কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী, ধলঘাটা, কুতুবজোম সহ বিভিন্ন এলাকার উপকূলের মানুষ গুলো টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে অনিশ্চয়তাই দিন পার করছে। মাতারবাড়ীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ষাইট পাড়ার ৫৫ বছর বয়সী রাজিয়া এখনও শূণ্য চোখে চেয়ে আছেন সাগরপানে। তার এই অপলক দৃষ্টিতে রয়েছে আতংক, চিন্তা, ভয়, হাহাকার নিদারুণ অনিশ্চয়তা। ঘূর্ণিঝড়ের থাবা এবং সাগরের গর্জন তার মনে বয়ে আনে পুরোনো ক্ষত। যে ক্ষত ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে দুইবার তার ঘর কেড়ে নিয়েছিলো।
ঘূর্ণিঝড় দানার সংকেত পেয়ে রাজিয়ার মনে আবারো এক ভয়াবহ শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এর আগেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে তার কুঁড়েঘরটি দুইবার লন্ডভন্ড হয়েছিল । প্রথমবার তার কুঁড়েঘরটি লন্ডভন্ড হওয়ার সাথে সাথে স্বামীর সঙ্গে কঠিন সংগ্রাম করে টিকে ছিলেন। পরবর্তীতে স্বামীকে হারিয়ে একাই বেঁচে আছেন তিনি। সংসারে একমাত্র মেয়ে ছিল, তারও বিয়ে হয়ে গেছে। এখন একা একাই ছোট্ট ঘরটিতে দিন কাটে তার। মাতারবাড়ী ষাইটপাড়ার জিওব্যাগের উপর বসে এসব কথা জানান রাজিয়া।
রাজিয়ার মতো অনেকের কন্ঠে নিদারুণ কষ্টের কথা, “কারো কাছে কিছু চাইনি, শুধু একটা টেকসই বেড়িবাঁধ চেয়েছিলাম।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ জানান, কক্সবাজার উপকূলজুড়ে ৫৯৫ কি.মি বেড়িবাঁধ ৬০ দশকে নির্মিত হয়েছিলো। পরবর্তীতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের কথা থাকলেও তা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি।
সে সময় সাগরের উচ্চতার ওপর নির্ভর করে তৈরি করা এ বেড়িবাঁধ জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে সাগরের উচ্চতা বাড়লেও নতুন করে নির্মিত হয়নি আর। জোড়াতালির বেড়িবাঁধে আতঙ্কে আছে উপকূলের মানুষ গুলো। এরই মধ্যে ৮০ কি.মি জুড়ে বেড়িবাঁধের শুধুই চিহ্ন আছে। বাকি অংশটুকুও নতুন করে সংস্কার হয়নি। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় লবণ, চিংড়ি ঘের ও ক্ষেতের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয় উপকূলের মানুষের।
প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রাম করে কোন রকমে বেঁচে আছে উপকূলের মানুষ গুলো। আবারও তারা সরকারের কাছে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জোর দাবী জানান।
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী, ধলঘাটা, কুতুবজোম সহ বিভিন্ন এলাকার উপকূলের মানুষ গুলো টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে অনিশ্চয়তাই দিন পার করছে। মাতারবাড়ীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ষাইট পাড়ার ৫৫ বছর বয়সী রাজিয়া এখনও শূণ্য চোখে চেয়ে আছেন সাগরপানে। তার এই অপলক দৃষ্টিতে রয়েছে আতংক, চিন্তা, ভয়, হাহাকার নিদারুণ অনিশ্চয়তা। ঘূর্ণিঝড়ের থাবা এবং সাগরের গর্জন তার মনে বয়ে আনে পুরোনো ক্ষত। যে ক্ষত ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে দুইবার তার ঘর কেড়ে নিয়েছিলো।
ঘূর্ণিঝড় দানার সংকেত পেয়ে রাজিয়ার মনে আবারো এক ভয়াবহ শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এর আগেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে তার কুঁড়েঘরটি দুইবার লন্ডভন্ড হয়েছিল । প্রথমবার তার কুঁড়েঘরটি লন্ডভন্ড হওয়ার সাথে সাথে স্বামীর সঙ্গে কঠিন সংগ্রাম করে টিকে ছিলেন। পরবর্তীতে স্বামীকে হারিয়ে একাই বেঁচে আছেন তিনি। সংসারে একমাত্র মেয়ে ছিল, তারও বিয়ে হয়ে গেছে। এখন একা একাই ছোট্ট ঘরটিতে দিন কাটে তার। মাতারবাড়ী ষাইটপাড়ার জিওব্যাগের উপর বসে এসব কথা জানান রাজিয়া।
রাজিয়ার মতো অনেকের কন্ঠে নিদারুণ কষ্টের কথা, “কারো কাছে কিছু চাইনি, শুধু একটা টেকসই বেড়িবাঁধ চেয়েছিলাম।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ জানান, কক্সবাজার উপকূলজুড়ে ৫৯৫ কি.মি বেড়িবাঁধ ৬০ দশকে নির্মিত হয়েছিলো। পরবর্তীতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের কথা থাকলেও তা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি।
সে সময় সাগরের উচ্চতার ওপর নির্ভর করে তৈরি করা এ বেড়িবাঁধ জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে সাগরের উচ্চতা বাড়লেও নতুন করে নির্মিত হয়নি আর। জোড়াতালির বেড়িবাঁধে আতঙ্কে আছে উপকূলের মানুষ গুলো। এরই মধ্যে ৮০ কি.মি জুড়ে বেড়িবাঁধের শুধুই চিহ্ন আছে। বাকি অংশটুকুও নতুন করে সংস্কার হয়নি। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় লবণ, চিংড়ি ঘের ও ক্ষেতের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয় উপকূলের মানুষের।
প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রাম করে কোন রকমে বেঁচে আছে উপকূলের মানুষ গুলো। আবারও তারা সরকারের কাছে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জোর দাবী জানান।