ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে দেশের উত্তরাঞ্চলের আমনের ধানের বাপক ক্ষতি হয়েছে। কোথাও কোথাও কাচা ধান গাছ নুয়ে পড়েছে, আবার কোথাও পাকা ধান। ক্ষতির মুখে পড়েছে শীতকালীন আগাম শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্য চাষ।
অন্যদিকে, দানার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠিতে মাছের ঘের, কৃষির ক্ষতি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে ধসে পড়েছে কাঁচা বাড়িঘর, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়ি বাঁধ।
কঠোর পরিশ্রম করে দুই দফায় বন্যার হাত থেকে আমন ধানের ক্ষেত রক্ষা করলেও দমকা হাওয়ায় মাটিতে মিশে গেছে কৃষকের স্বপ্ন। গত শুক্রবার সারা দিন ও রাতে হালকা বর্ষণ এবং দমকা হাওয়ায় কারণে ধানগাছ নুয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
কৃষকরা জানান, দেশের অধিকাংশ মানুষ জীবন-জীবিকার জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল। চলতি রোপা আমন মৌসুমে খরা আর বন্যাসহ নানা প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। অধিকাংশ কৃষক বাড়তি খরচে সেচ দিয়ে রোপণ করেছেন এই ধানচারা।
জলবায়ু পরিবর্তণের কারণে বন্যা ও অতি বৃষ্টির পর আগাছা ও কচুরিপানা পরিষ্কার করে প্রয়োজনীয় সার ও পরিচর্যার মাধ্যমে আমন ক্ষেত রক্ষা করতে সমর্থ হন কৃষকরা।
ইতোমধ্যে এই ক্ষেতের ধান বড় হতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও তা পাকতেও দেখা গেছে। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে গত দু’দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে রোপা আমন ক্ষেত নুয়ে পড়েছে মাটিতে। যার ফলে অভাবনীয় ক্ষতির শঙ্কায় আছে কৃষকরা। পানিতে পড়ে যাওয়ায় এসব ধান সমূলে চিটা হয়ে যাবে বলে কৃষকরা আশঙ্কা করছেন। বিশেষ করে জমিতে কেটে রাখা ধান নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন তারা। ধানগুলো ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমন চাষিরা।
তারা বলছেন, নুয়ে যাওয়া ধান গাছগুলোতে পোকার আক্রমণ শুরু হবে। পরে ধানের পরিবর্তে শুধু শুষ্ক ছিটা পাওয়া যাবে। এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। এছাড়াও আমন চাষিদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আগাম শীতকালীন সবজি ও আলু চাষিরা।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার চক দাতিয়া গ্রামের আজগর আলী বলেন, ‘৪ বিঘা জমিত ধান চাষ করচি, এরমধ্য ২ বিঘা জমির ধান আধা-পাকা হইচে(হইছে)। বাকী জমির ধানে মুকুল ও শীষ দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে ঝড়-বৃষ্টিতে ধান জমিতে শুতে(পড়ে) গেছে। এ কারণে এবছর ধানে পাতান (চিটা) হতে পারে।’
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শালমারা গ্রামের কেরামত আলী বলেন, ‘এবার ঝড়িট্যা অনেক ক্ষতি করলো। ধান পাকার সময় ঝড়ি(বৃষ্টি) হলে ধানোত খালি পাতান(চিটা) হয়, পাতান হলে ফলন কমে যায়। আবার ধান কাটতে বেশি কিশান (অধিক মজুরি) নাগে(লাগে), ধানের গাছও পচে(নষ্ট) যায়, আর পচে গেলে পোয়াল(খড়) কম হয়, ধানের রং মরে যায় (নষ্ট হয়) আর দাম কমে যায়। তখন তো আবাদ করে পোশবালায়(লাভ হয়না)।’
