জামালপুরে জেলা জজ আদালত ও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে গভর্নমেন্ট প্রসিকিউটর (জিপি), পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও অন্যান্য পদে ৬৪ জন আইনজীবীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রকাশিত তালিকায় আওয়ামীপন্থী ও মৃত আইনজীবীদের নাম থাকায় এর প্রতিবাদে রবিবার বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম জামালপুর জেলা ইউনিট।
জানা গেছে, গত ১৩ নভেম্বর উপ-সলিসিটর মো: মাহ্রুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত ৬৪ জন সরকারি আইন কর্মকর্তার নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় জেলা জজ আদালতে সরকারি কৌসুলি ও অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি পদে ২ জন, সহকারী সরকারি কৌসুলি পদে ৮ জন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর পদে ১ জন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর পদে ২ জন করে ৪ জন, বিশেষ জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর পদে ২ জন, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর পদে ১১ জন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর পদে ৩৬ জন আইনজীবীর নাম রয়েছে।
এরপর থেকেই ক্ষোভ বিরাজ করে আইনজীবীদের মাঝে। তালিকায় জেলা জজ আদালতে অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলী (এজিপি) পদে আনোয়ার হোসেন নামে একজনের নাম উল্লেখ রয়েছে, যিনি গত তিন বছর আগেই মারা গেছেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য এমন ছয়জন আইনজীবীকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- আব্দুল্লাহ আল আমিন, মো: রাসেল রানা, আঁখি আক্তার, তামিমা বিলকিস, হাবিবা সুলতানা, সাবিনা ইয়াসমিন। এনিয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আইনজীবীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর পদে মো: দিদারুল ইসলামের নাম তালিকায় দুইবার উল্লেখ করায় ও জামালপুর আদালতে প্র্যাক্টিস না করেও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর পদে অ্যাডভোকেট আমির হামজা কোরাইশী নিয়োগ পাওয়ায় আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছে বিভ্রান্তি। খোজ নিয়ে জানা গেছে, অ্যাডভোকেট আমির হামজা কোরাইশী কক্সবাজার আদালতে প্র্যাক্টিস করতেন, সম্প্রতি তিনি জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হয়েছেন।
আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ নিয়ে প্রকাশিত তালিকা ত্রুটিপূর্ণ বলে ওই তালিকা বাতিলের দাবীতে রবিবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম জামালপুর জেলা ইউনিট। জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত কর্মসুচিতে জামালপুর জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে জামালপুর জেলা বিএনপির সহ সভাপতি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এর নবনির্বাচিত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফজলুল হক, জামালপুর জেলা বিএনপির সহ আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মোহন, অ্যাডভোকেট মোবারক হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ সতের বছর যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে তাদের বঞ্চিত করে আওয়ামীপন্থী আইনজীবী, মৃত আইনজীবী, প্র্যাক্টিস করেন না এমন আইনজীবীদের সরকারি আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইনজীবী সমিতির সদস্য আনোয়ার হোসেন গত তিন বছর আগে মারা গেছেন বলে জানিয়ে তারা প্রশ্ন রাখেন, আমরা কেউ চিনি না এমন আইনজীবী কীভাবে নিয়োগ পায়? জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্যানেলে অংশ নেয়া ও আওয়ামী লীগের মিছিল-মিটিংয়ে ব্যানার ধরে থাকা আইনজীবীরা কীভাবে এ সময় আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পায়? বক্তারা আরও বলেন, আমরা অনুরোধ করব এই তালিকা যাতে গ্রহণ করা না হয়। আমরা দ্রুত এই ত্রুটিপূর্ণ তালিকা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। এ সময় মানববন্ধন থেকে এপিপি পদে নিয়োগ পাওয়া ছয়জন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীর নিয়োগ বাতিলের দাবী জানান।
রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
জামালপুরে জেলা জজ আদালত ও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সরকারি আইন কর্মকর্তা হিসেবে গভর্নমেন্ট প্রসিকিউটর (জিপি), পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও অন্যান্য পদে ৬৪ জন আইনজীবীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রকাশিত তালিকায় আওয়ামীপন্থী ও মৃত আইনজীবীদের নাম থাকায় এর প্রতিবাদে রবিবার বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম জামালপুর জেলা ইউনিট।
জানা গেছে, গত ১৩ নভেম্বর উপ-সলিসিটর মো: মাহ্রুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত ৬৪ জন সরকারি আইন কর্মকর্তার নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় জেলা জজ আদালতে সরকারি কৌসুলি ও অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি পদে ২ জন, সহকারী সরকারি কৌসুলি পদে ৮ জন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর পদে ১ জন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর পদে ২ জন করে ৪ জন, বিশেষ জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর পদে ২ জন, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর পদে ১১ জন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর পদে ৩৬ জন আইনজীবীর নাম রয়েছে।
এরপর থেকেই ক্ষোভ বিরাজ করে আইনজীবীদের মাঝে। তালিকায় জেলা জজ আদালতে অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলী (এজিপি) পদে আনোয়ার হোসেন নামে একজনের নাম উল্লেখ রয়েছে, যিনি গত তিন বছর আগেই মারা গেছেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য এমন ছয়জন আইনজীবীকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- আব্দুল্লাহ আল আমিন, মো: রাসেল রানা, আঁখি আক্তার, তামিমা বিলকিস, হাবিবা সুলতানা, সাবিনা ইয়াসমিন। এনিয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আইনজীবীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর পদে মো: দিদারুল ইসলামের নাম তালিকায় দুইবার উল্লেখ করায় ও জামালপুর আদালতে প্র্যাক্টিস না করেও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর পদে অ্যাডভোকেট আমির হামজা কোরাইশী নিয়োগ পাওয়ায় আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছে বিভ্রান্তি। খোজ নিয়ে জানা গেছে, অ্যাডভোকেট আমির হামজা কোরাইশী কক্সবাজার আদালতে প্র্যাক্টিস করতেন, সম্প্রতি তিনি জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হয়েছেন।
আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ নিয়ে প্রকাশিত তালিকা ত্রুটিপূর্ণ বলে ওই তালিকা বাতিলের দাবীতে রবিবার মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম জামালপুর জেলা ইউনিট। জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত কর্মসুচিতে জামালপুর জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে জামালপুর জেলা বিএনপির সহ সভাপতি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এর নবনির্বাচিত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফজলুল হক, জামালপুর জেলা বিএনপির সহ আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মোহন, অ্যাডভোকেট মোবারক হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ সতের বছর যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে তাদের বঞ্চিত করে আওয়ামীপন্থী আইনজীবী, মৃত আইনজীবী, প্র্যাক্টিস করেন না এমন আইনজীবীদের সরকারি আইন কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইনজীবী সমিতির সদস্য আনোয়ার হোসেন গত তিন বছর আগে মারা গেছেন বলে জানিয়ে তারা প্রশ্ন রাখেন, আমরা কেউ চিনি না এমন আইনজীবী কীভাবে নিয়োগ পায়? জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্যানেলে অংশ নেয়া ও আওয়ামী লীগের মিছিল-মিটিংয়ে ব্যানার ধরে থাকা আইনজীবীরা কীভাবে এ সময় আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পায়? বক্তারা আরও বলেন, আমরা অনুরোধ করব এই তালিকা যাতে গ্রহণ করা না হয়। আমরা দ্রুত এই ত্রুটিপূর্ণ তালিকা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। এ সময় মানববন্ধন থেকে এপিপি পদে নিয়োগ পাওয়া ছয়জন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীর নিয়োগ বাতিলের দাবী জানান।