alt

সম্পাদকীয়

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

: বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ঝালকাঠি জেলার স্বাস্থ্যসেবায় চলমান চিকিৎসক সংকট একটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। একটি আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক সেবা হলো স্বাস্থ্যসেবা, যা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু ঝালকাঠির বর্তমান অবস্থা নির্দেশ করে যে, এই মৌলিক সেবার ক্ষেত্রে চরম অবহেলা বিদ্যমান।

জেলায় ১৩৬ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও মাত্র ৫৮ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। এ তথ্যই যথেষ্ট পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরতে। সদর হাসপাতালের অবস্থাও অনুরূপ। এখানে ৪০ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে মাত্র ১৪ জন কর্মরত আছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ডেপুটেশনে থাকা এবং বেশিরভাগ পদের শূন্যতা এই সেবার মানকে তলানিতে নামিয়ে এনেছে। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসকের অভাব স্পষ্ট। নলছিটি, রাজাপুর, কাঁঠালিয়া প্রত্যেক উপজেলায় চিকিৎসকের পদের বিপুল শূন্যতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুধু এই একটি জেলাতেই নয়, দেশের অনেক স্থানেই এই সংকট রয়েছে।

চিকিৎসক সংকটের সবচেয়ে বড় শিকার সাধারণ জনগণ। একজন চিকিৎসকের জন্য অসংখ্য রোগীকে দেখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। চিকিৎসক সংকটের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চিকিৎসকদের বদলি এবং উচ্চশিক্ষার জন্য স্থানান্তর। যদিও দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে, তবে এর সমাধান হতে পারে যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়া হাসপাতালগুলোকে শূন্য না রেখে এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা।

চিকিৎসক সংকট নিরসনে সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্রুত শূন্য পদ পূরণ করার জন্য নতুন চিকিৎসকদের নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। চিকিৎসকদের স্থানীয় পর্যায়ে থাকতে উৎসাহিত করা দরকার। চিকিৎসকদের কর্মস্থলে থাকা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আবাসন, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান।

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সূচক। মানুষ উন্নত ও মানসম্মত চিকিৎসা সেবা চায়, এবং এটি নিশ্চিত করা সরকারের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব।

সরকারের উচিত এই সংকট সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া। চিকিৎসকদের স্থানীয় পর্যায়ে ধরে রাখতে উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানবসম্পদের ঘাটতি পূরণই হতে পারে টেকসই স্বাস্থ্যসেবার মূল চাবিকাঠি। সরকারি হাসপাতালগুলো এই সংকট থেকে মুক্তি পাবে, এটাই আমাদের চাওয়া।

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

জলমহালে লোনা পানি, কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি

tab

সম্পাদকীয়

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ঝালকাঠি জেলার স্বাস্থ্যসেবায় চলমান চিকিৎসক সংকট একটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। একটি আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক সেবা হলো স্বাস্থ্যসেবা, যা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু ঝালকাঠির বর্তমান অবস্থা নির্দেশ করে যে, এই মৌলিক সেবার ক্ষেত্রে চরম অবহেলা বিদ্যমান।

জেলায় ১৩৬ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও মাত্র ৫৮ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। এ তথ্যই যথেষ্ট পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরতে। সদর হাসপাতালের অবস্থাও অনুরূপ। এখানে ৪০ জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে মাত্র ১৪ জন কর্মরত আছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ডেপুটেশনে থাকা এবং বেশিরভাগ পদের শূন্যতা এই সেবার মানকে তলানিতে নামিয়ে এনেছে। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসকের অভাব স্পষ্ট। নলছিটি, রাজাপুর, কাঁঠালিয়া প্রত্যেক উপজেলায় চিকিৎসকের পদের বিপুল শূন্যতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুধু এই একটি জেলাতেই নয়, দেশের অনেক স্থানেই এই সংকট রয়েছে।

চিকিৎসক সংকটের সবচেয়ে বড় শিকার সাধারণ জনগণ। একজন চিকিৎসকের জন্য অসংখ্য রোগীকে দেখা অসম্ভব হয়ে পড়ে। চিকিৎসক সংকটের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চিকিৎসকদের বদলি এবং উচ্চশিক্ষার জন্য স্থানান্তর। যদিও দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে, তবে এর সমাধান হতে পারে যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়া হাসপাতালগুলোকে শূন্য না রেখে এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা।

চিকিৎসক সংকট নিরসনে সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্রুত শূন্য পদ পূরণ করার জন্য নতুন চিকিৎসকদের নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। চিকিৎসকদের স্থানীয় পর্যায়ে থাকতে উৎসাহিত করা দরকার। চিকিৎসকদের কর্মস্থলে থাকা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আবাসন, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান।

স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সূচক। মানুষ উন্নত ও মানসম্মত চিকিৎসা সেবা চায়, এবং এটি নিশ্চিত করা সরকারের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব।

সরকারের উচিত এই সংকট সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া। চিকিৎসকদের স্থানীয় পর্যায়ে ধরে রাখতে উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানবসম্পদের ঘাটতি পূরণই হতে পারে টেকসই স্বাস্থ্যসেবার মূল চাবিকাঠি। সরকারি হাসপাতালগুলো এই সংকট থেকে মুক্তি পাবে, এটাই আমাদের চাওয়া।

back to top