alt

মাকে হত্যা করে ডিপ ফ্রিজে রাখে ছেলে, সাজানো হয় ডাকাতি: র‌্যাব

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জের ধরে পূর্বপরিকল্পনায় মা ছালমা খাতুনকে (৫০) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে তুলে রাখে ছোট ছেলে মো. সাদ বিন আজিজুর রহমান (১৯)। এরপর হত্যা ঘটনাটিকে ডাকাতিতে রূপান্তর করতে কুড়াল দিয়ে বাড়ির আলমারি ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে মূলগেটে তালা লাগিয়ে মাদ্রাসায় ফিরে যান তিনি।

প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন প্রমাণের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১২টার দিকে ছেলেকে আটকের পর মঙ্গলবার সকালে র‍্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

র‍্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে র‍্যাব জানতে পারে, সালমা খাতুনের সঙ্গে তার ছেলে সাদের হাত খরচের টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া বিবাদ চলছিল এবং বাসা থেকে প্রায় প্রতিদিনই ৫০০-১০০০ টাকা হারিয়ে যেত। ঘটনার দিন সকালেও হাত খরচের টাকা নিয়ে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডা হয় সাদের। পরে সে রাগ করে সকালের নাস্তা না খেয়ে মাদরাসায় চলে যায়। এসব বিষয় মাথায় রেখে হত্যাকারীর অনুসন্ধান চালানো হয় বলে মেজর এহতেশামুল জানান।

তিনি বলেন, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ে হত্যাকাণ্ডের আনুমানিক সময় মা ও ছেলের অবস্থান একই জায়গায় ছিল। আবার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ওই দিন নিহতের ছেলে ছাড়া সন্দেহভাজন কাউকে দেখা যায়নি।

পরে সোমবার রাতে পার্শ্ববর্তী কাহালু উপজেলার পাঁচ পীর আড়োবাড়ী এলাকায় সাদের দাদাবাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে সাদ নিজের মাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে বলে জানান র‍্যাব কমান্ডার।

তিনি বলেন, একটি প্রেমের সম্পর্ক নিয়েও মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য ছিল সাদের। আর সম্ভবত জুয়া খেলায় সে জড়িয়ে পড়ে। এ জন্য সে টাকা নিয়ে প্রতিদিন বাড়িতে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করত।

হত্যার দিনের ঘটনার বর্ণনায় র‍্যাব কর্মকর্তা এহতেশামুল বলেন, রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মাদরাসায় বিরতির সময় সাদ বাসার এসে তার মা সালমাকে তরকারি কাটতে দেখে। ওই সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পিছন দিক থেকে মায়ের নাক-মুখ চেপে ধরে সাদ। এক পর্যায়ে তার মা বাঁচার চেষ্টায় ধস্তাধস্তি করতে থাকলে তরকারি কাটার বটি লেগে সাদের হাতের তর্জনী আঙ্গুলের নীচে হালকা কেটে যায়। তবুও সে মায়ের মুখ চেপে রেখে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর সাদ মায়ের দুই হাত ওড়না দিয়ে বেঁধে লাশ বাসায় থাকা ডিপ ফ্রিজের ভিতর রেখে দেয়। এবং ঘটনাটি ডাকাতি হিসেবে সাজানোর জন্য বাসায় থাকা কুড়াল দিয়ে আলমারিতে কয়েকটি কোপ দেয় ও জিনিসপত্র এলোমেলো করে রাখে। পরে বাসার মেইন গেইটে তালা দিয়ে বের হয়ে যায় সে। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে মাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে বাবাকে জানায়।

সোনারগাঁয়ে শিক্ষার্থী হত্যাকারীদের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ

জামালপুরে সার ডিলার নিয়োগে নতুন নীতিমালা বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির অভিযানে ১২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

কাদিরদী বাজারে অগ্নিকান্ডে ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই

সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবসে নারী সমাবেশ ও পিঠা উৎসব

যাদের হাতে উঠলো এবারের সিজেএফবি অ্যাওয়ার্ড

পুরস্কারের প্রলোভনে নিঃস্ব সাধারণ মানুষ

চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে

দোহার ইলিশ শিকারের অপরাধে ২১ জেলে আটক

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে গলায় ওড়না প্যাঁচানো যুবকের লাশ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর জেলের মরদেহ উদ্ধার

চাঁদপুরে দেশিয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার

কেশবপুরে জমি নিয়ে বিবাদে শিশুসহ আহত ৭

জয়পুরহাটে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত এক

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

বোয়ালখালীতে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি

মানিকগঞ্জের রাস্তার ধারে লক্ষ লক্ষ টাকার আঁখ বিক্রি

গারো সম্প্রদায়ের সংসারেক ঐতিহ্যের ওয়ান্না উৎসব

পবিপ্রবিতে ইউসিজি চেয়ারম্যানের মতবিনিময় ও ব্যামাগারের উদ্বোধন

ডিমলায় ভূমি অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ির বাড়তি মাশুল স্থগিত

