বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চল কক্সবাজার টেকনাফের বঙ্গোপসাগরের নাফ-নদীমুখে নাইখ্যংদিয়া পয়েন্টে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যাওয়া মাঝিমাল্লাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যাওয়া মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ- ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় নৌকাসহ ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশি জেলে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন জেলেরা সেখানে ভালো আছেন এবং তাদের ফেরত আনতে আরাকান আর্মি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। দ্রুত তাদের ফেরত আনার বিষয়েও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ নবেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের নদীমুখে নাইক্ষ্যংদিয়ার কাছাকাছি এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে। ধরে নেওয়া জেলেরা সবাই টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা।
তারা হলেন, মৃত সোলতান আহমেদের ছেলে মো. হাসিম (৩০), মোহাম্মদ আলমের ছেলে মো. হোছেন (২০), ইলিয়াসের ছেলে মহি উদ্দিন (২২), মো. ইউনুছের ছেলে এনায়েত উল্লাহ (৩২), হাসান শরীফের ছেলে আব্দুল শুক্কুর (৩৫), মৃত মোহাম্মদ ইউনুছের ছেলে নুর হাফেজ (২২), মৃদ মছন আলীর ছেলে মো. ইয়াছিন (৩০), আমির সাদুর ছেলে আবদুর রহিম (২৪), মৃত বাঁচা মিয়ার ছেলে হাসান আলি (৩৩), আবদুস শুক্কুরের ছেলে ওসমান গনি (৩০), আলি আহমদের ছেলে শাহ আলম (২২), শফি উল্লাহর ছেলে আসমত উল্লাহ (২০), নুরুল আলমের ছেলে আব্দুল শুক্কুর (২৬), মৃত নজু মিয়ার ছেলে আবুল হোছেন (১৭), মৃত নজির হোসেনের ছেলে আয়ুব খান (৩০), মৃত মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে নুর হোছন (২২), মৃত বশির আহমেদের ছেলে মো. বেলাল (১৮), মৃত নুর আমিনের ছেলে সলিম (২৭), মৃত জাকারিয়ার ছেলে আবদুল কাদের (২২) ও নাছির উদ্দিনের ছেলে ইবনে আমিন (৩৫)।
সাবরাং ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা এবং ১৩টি ইঞ্জিনবিহীন নৌকা মাছ ধরতে নাফ নদীর মুখে গিয়েছিলেন জেলেরা। আরাকান আর্মির সদস্যরা বড় ট্রলারে এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জেলেদের ধরে নিয়ে যায় বলে, তাদের আশপাশের থাকা অন্য জেলেরা জানিয়েছেন। যাদের ধরে নিয়ে গেছে তাদের সবার বাড়ি সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপের। তবে সবার নাম এখনও জানা যায়নি।
জেলে পল্লীগ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান তিনি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে। তারা সেখানে ভালো আছেন বলে আরাকান আর্মি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আলোচনার যে অগ্রগতি তাতে বিজিবির এ কর্মকর্তা আশা করছেন, দ্রুত বাংলাদেশি জেলেদের ফেরত আনা সম্ভব হবে।
বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চল কক্সবাজার টেকনাফের বঙ্গোপসাগরের নাফ-নদীমুখে নাইখ্যংদিয়া পয়েন্টে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যাওয়া মাঝিমাল্লাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যাওয়া মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ- ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় নৌকাসহ ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশি জেলে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন জেলেরা সেখানে ভালো আছেন এবং তাদের ফেরত আনতে আরাকান আর্মি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। দ্রুত তাদের ফেরত আনার বিষয়েও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ নবেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের নদীমুখে নাইক্ষ্যংদিয়ার কাছাকাছি এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে। ধরে নেওয়া জেলেরা সবাই টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা।
তারা হলেন, মৃত সোলতান আহমেদের ছেলে মো. হাসিম (৩০), মোহাম্মদ আলমের ছেলে মো. হোছেন (২০), ইলিয়াসের ছেলে মহি উদ্দিন (২২), মো. ইউনুছের ছেলে এনায়েত উল্লাহ (৩২), হাসান শরীফের ছেলে আব্দুল শুক্কুর (৩৫), মৃত মোহাম্মদ ইউনুছের ছেলে নুর হাফেজ (২২), মৃদ মছন আলীর ছেলে মো. ইয়াছিন (৩০), আমির সাদুর ছেলে আবদুর রহিম (২৪), মৃত বাঁচা মিয়ার ছেলে হাসান আলি (৩৩), আবদুস শুক্কুরের ছেলে ওসমান গনি (৩০), আলি আহমদের ছেলে শাহ আলম (২২), শফি উল্লাহর ছেলে আসমত উল্লাহ (২০), নুরুল আলমের ছেলে আব্দুল শুক্কুর (২৬), মৃত নজু মিয়ার ছেলে আবুল হোছেন (১৭), মৃত নজির হোসেনের ছেলে আয়ুব খান (৩০), মৃত মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে নুর হোছন (২২), মৃত বশির আহমেদের ছেলে মো. বেলাল (১৮), মৃত নুর আমিনের ছেলে সলিম (২৭), মৃত জাকারিয়ার ছেলে আবদুল কাদের (২২) ও নাছির উদ্দিনের ছেলে ইবনে আমিন (৩৫)।
সাবরাং ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা এবং ১৩টি ইঞ্জিনবিহীন নৌকা মাছ ধরতে নাফ নদীর মুখে গিয়েছিলেন জেলেরা। আরাকান আর্মির সদস্যরা বড় ট্রলারে এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জেলেদের ধরে নিয়ে যায় বলে, তাদের আশপাশের থাকা অন্য জেলেরা জানিয়েছেন। যাদের ধরে নিয়ে গেছে তাদের সবার বাড়ি সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপের। তবে সবার নাম এখনও জানা যায়নি।
জেলে পল্লীগ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান তিনি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে। তারা সেখানে ভালো আছেন বলে আরাকান আর্মি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আলোচনার যে অগ্রগতি তাতে বিজিবির এ কর্মকর্তা আশা করছেন, দ্রুত বাংলাদেশি জেলেদের ফেরত আনা সম্ভব হবে।