সিলেটের কানাইঘাটে গৃহশিক্ষিকার প্রতিহিংসার শিকার হয়ে শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা শামীম আহমদ। সাতদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর রবিবার বাড়ির পাশের খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষক শামীমা আক্তার মার্জিয়া (২৫), তার মা আলিফজান বিবি (৫৫), ইসলাম উদ্দিন (৪০), এবং নাজমা বেগম (৩৫)।
শামীম আহমদ বলেন, “শামীমা আক্তার মার্জিয়ার খারাপ আচরণের কারণে মেয়েকে তার কাছে পড়ানো বন্ধ করেছিলাম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নিতেই মার্জিয়া ও তার মা আলিফজান মুনতাহাকে কৌশলে ঘরে নিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ বস্তায় মুড়িয়ে খালের নর্দমায় পুঁতে রাখে।”
মুনতাহা নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা সাধারণ ডায়েরি করেন এবং বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ফেসবুকে শিশুটির সন্ধান চেয়ে প্রচারণাও চালানো হয়। অবশেষে এক সপ্তাহ পর তার মরদেহ পাওয়া গেলে আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।
ওসি আউয়াল জানান, আলিফজান ও মার্জিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিক্ষাদানের বিষয়ে নিষেধ করায় প্রতিহিংসাবশত এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে বলে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
রোববার দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান মুনতাহার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “আমরা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
সিলেটের কানাইঘাটে গৃহশিক্ষিকার প্রতিহিংসার শিকার হয়ে শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা শামীম আহমদ। সাতদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর রবিবার বাড়ির পাশের খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষক শামীমা আক্তার মার্জিয়া (২৫), তার মা আলিফজান বিবি (৫৫), ইসলাম উদ্দিন (৪০), এবং নাজমা বেগম (৩৫)।
শামীম আহমদ বলেন, “শামীমা আক্তার মার্জিয়ার খারাপ আচরণের কারণে মেয়েকে তার কাছে পড়ানো বন্ধ করেছিলাম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নিতেই মার্জিয়া ও তার মা আলিফজান মুনতাহাকে কৌশলে ঘরে নিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ বস্তায় মুড়িয়ে খালের নর্দমায় পুঁতে রাখে।”
মুনতাহা নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা সাধারণ ডায়েরি করেন এবং বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ফেসবুকে শিশুটির সন্ধান চেয়ে প্রচারণাও চালানো হয়। অবশেষে এক সপ্তাহ পর তার মরদেহ পাওয়া গেলে আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান।
ওসি আউয়াল জানান, আলিফজান ও মার্জিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিক্ষাদানের বিষয়ে নিষেধ করায় প্রতিহিংসাবশত এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে বলে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
রোববার দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান মুনতাহার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “আমরা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”