alt

সারাদেশ

টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে মহেশখালীর উপকূলের মানুষ

মহেশখালী প্রতিনিধি, কক্সবাজার : শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী, ধলঘাটা, কুতুবজোম সহ বিভিন্ন এলাকার উপকূলের মানুষ গুলো টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে অনিশ্চয়তাই দিন পার করছে। মাতারবাড়ীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ষাইট পাড়ার ৫৫ বছর বয়সী রাজিয়া এখনও শূণ্য চোখে চেয়ে আছেন সাগরপানে। তার এই অপলক দৃষ্টিতে রয়েছে আতংক, চিন্তা, ভয়, হাহাকার নিদারুণ অনিশ্চয়তা। ঘূর্ণিঝড়ের থাবা এবং সাগরের গর্জন তার মনে বয়ে আনে পুরোনো ক্ষত। যে ক্ষত ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে দুইবার তার ঘর কেড়ে নিয়েছিলো।

ঘূর্ণিঝড় দানার সংকেত পেয়ে রাজিয়ার মনে আবারো এক ভয়াবহ শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এর আগেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে তার কুঁড়েঘরটি দুইবার লন্ডভন্ড হয়েছিল । প্রথমবার তার কুঁড়েঘরটি লন্ডভন্ড হওয়ার সাথে সাথে স্বামীর সঙ্গে কঠিন সংগ্রাম করে টিকে ছিলেন। পরবর্তীতে স্বামীকে হারিয়ে একাই বেঁচে আছেন তিনি। সংসারে একমাত্র মেয়ে ছিল, তারও বিয়ে হয়ে গেছে। এখন একা একাই ছোট্ট ঘরটিতে দিন কাটে তার। মাতারবাড়ী ষাইটপাড়ার জিওব্যাগের উপর বসে এসব কথা জানান রাজিয়া।

রাজিয়ার মতো অনেকের কন্ঠে নিদারুণ কষ্টের কথা, “কারো কাছে কিছু চাইনি, শুধু একটা টেকসই বেড়িবাঁধ চেয়েছিলাম।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ জানান, কক্সবাজার উপকূলজুড়ে ৫৯৫ কি.মি বেড়িবাঁধ ৬০ দশকে নির্মিত হয়েছিলো। পরবর্তীতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের কথা থাকলেও তা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি।

সে সময় সাগরের উচ্চতার ওপর নির্ভর করে তৈরি করা এ বেড়িবাঁধ জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে সাগরের উচ্চতা বাড়লেও নতুন করে নির্মিত হয়নি আর। জোড়াতালির বেড়িবাঁধে আতঙ্কে আছে উপকূলের মানুষ গুলো। এরই মধ্যে ৮০ কি.মি জুড়ে বেড়িবাঁধের শুধুই চিহ্ন আছে। বাকি অংশটুকুও নতুন করে সংস্কার হয়নি। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় লবণ, চিংড়ি ঘের ও ক্ষেতের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয় উপকূলের মানুষের।

প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রাম করে কোন রকমে বেঁচে আছে উপকূলের মানুষ গুলো। আবারও তারা সরকারের কাছে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জোর দাবী জানান।

ছবি

বাজিতপুরে বাবাকে হত্যা: টাকা না পাওয়ার জেরে ছেলে ও বন্ধুদের গ্রেপ্তার

ছবি

বি‌জি‌বির অ‌ভিযা‌নে আড়াই কোটি টাকার জব্দ মোবাইল ডিসপ্লে জব্দ

ছবি

পার্বত্য উপদেষ্টার পদত্যাগ সহ ৩ দফা দাবীতে বাইশারীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ছবি

শিশুদের জীবন মান উন্নয়নে হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশনের Walk for Hope

ছবি

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব কেটে গেলেও কৃষকের মনে বিষাদ

যৌথ বাহিনীর অভিযান : গাজীপুরে রাম দা-চাপাতিসহ ৮ জন গ্রেপ্তার

ছবি

আরাকান আর্মির থেকে ২ কিশোরকে বিজিবির উদ্ধার

ছবি

সৈকতে গোসলে নেমে কিশোরের মৃত্যু

ছবি

নরসিংদীতে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজির ৬ যাত্রী নিহত

ছবি

চট্টগ্রামে সনাতন জাগরণ মঞ্চের সমাবেশ, ৮ দাবিতে লংমার্চের ঘোষণা

ছবি

সুবিধাবাদীদের চিহ্নিত করে আলাদা করার আহ্বান সারজিস আলমের

ছবি

সাবেক হুইপ কমলের বডিগার্ড খোকন যৌথ অভিযানে গ্রেফতার

ছবি

রামুর রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্টিত

ছবি

ভারতে পালানোর সময় এস আলম গ্রুপের কর্মকর্তা আটক

ছবি

ইসরায়েলী গণহত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে আলেমদের বিক্ষোভ

ছবি

আত্মগোপনে থাকা ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল গ্রেপ্তার

ছবি

শারদায় এবার ৫৯ জন এসআইকে শোকজ

ছবি

কক্সবাজারে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা

ছবি

গাজীপুরে রাস্তাগুলোর বেহাল দশা, ‘অতিরিক্ত ভারী যানবাহনই দায়ী’

ছবি

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র

ছবি

ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন প্রশ্নে উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিককে তলব

ছবি

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে নৌ মহড়ার জেটি দ্বিখণ্ডিত

ছবি

রাজধানীতে গাঁজাসহ মাদককারবারি গ্রেপ্তার

ছবি

শেরপুরে ছাত্র হত্যা মামলায় সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

‘দানা’ : প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

ময়মনসিংহে ধর্ষণের শিকার শিশুটি

ছবি

কৃষকের অজান্তেই ঈশ্বরদী ছেড়ে গেছে কৃষি স্পেশাল ট্রেন!

