অবশেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ বৈঠকে বকেয়া বেতন পরিষদের আশ্বাস পেয়ে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসুচি প্রত্যাহর করা হয়েছে। তবে এখনো খোলা হয়নি কারখানাগুলো। টিএন্ডজেড গ্রুপের প্রায় সাড়ে ৫হাজার শ্রমিক বকেয়া বেতন ভাতার দাবীতে টানা তিন দিন ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা সড়ক অবরোধ করে রাখে। সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ মিয়া সংবাদকে বলেন, শ্রমিকদের যে বকেয়া বেতন ভাতা পাওনা ছিল তা আগামী রবিবারের মধ্যে ছয় কোটি টাকা শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে পরিশোধ করা হবে এবং আগামী ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা বেতন ভাতা বাবদ আরও ১০ কোটি টাকা শ্রম মন্ত্রণালয় পরিশোধ করবে। শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতা বাবদ ১৬ কোটি টাকা পরিশোধ করবে। এর মধ্যেই বন্ধ কারখানাটি চালু করা হবে। কারখানাটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে সেটাও শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। তারা বিদ্যুতের লাইনটি পুন সংযোগ দেওয়ার পর কারখানা চালু করা হবে। শ্রমিকরা কথা দিয়েছেন কারখানা চালু করা হলে তারা নিয়মিত কারখানায় কাজে যোগদান করবেন।
কবে নাগাদ কারখানাগুলো চালু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে টিএনজেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়তুল হক সংবাদকে বলেন, কারখানাতে এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, আজ কালের মধ্যে বিদ্যুৎ এবং গ্যাস সংযোগ ঠিক করে ফেলব। আমি আজকে মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছি। মন্ত্রণালয়ের সাথে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে সেগুলি আজকের মধ্যে সম্পন্ন করে ফেলব। আশা করছি দু’এক দিনের মধ্যে আমরা কারখানাগুলি চালু করতে পারব। টিএনজেড গ্রুপে আগে যেখানে সাড়ে সাত হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিল বর্তমানে তা সাড়ে ছয় হাজারে নেমে এসেছে। দেখুন আমাদের কারখানাটি ইকো ফ্রেন্ডলি প্রজেক্ট, অর্থাৎ ক্লিন প্রজেক্ট ।
তিনি আরো জানান, ২০০৭ সালে কোম্পানিটি যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এ প্রজেক্টটির আনুমানিক মূল্য ১৪শকোটি টাকা। ইকো ফ্রেন্ডলি এই কারখানাটির ২০২৩ সাল পর্যন্ত এক্সপোর্টের পরিমাণ ছিল ৩৩৯ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনা পরিস্থিতি, ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ ও দেশীয় নানা কারণ সহ ব্যাংকের একটি চক্রান্তের শিকার হয়ে কারখানাটি বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে। গত জুলাই মাস থেকে সংকট চরম আকারে দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত সাপোর্ট না পাওয়ার কারণে বেতন ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছিল না।
তিনি আরো বলেন, কারখাটি ঘুরে দাঁড়াতে পাশাপাশি আমাদের যতটুকু লোকবল দরকার ততটুকুই রাখব। যেহেতু এখন আমাদের পজিশন ভালো নাই আগের মতো। আগের পজিশনে ফিড়িয়ে আনার জন্য যাতে মানুষের ঘাটতি না থাকে। যে লোকগুলি আমার এখানে কাজ করবে সে প্রতি যেন মাসে বেতনটা পায়। সেটুকু বিবেচনা করে আমি কারখাটিকে নতুন ভাবে সাজাতে চেষ্টা করছি। এব্যাপারে সরকার আমাদেরকে সহযোগিতা করছে। সুযোগ দিচ্ছে এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম সংবাদকে বলেন, গতকাল শ্রম মন্ত্রণালয়ে কারখানার মালিক, শ্রমিক ও বিজিএমইএ প্রতিনিধিদের বৈঠকে শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের ছয় কোটি টাকা আগামী রবিবার দিনের মধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয় পরিশোধ করবেন এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে শ্রমিকরা তাদের ৩ দিনের টানা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে। অবরোধ প্রত্যাহার হলেও কারখানাটি বন্ধ রয়েছে। টিএন্ডজেড গ্রুপের কারখানাটি বৈদ্যুতিক বিল বকেয়া থাকায় কারখানাটির বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। সেটার সমাধান হয়ে গেলেই কারখানাটি চালু করা হবে। শ্রমিকরা পরিস্থিতি অবজারভ করছেন বকেয়া বেতনের প্রথম কিস্তির টাকা হাতে পেলে কারখানায় কাজে যোগ দেবেন।
মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
অবশেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ বৈঠকে বকেয়া বেতন পরিষদের আশ্বাস পেয়ে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসুচি প্রত্যাহর করা হয়েছে। তবে এখনো খোলা হয়নি কারখানাগুলো। টিএন্ডজেড গ্রুপের প্রায় সাড়ে ৫হাজার শ্রমিক বকেয়া বেতন ভাতার দাবীতে টানা তিন দিন ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা সড়ক অবরোধ করে রাখে। সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ মিয়া সংবাদকে বলেন, শ্রমিকদের যে বকেয়া বেতন ভাতা পাওনা ছিল তা আগামী রবিবারের মধ্যে ছয় কোটি টাকা শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে পরিশোধ করা হবে এবং আগামী ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা বেতন ভাতা বাবদ আরও ১০ কোটি টাকা শ্রম মন্ত্রণালয় পরিশোধ করবে। শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতা বাবদ ১৬ কোটি টাকা পরিশোধ করবে। এর মধ্যেই বন্ধ কারখানাটি চালু করা হবে। কারখানাটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে সেটাও শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। তারা বিদ্যুতের লাইনটি পুন সংযোগ দেওয়ার পর কারখানা চালু করা হবে। শ্রমিকরা কথা দিয়েছেন কারখানা চালু করা হলে তারা নিয়মিত কারখানায় কাজে যোগদান করবেন।
কবে নাগাদ কারখানাগুলো চালু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে টিএনজেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়তুল হক সংবাদকে বলেন, কারখানাতে এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, আজ কালের মধ্যে বিদ্যুৎ এবং গ্যাস সংযোগ ঠিক করে ফেলব। আমি আজকে মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছি। মন্ত্রণালয়ের সাথে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে সেগুলি আজকের মধ্যে সম্পন্ন করে ফেলব। আশা করছি দু’এক দিনের মধ্যে আমরা কারখানাগুলি চালু করতে পারব। টিএনজেড গ্রুপে আগে যেখানে সাড়ে সাত হাজার শ্রমিক কর্মরত ছিল বর্তমানে তা সাড়ে ছয় হাজারে নেমে এসেছে। দেখুন আমাদের কারখানাটি ইকো ফ্রেন্ডলি প্রজেক্ট, অর্থাৎ ক্লিন প্রজেক্ট ।
তিনি আরো জানান, ২০০৭ সালে কোম্পানিটি যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এ প্রজেক্টটির আনুমানিক মূল্য ১৪শকোটি টাকা। ইকো ফ্রেন্ডলি এই কারখানাটির ২০২৩ সাল পর্যন্ত এক্সপোর্টের পরিমাণ ছিল ৩৩৯ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনা পরিস্থিতি, ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ ও দেশীয় নানা কারণ সহ ব্যাংকের একটি চক্রান্তের শিকার হয়ে কারখানাটি বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে। গত জুলাই মাস থেকে সংকট চরম আকারে দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত সাপোর্ট না পাওয়ার কারণে বেতন ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছিল না।
তিনি আরো বলেন, কারখাটি ঘুরে দাঁড়াতে পাশাপাশি আমাদের যতটুকু লোকবল দরকার ততটুকুই রাখব। যেহেতু এখন আমাদের পজিশন ভালো নাই আগের মতো। আগের পজিশনে ফিড়িয়ে আনার জন্য যাতে মানুষের ঘাটতি না থাকে। যে লোকগুলি আমার এখানে কাজ করবে সে প্রতি যেন মাসে বেতনটা পায়। সেটুকু বিবেচনা করে আমি কারখাটিকে নতুন ভাবে সাজাতে চেষ্টা করছি। এব্যাপারে সরকার আমাদেরকে সহযোগিতা করছে। সুযোগ দিচ্ছে এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম সংবাদকে বলেন, গতকাল শ্রম মন্ত্রণালয়ে কারখানার মালিক, শ্রমিক ও বিজিএমইএ প্রতিনিধিদের বৈঠকে শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের ছয় কোটি টাকা আগামী রবিবার দিনের মধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয় পরিশোধ করবেন এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে শ্রমিকরা তাদের ৩ দিনের টানা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে। অবরোধ প্রত্যাহার হলেও কারখানাটি বন্ধ রয়েছে। টিএন্ডজেড গ্রুপের কারখানাটি বৈদ্যুতিক বিল বকেয়া থাকায় কারখানাটির বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। সেটার সমাধান হয়ে গেলেই কারখানাটি চালু করা হবে। শ্রমিকরা পরিস্থিতি অবজারভ করছেন বকেয়া বেতনের প্রথম কিস্তির টাকা হাতে পেলে কারখানায় কাজে যোগ দেবেন।