রংপুরের পীরগঞ্জের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছরে ৩ বিঘা জমিত আমন ধান আবাদ করেচিনো। পহেলা (প্রথম) দিকে মনেহল; খুব ভালো আবাদ হবি (বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ছিল)। গত দু’দিনের ঝড়ির(বৃষ্টিতে) পড়ে ৩০ ভাগ ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এখন তো মনে হওচো(হচ্ছে) পোশবালায়(লাভ হয়না)। ’
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রাণীগঞ্জের কৃষক আতাহার আলী বলেন, ‘আকাশ পরিষ্কার থাকায় জমিতে পাকা ধান কেটে রেখেছিলাম শুকানোর জন্য। পরশুদিন থেকে বৃষ্টি হওয়ায় এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছি। কারণ আমি পাকা ধানের খড় আটি করে বিক্রি করবো জন্য আগাম ধান লাগাইছি।’
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃষ্টির সাথে সম্পৃক্ত করে ষড়ঋতুর বাংলাদেশে ঋতুচক্রে মে মাসের শেষার্ধ থেকে জুলাই মাসের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বর্ষাকাল হিসেবে ধরা হয়। এই দুই মাস বর্ষাকাল হলেও দেশে মে মাসের শেষ থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত কম-বেশী বৃষ্টি হতো। এই বৃষ্টির সাথে যোগসূত্র স্থাপন করেই বাংলাদেশের বিভিন্ন ফসল চাষ করার সুবিধার্থে তিনটি মৌসুম ধরে কৃষি পঞ্জিকা তৈরী হয়। চৈত্র বৈশাখ মাসে এদেশে আউশ ধান চাষ হতো, বৃষ্টি নির্ভর আমনের চাষ হতো মে মাসের দিকে আর রবিশস্যের মৌসুম শুরু হতো অক্টোবরে।
সেন্টার ফর পিপল অ্যান্ড এনভায়রোনমেন্টের (সিপিই) পরিচালক জলবায়ু বিশেষজ্ঞ মুহম্মদ আবদুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বদলে গেছে ষড়ঋতু, এবং সাথে সাথে চাষের অনুকূল প্রতিবেশও বদলে গেছে। এখন বর্ষা ১৫ দিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে। ২০১৯ সালে বর্ষা এসেছিল জুনের প্রথম সপ্তাহে আবার ২০২৩ সালে বর্ষা আগস্টেও পুরোপুরি আসেনি। এখন নভেম্বর পর্যন্তও কোন কোন বছর বৃষ্টি হচ্ছে। দেরীতে বর্ষা আসায় বিঘ্নিত হচ্ছে আমনের চাষ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমন এবং বর্ষা পিছিয়ে যাওয়ার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে রবিশস্যের চাষ। নভেম্বরের ভিতরে রবিশস্য চাষ করতে না পারলে রবি ফসলের অংকুরোদগম, বৃদ্ধি এবং ফলন শীতের কারণে কমে যাচ্ছে। আবার যেখানে বোরো চাষ করা হয় তাও আমনের সাথে পিছিয়ে যাওয়ায় বন্যা এলাকাগুলোতে ফসল কাটার সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসল।’
মুহম্মদ আবদুর রহমান ‘পানিচক্রের এই পরিবর্তন বাংলাদেশের কৃষি এবং কৃষকের অর্থনৈতিক ক্ষতির হার বাড়িয়ে যাচ্ছে। যদিও কৃষি মৌসুম এখন আর পূর্বের কৃষি পঞ্জিকা মেনে চলছেনা কিন্তু বাংলাদেশের কৃষিপঞ্জিকা সংশোধনের কোন উদ্যোগ নেই। জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষির জন্য এখন বৃষ্টিপাত এবং তাপমাত্রাকে ধর্তব্য হিসেবে নিয়ে নতুন কৃষিপঞ্জিকা তৈরী এবং বিভিন্ন কৃষি প্রতিবেশ অঞ্চলের জন্য আলাদা কৃষি পঞ্জিকা প্রণয়ন জরুরী।’
শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে দেশের উত্তরাঞ্চলের আমনের ধানের বাপক ক্ষতি হয়েছে। কোথাও কোথাও কাচা ধান গাছ নুয়ে পড়েছে, আবার কোথাও পাকা ধান। ক্ষতির মুখে পড়েছে শীতকালীন আগাম শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্য চাষ।
অন্যদিকে, দানার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও ঝালকাঠিতে মাছের ঘের, কৃষির ক্ষতি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে ধসে পড়েছে কাঁচা বাড়িঘর, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়ি বাঁধ।
কঠোর পরিশ্রম করে দুই দফায় বন্যার হাত থেকে আমন ধানের ক্ষেত রক্ষা করলেও দমকা হাওয়ায় মাটিতে মিশে গেছে কৃষকের স্বপ্ন। গত শুক্রবার সারা দিন ও রাতে হালকা বর্ষণ এবং দমকা হাওয়ায় কারণে ধানগাছ নুয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
কৃষকরা জানান, দেশের অধিকাংশ মানুষ জীবন-জীবিকার জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল। চলতি রোপা আমন মৌসুমে খরা আর বন্যাসহ নানা প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। অধিকাংশ কৃষক বাড়তি খরচে সেচ দিয়ে রোপণ করেছেন এই ধানচারা।
জলবায়ু পরিবর্তণের কারণে বন্যা ও অতি বৃষ্টির পর আগাছা ও কচুরিপানা পরিষ্কার করে প্রয়োজনীয় সার ও পরিচর্যার মাধ্যমে আমন ক্ষেত রক্ষা করতে সমর্থ হন কৃষকরা।
ইতোমধ্যে এই ক্ষেতের ধান বড় হতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও তা পাকতেও দেখা গেছে। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে গত দু’দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে রোপা আমন ক্ষেত নুয়ে পড়েছে মাটিতে। যার ফলে অভাবনীয় ক্ষতির শঙ্কায় আছে কৃষকরা। পানিতে পড়ে যাওয়ায় এসব ধান সমূলে চিটা হয়ে যাবে বলে কৃষকরা আশঙ্কা করছেন। বিশেষ করে জমিতে কেটে রাখা ধান নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন তারা। ধানগুলো ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমন চাষিরা।
তারা বলছেন, নুয়ে যাওয়া ধান গাছগুলোতে পোকার আক্রমণ শুরু হবে। পরে ধানের পরিবর্তে শুধু শুষ্ক ছিটা পাওয়া যাবে। এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। এছাড়াও আমন চাষিদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আগাম শীতকালীন সবজি ও আলু চাষিরা।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার চক দাতিয়া গ্রামের আজগর আলী বলেন, ‘৪ বিঘা জমিত ধান চাষ করচি, এরমধ্য ২ বিঘা জমির ধান আধা-পাকা হইচে(হইছে)। বাকী জমির ধানে মুকুল ও শীষ দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে ঝড়-বৃষ্টিতে ধান জমিতে শুতে(পড়ে) গেছে। এ কারণে এবছর ধানে পাতান (চিটা) হতে পারে।’
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শালমারা গ্রামের কেরামত আলী বলেন, ‘এবার ঝড়িট্যা অনেক ক্ষতি করলো। ধান পাকার সময় ঝড়ি(বৃষ্টি) হলে ধানোত খালি পাতান(চিটা) হয়, পাতান হলে ফলন কমে যায়। আবার ধান কাটতে বেশি কিশান (অধিক মজুরি) নাগে(লাগে), ধানের গাছও পচে(নষ্ট) যায়, আর পচে গেলে পোয়াল(খড়) কম হয়, ধানের রং মরে যায় (নষ্ট হয়) আর দাম কমে যায়। তখন তো আবাদ করে পোশবালায়(লাভ হয়না)।’