ছবি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে রিয়্যাক্টর এসেম্বলির কাজ সম্পন্ন

ছবি

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই পদ্মায় ইলিশ নিধন, চরাঞ্চলের পাড়জুড়ে হাট বসিয়ে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত বিক্রির ধুম

হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন আরঙ্গজেব নান্নু

ছবি

৭ম আন্তর্জাতিক Flight Safety Seminar 2024 এর সমাপনী অনুষ্ঠান

ছবি

স্বস্তি নিয়েই দিন পার বাংলাদেশের

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় তেলবাহী ট্রেনের ট্যাঙ্কার লাইনচ্যুত, যোগাযোগ বন্ধ

ছবি

গাজীপুরে দুই যুগে কমেছে দুই তৃতীয়াংশ বন ও জলাশয়

ছবি

‘নাশতা নিয়ে হইচই করায়’ ২৫২ জন প্রশিক্ষণরত এসআইকে অব্যাহতি

ছবি

আদালতে আইনজীবীদের হট্টগোল, চট্টগ্রামের হাকিম আদালতে বিচার কাজ স্থগিত

tab

সারাদেশ

টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে অনিশ্চয়তায় দিন পার করছে মহেশখালীর উপকূলের মানুষ

মহেশখালী প্রতিনিধি, কক্সবাজার

শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী, ধলঘাটা, কুতুবজোম সহ বিভিন্ন এলাকার উপকূলের মানুষ গুলো টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে অনিশ্চয়তাই দিন পার করছে। মাতারবাড়ীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ষাইট পাড়ার ৫৫ বছর বয়সী রাজিয়া এখনও শূণ্য চোখে চেয়ে আছেন সাগরপানে। তার এই অপলক দৃষ্টিতে রয়েছে আতংক, চিন্তা, ভয়, হাহাকার নিদারুণ অনিশ্চয়তা। ঘূর্ণিঝড়ের থাবা এবং সাগরের গর্জন তার মনে বয়ে আনে পুরোনো ক্ষত। যে ক্ষত ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে দুইবার তার ঘর কেড়ে নিয়েছিলো।

ঘূর্ণিঝড় দানার সংকেত পেয়ে রাজিয়ার মনে আবারো এক ভয়াবহ শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এর আগেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে তার কুঁড়েঘরটি দুইবার লন্ডভন্ড হয়েছিল । প্রথমবার তার কুঁড়েঘরটি লন্ডভন্ড হওয়ার সাথে সাথে স্বামীর সঙ্গে কঠিন সংগ্রাম করে টিকে ছিলেন। পরবর্তীতে স্বামীকে হারিয়ে একাই বেঁচে আছেন তিনি। সংসারে একমাত্র মেয়ে ছিল, তারও বিয়ে হয়ে গেছে। এখন একা একাই ছোট্ট ঘরটিতে দিন কাটে তার। মাতারবাড়ী ষাইটপাড়ার জিওব্যাগের উপর বসে এসব কথা জানান রাজিয়া।

রাজিয়ার মতো অনেকের কন্ঠে নিদারুণ কষ্টের কথা, “কারো কাছে কিছু চাইনি, শুধু একটা টেকসই বেড়িবাঁধ চেয়েছিলাম।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ জানান, কক্সবাজার উপকূলজুড়ে ৫৯৫ কি.মি বেড়িবাঁধ ৬০ দশকে নির্মিত হয়েছিলো। পরবর্তীতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের কথা থাকলেও তা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি।

সে সময় সাগরের উচ্চতার ওপর নির্ভর করে তৈরি করা এ বেড়িবাঁধ জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে সাগরের উচ্চতা বাড়লেও নতুন করে নির্মিত হয়নি আর। জোড়াতালির বেড়িবাঁধে আতঙ্কে আছে উপকূলের মানুষ গুলো। এরই মধ্যে ৮০ কি.মি জুড়ে বেড়িবাঁধের শুধুই চিহ্ন আছে। বাকি অংশটুকুও নতুন করে সংস্কার হয়নি। টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় লবণ, চিংড়ি ঘের ও ক্ষেতের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয় উপকূলের মানুষের।

প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রাম করে কোন রকমে বেঁচে আছে উপকূলের মানুষ গুলো। আবারও তারা সরকারের কাছে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জোর দাবী জানান।

back to top