সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে লেখা এক চিঠিতে এ আহ্বান জানান সিপিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জোডি গিনসবার্গ।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদে মৌলিক অধিকার রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সিপিজে এই লক্ষ্যে কিছু সুপারিশ তুলে ধরে।
সিপিজে যেসব আইন সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাঁধা দেয়, বিশেষ করে মানহানি বিষয়ক ফৌজদারি অপরাধ ও ঔপনিবেশিক অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট স্থগিত করার প্রস্তাব দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্তকে সিপিজে স্বাগত জানিয়েছে।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা শত শত মামলার বিষয়ে সহায়তার আহ্বান জানিয়ে, সিপিজে ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে। তারা উল্লেখ করেছে যে, সাংবাদিকদের ওপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিশেষভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং এতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৪০০-এরও বেশি মামলা হয়েছে।
কারান্তরীণ সাংবাদিকদের জন্য ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা এবং সাংবাদিকদের ওপর সাম্প্রতিক সহিংস হামলার ঘটনায় স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে সিপিজে। সিপিজে আরও উল্লেখ করেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত অন্তত ১৪ জন সাংবাদিক তাদের কাজের জন্য প্রাণ হারিয়েছেন।
সিপিজে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সাংবাদিকদের ওপর হয়রানি ও নজরদারি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের সুরক্ষায় একটি স্বাধীন প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে, যা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে কাজ করবে।
মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে লেখা এক চিঠিতে এ আহ্বান জানান সিপিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জোডি গিনসবার্গ।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদে মৌলিক অধিকার রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সিপিজে এই লক্ষ্যে কিছু সুপারিশ তুলে ধরে।
সিপিজে যেসব আইন সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাঁধা দেয়, বিশেষ করে মানহানি বিষয়ক ফৌজদারি অপরাধ ও ঔপনিবেশিক অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট স্থগিত করার প্রস্তাব দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্তকে সিপিজে স্বাগত জানিয়েছে।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা শত শত মামলার বিষয়ে সহায়তার আহ্বান জানিয়ে, সিপিজে ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে। তারা উল্লেখ করেছে যে, সাংবাদিকদের ওপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিশেষভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং এতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৪০০-এরও বেশি মামলা হয়েছে।
কারান্তরীণ সাংবাদিকদের জন্য ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা এবং সাংবাদিকদের ওপর সাম্প্রতিক সহিংস হামলার ঘটনায় স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে সিপিজে। সিপিজে আরও উল্লেখ করেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত অন্তত ১৪ জন সাংবাদিক তাদের কাজের জন্য প্রাণ হারিয়েছেন।
সিপিজে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সাংবাদিকদের ওপর হয়রানি ও নজরদারি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের সুরক্ষায় একটি স্বাধীন প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে, যা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে কাজ করবে।