মহম্মদপুরের অধ্যক্ষ এস এম ইউনুচ আলী পেলেন গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স অনিয়ম দুর্নীতিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত

ঈদগাঁও উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে ৬ বালু মহাল জব্দ

ঝালকাঠিতে ঝুঁকির মধ্যে চলছে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা

ঘোড়াঘাটে বিপন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় প্রশাসনের অভিযানে জাল জব্দ

সলঙ্গায় ডোবা থেকে কঙ্কাল উদ্ধার

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষক নিহত

গোবিন্দগঞ্জে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত গুচ্ছগ্রাম এক রাতে উধাও

ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞায় দশমিনায় জেলে পরিবারগুলোতে দুর্দিন

ত্রিশালে খুচরা সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন

সিরাজদিখানে গাছে ঝুলছে পল্লী বিদ্যুতের মিটার

পার্বতীপুরে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন, ভোগান্তিতে ৮০ হাজার গ্রাহক

১২ বছর ধরে শিকলবন্দী ভাইবোন এখন মুক্ত

কলমাকান্দায় গাঁজা গাছসহ একব্যক্তি আটক

tab

মাকে হত্যা করে ডিপ ফ্রিজে রাখে ছেলে, সাজানো হয় ডাকাতি: র‌্যাব

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় হাত খরচের টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জের ধরে পূর্বপরিকল্পনায় মা ছালমা খাতুনকে (৫০) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে তুলে রাখে ছোট ছেলে মো. সাদ বিন আজিজুর রহমান (১৯)। এরপর হত্যা ঘটনাটিকে ডাকাতিতে রূপান্তর করতে কুড়াল দিয়ে বাড়ির আলমারি ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে মূলগেটে তালা লাগিয়ে মাদ্রাসায় ফিরে যান তিনি।

প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন প্রমাণের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১২টার দিকে ছেলেকে আটকের পর মঙ্গলবার সকালে র‍্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

র‍্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে র‍্যাব জানতে পারে, সালমা খাতুনের সঙ্গে তার ছেলে সাদের হাত খরচের টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ঝগড়া বিবাদ চলছিল এবং বাসা থেকে প্রায় প্রতিদিনই ৫০০-১০০০ টাকা হারিয়ে যেত। ঘটনার দিন সকালেও হাত খরচের টাকা নিয়ে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডা হয় সাদের। পরে সে রাগ করে সকালের নাস্তা না খেয়ে মাদরাসায় চলে যায়। এসব বিষয় মাথায় রেখে হত্যাকারীর অনুসন্ধান চালানো হয় বলে মেজর এহতেশামুল জানান।

তিনি বলেন, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ে হত্যাকাণ্ডের আনুমানিক সময় মা ও ছেলের অবস্থান একই জায়গায় ছিল। আবার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ওই দিন নিহতের ছেলে ছাড়া সন্দেহভাজন কাউকে দেখা যায়নি।

পরে সোমবার রাতে পার্শ্ববর্তী কাহালু উপজেলার পাঁচ পীর আড়োবাড়ী এলাকায় সাদের দাদাবাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে সাদ নিজের মাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে বলে জানান র‍্যাব কমান্ডার।

তিনি বলেন, একটি প্রেমের সম্পর্ক নিয়েও মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য ছিল সাদের। আর সম্ভবত জুয়া খেলায় সে জড়িয়ে পড়ে। এ জন্য সে টাকা নিয়ে প্রতিদিন বাড়িতে মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করত।

হত্যার দিনের ঘটনার বর্ণনায় র‍্যাব কর্মকর্তা এহতেশামুল বলেন, রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মাদরাসায় বিরতির সময় সাদ বাসার এসে তার মা সালমাকে তরকারি কাটতে দেখে। ওই সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পিছন দিক থেকে মায়ের নাক-মুখ চেপে ধরে সাদ। এক পর্যায়ে তার মা বাঁচার চেষ্টায় ধস্তাধস্তি করতে থাকলে তরকারি কাটার বটি লেগে সাদের হাতের তর্জনী আঙ্গুলের নীচে হালকা কেটে যায়। তবুও সে মায়ের মুখ চেপে রেখে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর সাদ মায়ের দুই হাত ওড়না দিয়ে বেঁধে লাশ বাসায় থাকা ডিপ ফ্রিজের ভিতর রেখে দেয়। এবং ঘটনাটি ডাকাতি হিসেবে সাজানোর জন্য বাসায় থাকা কুড়াল দিয়ে আলমারিতে কয়েকটি কোপ দেয় ও জিনিসপত্র এলোমেলো করে রাখে। পরে বাসার মেইন গেইটে তালা দিয়ে বের হয়ে যায় সে। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে মাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে বাবাকে জানায়।

back to top