রংপুরের পীরগঞ্জের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছরে ৩ বিঘা জমিত আমন ধান আবাদ করেচিনো। পহেলা (প্রথম) দিকে মনেহল; খুব ভালো আবাদ হবি (বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ছিল)। গত দু’দিনের ঝড়ির(বৃষ্টিতে) পড়ে ৩০ ভাগ ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এখন তো মনে হওচো(হচ্ছে) পোশবালায়(লাভ হয়না)। ’
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রাণীগঞ্জের কৃষক আতাহার আলী বলেন, ‘আকাশ পরিষ্কার থাকায় জমিতে পাকা ধান কেটে রেখেছিলাম শুকানোর জন্য। পরশুদিন থেকে বৃষ্টি হওয়ায় এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছি। কারণ আমি পাকা ধানের খড় আটি করে বিক্রি করবো জন্য আগাম ধান লাগাইছি।’
পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃষ্টির সাথে সম্পৃক্ত করে ষড়ঋতুর বাংলাদেশে ঋতুচক্রে মে মাসের শেষার্ধ থেকে জুলাই মাসের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বর্ষাকাল হিসেবে ধরা হয়। এই দুই মাস বর্ষাকাল হলেও দেশে মে মাসের শেষ থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত কম-বেশী বৃষ্টি হতো। এই বৃষ্টির সাথে যোগসূত্র স্থাপন করেই বাংলাদেশের বিভিন্ন ফসল চাষ করার সুবিধার্থে তিনটি মৌসুম ধরে কৃষি পঞ্জিকা তৈরী হয়। চৈত্র বৈশাখ মাসে এদেশে আউশ ধান চাষ হতো, বৃষ্টি নির্ভর আমনের চাষ হতো মে মাসের দিকে আর রবিশস্যের মৌসুম শুরু হতো অক্টোবরে।
সেন্টার ফর পিপল অ্যান্ড এনভায়রোনমেন্টের (সিপিই) পরিচালক জলবায়ু বিশেষজ্ঞ মুহম্মদ আবদুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বদলে গেছে ষড়ঋতু, এবং সাথে সাথে চাষের অনুকূল প্রতিবেশও বদলে গেছে। এখন বর্ষা ১৫ দিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত পিছিয়ে গেছে। ২০১৯ সালে বর্ষা এসেছিল জুনের প্রথম সপ্তাহে আবার ২০২৩ সালে বর্ষা আগস্টেও পুরোপুরি আসেনি। এখন নভেম্বর পর্যন্তও কোন কোন বছর বৃষ্টি হচ্ছে। দেরীতে বর্ষা আসায় বিঘ্নিত হচ্ছে আমনের চাষ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমন এবং বর্ষা পিছিয়ে যাওয়ার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে রবিশস্যের চাষ। নভেম্বরের ভিতরে রবিশস্য চাষ করতে না পারলে রবি ফসলের অংকুরোদগম, বৃদ্ধি এবং ফলন শীতের কারণে কমে যাচ্ছে। আবার যেখানে বোরো চাষ করা হয় তাও আমনের সাথে পিছিয়ে যাওয়ায় বন্যা এলাকাগুলোতে ফসল কাটার সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসল।’
মুহম্মদ আবদুর রহমান ‘পানিচক্রের এই পরিবর্তন বাংলাদেশের কৃষি এবং কৃষকের অর্থনৈতিক ক্ষতির হার বাড়িয়ে যাচ্ছে। যদিও কৃষি মৌসুম এখন আর পূর্বের কৃষি পঞ্জিকা মেনে চলছেনা কিন্তু বাংলাদেশের কৃষিপঞ্জিকা সংশোধনের কোন উদ্যোগ নেই। জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষির জন্য এখন বৃষ্টিপাত এবং তাপমাত্রাকে ধর্তব্য হিসেবে নিয়ে নতুন কৃষিপঞ্জিকা তৈরী এবং বিভিন্ন কৃষি প্রতিবেশ অঞ্চলের জন্য আলাদা কৃষি পঞ্জিকা প্রণয়ন জরুরী।’