনো পূজামণ্ডপে পাহারা দিতে হয়? দেবালয়ে সতর্ক থাকতে হয়? দীর্ঘ কয়েক বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনে এমন একটি ন্যারেটিভ তৈরি করা হয়েছে। ওরা যদি ক্ষমতায় যায় হিন্দুরা জায়গা জমি নিয়ে নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে না। আমরা দেখেছি হিন্দুদের যত এনিমি প্রপার্টি আছে সব তাদের দখলে। যাদের ৫ আগস্ট পতন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের টাকা পাচার করেছে জনগণের নাম করে ১৮ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এই ঋণ তো জনকল্যাণের জন্য, এই ঋণ পুল কালভার্ট নির্মাণের জন্য, এই ঋণ কৃষি-শিল্প-স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য। কিন্তু ১৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। পাচার করেছে শেখ পরিবার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলেরা, তার ভাই-ভাতিজারা।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি স্বপন মোদকের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ- সভাপতি আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, সিরাজদিখান উপজেলার বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ধীরণ প্রমুখ।