রংপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উত্তরবঙ্গ থেকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিতে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে ছাত্র-জনতা। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে, এই সময়সীমার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে, তারা ঢাকা থেকে বিচ্ছিন্নকরণের জন্য বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
রোববার রাতে রংপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা সমন্বয়ক ইয়াসীর আরাফাত এবং আলমগীর নয়নের নেতৃত্বে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা উল্লেখ করেন, ১৬ জুলাই আবু সাঈদের আত্মত্যাগের পর দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়। কিন্তু এই পরিষদে উত্তরবঙ্গ থেকে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পরবর্তী উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা অব্যাহত থাকায় রংপুরসহ পুরো উত্তরবঙ্গের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বেড়েছে।
নেতারা জানান, সম্প্রতি রংপুরে আসা দুজন উপদেষ্টা উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে কোনো আলোচনা না করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এর প্রতিবাদে ১১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত রংপুর অঞ্চলে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
তাদের দাবি, আগামী তিন দিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে উপদেষ্টা নিয়োগ করতে হবে, অন্যথায় রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে।
উপদেষ্টা নিয়োগের পেছনে তারা যে কারণগুলো তুলে ধরেছেন সেগুলো হলো:
১. অবকাঠামোগত উন্নয়ন: রংপুরের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন বঞ্চনা দূর করার জন্য উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধির প্রয়োজন।
২. কৃষি উন্নয়ন: কৃষি ক্ষেত্রে রংপুর অঞ্চলের গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও এর উন্নয়নে অবহেলা করা হচ্ছে।
৩. তিস্তা পরিকল্পনা: তিস্তা নদীর উন্নয়ন প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নে উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব জরুরি।
৪. ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ: উন্নয়ন এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য উত্তরবঙ্গের উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ।
নেতারা আশাবাদী যে, দ্রুত উপদেষ্টা নিয়োগের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের মানুষের ক্ষোভ ও হতাশা প্রশমিত হবে।
সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
রংপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উত্তরবঙ্গ থেকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিতে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে ছাত্র-জনতা। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে, এই সময়সীমার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে, তারা ঢাকা থেকে বিচ্ছিন্নকরণের জন্য বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
রোববার রাতে রংপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা সমন্বয়ক ইয়াসীর আরাফাত এবং আলমগীর নয়নের নেতৃত্বে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা উল্লেখ করেন, ১৬ জুলাই আবু সাঈদের আত্মত্যাগের পর দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হয়। কিন্তু এই পরিষদে উত্তরবঙ্গ থেকে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পরবর্তী উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা অব্যাহত থাকায় রংপুরসহ পুরো উত্তরবঙ্গের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বেড়েছে।
নেতারা জানান, সম্প্রতি রংপুরে আসা দুজন উপদেষ্টা উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে কোনো আলোচনা না করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এর প্রতিবাদে ১১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত রংপুর অঞ্চলে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
তাদের দাবি, আগামী তিন দিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে উপদেষ্টা নিয়োগ করতে হবে, অন্যথায় রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে।
উপদেষ্টা নিয়োগের পেছনে তারা যে কারণগুলো তুলে ধরেছেন সেগুলো হলো:
১. অবকাঠামোগত উন্নয়ন: রংপুরের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন বঞ্চনা দূর করার জন্য উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধির প্রয়োজন।
২. কৃষি উন্নয়ন: কৃষি ক্ষেত্রে রংপুর অঞ্চলের গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও এর উন্নয়নে অবহেলা করা হচ্ছে।
৩. তিস্তা পরিকল্পনা: তিস্তা নদীর উন্নয়ন প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নে উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব জরুরি।
৪. ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ: উন্নয়ন এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের জন্য উত্তরবঙ্গের উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ।
নেতারা আশাবাদী যে, দ্রুত উপদেষ্টা নিয়োগের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের মানুষের ক্ষোভ ও হতাশা প্রশমিত হবে।