চট্টগ্রামে ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চের’ মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বাদী ফিরোজ খানকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়াই ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জড়ানোর কারণে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ফিরোজ নগরীর ৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শুক্রবার তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তর সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ইদ্রিস আলী।
ইদ্রিস আলী বলেন, “ফিরোজ খান ব্যক্তিগতভাবে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি করেছেন। এ সিদ্ধান্ত বিএনপির নয়,দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়াই এই মামলা করায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আজম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, দলীয় নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ফিরোজকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ফিরোজ খান সম্প্রতি কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন, যেখানে তিনি জাতীয় পতাকা অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সনাতন জাগরণ মঞ্চের ১৯ জন সদস্যকে অভিযুক্ত করেন। তবে মামলার এজাহারে তিনি তার দলীয় পরিচয় উল্লেখ করেননি।
ফিরোজ খানের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চের’ মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইসকন প্রবর্ত্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ দাশ ব্রহ্মচারীসহ মোট ১৯ জনের নাম। মামলার অভিযোগে বলা হয়, চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে এক সমাবেশের দিন নিউ মার্কেটে জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা টাঙানো হয়েছিল, যা রাষ্ট্রের ‘অখণ্ডতাকে অবমাননা’র শামিল। এতে আরও বলা হয়, “দেশের সার্বভৌমত্ব অবমাননা ও অরাজক পরিস্থিতি তৈরির লক্ষ্যে পতাকা
অবমাননা করা হয়েছে।”
মামলার পর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় মোড়ে ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চের’ নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এবং রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ফিরোজ খানকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির ঘোষণায়, ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চের’ অন্যতম সংগঠক স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাশ বিএনপির এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তিনি মামলার পেছনে ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির পর ফিরোজ খানের প্রতিক্রিয়া কি জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪
চট্টগ্রামে ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চের’ মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বাদী ফিরোজ খানকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়াই ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জড়ানোর কারণে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ফিরোজ নগরীর ৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শুক্রবার তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তর সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ইদ্রিস আলী।
ইদ্রিস আলী বলেন, “ফিরোজ খান ব্যক্তিগতভাবে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি করেছেন। এ সিদ্ধান্ত বিএনপির নয়,দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়াই এই মামলা করায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আজম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, দলীয় নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ফিরোজকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ফিরোজ খান সম্প্রতি কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন, যেখানে তিনি জাতীয় পতাকা অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সনাতন জাগরণ মঞ্চের ১৯ জন সদস্যকে অভিযুক্ত করেন। তবে মামলার এজাহারে তিনি তার দলীয় পরিচয় উল্লেখ করেননি।
ফিরোজ খানের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চের’ মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইসকন প্রবর্ত্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ দাশ ব্রহ্মচারীসহ মোট ১৯ জনের নাম। মামলার অভিযোগে বলা হয়, চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে এক সমাবেশের দিন নিউ মার্কেটে জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা টাঙানো হয়েছিল, যা রাষ্ট্রের ‘অখণ্ডতাকে অবমাননা’র শামিল। এতে আরও বলা হয়, “দেশের সার্বভৌমত্ব অবমাননা ও অরাজক পরিস্থিতি তৈরির লক্ষ্যে পতাকা
অবমাননা করা হয়েছে।”
মামলার পর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় মোড়ে ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চের’ নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এবং রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ফিরোজ খানকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির ঘোষণায়, ‘সনাতন জাগরণ মঞ্চের’ অন্যতম সংগঠক স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাশ বিএনপির এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তিনি মামলার পেছনে ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির পর ফিরোজ খানের প্রতিক্রিয়া কি জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।