ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র উপস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ‘প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল’ উদ্বোধন উপলক্ষে দুদেশের যাত্রী চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। রোববার সকাল ৯টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত এ সীমাবদ্ধতার কারণে দুই দেশের চেকপোস্টে আটকা পড়েন শত শত যাত্রী। তাদের মধ্যে জরুরি চিকিৎসাসেবী, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরাও ছিলেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহসান জানান, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার কারণে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সময় আমদানি-রপ্তানিসহ যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। দুপুর ২টার পর কিছু যাত্রীকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও পুরোপুরি যাতায়াত চালু হয় বিকেল ৪টার পর।
ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সীমান্তে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শনিবার থেকে দুই দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। এতে দুদেশের বন্দরে মাছ, সবজি, শিশু খাদ্য ও শিল্পের কাঁচামালসহ পণ্যবোঝাই সহস্রাধিক ট্রাক আটকা পড়ে। বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, এ সময় বন্দর অভ্যন্তরের পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল এবং সোমবার থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।
বহু যাত্রী সীমান্ত বন্ধের খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া অনিমেষ চক্রবর্তী বলেন, “পরিবার নিয়ে ঢাকার বাইরে থেকে এসেছি, কিন্তু এখন জানলাম বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।” ঢাকার যাত্রী কমলা রানী বলেন, “ঢাকা থেকে এতদূর এসে এখন শুনছি দুপুরের পর ছাড়া যাওয়া যাবে না।”
আরেক যাত্রী অনিতা ঘোষ বলেন, “চেন্নাইয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য বিমানের টিকিট ছিল, কিন্তু ইমিগ্রেশন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি আর বিমান ধরতে পারব না। এ ক্ষতির কথা আগে জানালে আমার জন্য সুবিধা হতো।”
এই সীমাবদ্ধতার ফলে সীমান্তে আগত যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, যা তাদের জন্য যথেষ্ট ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র উপস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ‘প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল’ উদ্বোধন উপলক্ষে দুদেশের যাত্রী চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। রোববার সকাল ৯টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত এ সীমাবদ্ধতার কারণে দুই দেশের চেকপোস্টে আটকা পড়েন শত শত যাত্রী। তাদের মধ্যে জরুরি চিকিৎসাসেবী, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরাও ছিলেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহসান জানান, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার কারণে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সময় আমদানি-রপ্তানিসহ যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। দুপুর ২টার পর কিছু যাত্রীকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও পুরোপুরি যাতায়াত চালু হয় বিকেল ৪টার পর।
ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সীমান্তে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শনিবার থেকে দুই দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। এতে দুদেশের বন্দরে মাছ, সবজি, শিশু খাদ্য ও শিল্পের কাঁচামালসহ পণ্যবোঝাই সহস্রাধিক ট্রাক আটকা পড়ে। বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, এ সময় বন্দর অভ্যন্তরের পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল এবং সোমবার থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।
বহু যাত্রী সীমান্ত বন্ধের খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া অনিমেষ চক্রবর্তী বলেন, “পরিবার নিয়ে ঢাকার বাইরে থেকে এসেছি, কিন্তু এখন জানলাম বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।” ঢাকার যাত্রী কমলা রানী বলেন, “ঢাকা থেকে এতদূর এসে এখন শুনছি দুপুরের পর ছাড়া যাওয়া যাবে না।”
আরেক যাত্রী অনিতা ঘোষ বলেন, “চেন্নাইয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য বিমানের টিকিট ছিল, কিন্তু ইমিগ্রেশন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি আর বিমান ধরতে পারব না। এ ক্ষতির কথা আগে জানালে আমার জন্য সুবিধা হতো।”
এই সীমাবদ্ধতার ফলে সীমান্তে আগত যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, যা তাদের জন্য যথেষ্ট ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।